সংক্ষিপ্ত

ইউরো কাপ চলাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনকে নিয়ে সংবেদনশীল ফুটবলপ্রেমীরা। এই মিডফিল্ডার ফের চোট পাওয়ায় অনেকেই উদ্বিগ্ন।

এফএ কাপের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে রিডিংয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ চলাকালীন গোড়ালিতে মারাত্মক চোট পেয়ে অন্তত ৩ মাসের জন্য মাঠের বাইরে চলে গেলেন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ও ডেনমার্কের মিডফিল্ডার ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন। মে মাসের আগে হয়তো এই মিডফিল্ডারের পক্ষে মাঠে ফেরা সম্ভব হবে না। ফলে চলতি মরসুমে আর তিনি খেলতে পারবেন না। ফলে সমস্যায় পড়ে গিয়েছেন ম্যান ইউ ম্যানেজার এরিক টেন হ্যাগ। রবিবার নিজেদের মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে রিডিংয়ের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল ম্যান ইউ। সেই ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে অ্যান্ডি ক্যারলের কড়া ট্যাকলে চোট পান এরিকসেন। ৫৭ মিনিটে এই মিডফিল্ডারকে তুলে নিতে বাধ্য হন ম্যান ইউ ম্যানেজার। এই ম্যাচে ৩-১ গোলে জয় পায় ম্যান ইউ। কিন্তু জয় পেলেও এরিকসেনের চোটে উদ্বিগ্ন ম্যান ইউ শিবির। ক্লাবের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের চোটের অবস্থা পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, এপ্রিলের শেষদিক বা মে মাসের শুরুর দিক পর্যন্ত মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে এরিকসেনকে।’

চলতি মরসুমে ম্যান ইউয়ের হয়ে নিয়মিত খেলার সুযোগ পাচ্ছিলেন এরিকসেন। তিনি ভালো পারফরম্যান্সও দেখাচ্ছিলেন। এই ড্যানিশ মিডফিল্ডারের উপর ভরসা ছিল ম্যান ইউ ম্যানেজারের। কিন্তু চোট পেয়ে মরসুমের শেষপর্যন্ত ছিটকে গেলেন এরিকসেন। তিনি এভাবে চোট পাওয়ায় অখুশি টেন হ্যাগ। 

এরিকসেনের চোটের জন্য ক্যারলের উপর ক্ষুব্ধ ম্যান ইউ সমর্থকরা। তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। এই ট্যাকলের জন্য ক্য়ারলকে হলুদ কার্ডও দেখানো হয়নি। সেটা নিয়ে রেফারির উপরেও ক্ষোভপ্রকাশ করছেন ম্যান ইউ সমর্থকরা। তাঁদের দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবে এরিকসেনকে এরকম ট্যাকল করেছেন ক্যারল। তাঁকে নির্বাসিত করা উচিত। 

ক্যারলের তীব্র সমালোচনা করেছেন ম্যান ইউ ম্যানেজারও। তিনি বলেছেন, ‘আমি অত্যন্ত হতাশ। খেলোয়াড়দের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য ফুটবলে কিছু বিধিনিষেধ জারি করা উচিত। সেরা খেলোয়াড়রা যাতে চোটমুক্ত অবস্থায় মাঠে থাকতে পারে, সেটা নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এই ধরেনর ট্যাকল যে ফুটবলার করে, তার মাঠে থাকা উচিত নয়। কারণ, এরকম ট্যাকল করলে অন্য ফুটবলারদের চোট পাওয়ার আশঙ্কা থাকে। আমরা যখন ক্রিস্টাল প্যালেসের বিরুদ্ধে খেলতে গিয়েছিলাম, তখন লিজান্দ্রো মার্টিনেজকে কনুই দিয়ে আঘাত করা হয়। কিন্তু সেই ঘটনার পর ফ্রি-কিকও দেননি রেফারি। এরকম কেন হচ্ছে আমি বুঝতে পারছি না।’

আরও পড়ুন-

কোপা ডেল রে সেমি ফাইনালে বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদ লড়াই, পিছিয়ে যাচ্ছে ম্যাচ

অবসর নেওয়ার আগে ফের ইউরোপের ক্লাবে খেলবেন রোনাল্ডো, দাবি আল-নাসর কোচের

আর্জেন্টিনার গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজের জন্যই বদলে যাচ্ছে পেনাল্টির নিয়ম!