সংক্ষিপ্ত

গত কয়েক মরসুমের ব্যর্থতা পিছনে ফেলে রেখে নতুন মরসুমে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ইস্টবেঙ্গল। ডুরান্ড কাপে দল যে পারফরম্যান্স দেখাচ্ছে, তাতে নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন সমর্থকরা।

হেভিয়ের সিভেরিওর একমাত্র গোলে পাঞ্জাব এফসি-কে হারিয়ে গ্রুপের সেরা হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল ইস্টবেঙ্গল। এদিন বড় ব্যবধানে জয় পেতে পারতেন নন্দকুমার শেখর, নাওরেম মহেশ সিংরা। কিন্তু বেশ কয়েকটি সুযোগ নষ্ট হয়। রেফারি একাধিকবার পেনাল্টির দাবি নাকচ করে দেন। ৪০ মিনিটে মহেশের ক্রস থেকে সিভেরিওর অসাধারণ হেড পোস্টে লাগে। না হলে লাল-হলুদের জয়ের ব্যবধান বাড়ত। তবে গ্রুপ টপকানোর জন্য ৩ পয়েন্টই দরকার ছিল ইস্টবেঙ্গলের। সেটা পাওয়ায় গোলসংখ্যা নিয়ে ভাবতে হল না। তবে লাল-হলুদ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত নিশ্চয়ই গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট নিয়ে ভাববেন এবং পরের ম্যাচে এই ভুল শুধরে নেওয়ার জন্য ফুটবলারদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবেন। কারণ, কঠিন ম্যাচগুলিতে সুযোগ নষ্ট হলে সমস্যা হতে পারে। কোয়ার্টার ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের প্রতিপক্ষ এখনও ঠিক হয়নি।

এদিনের ম্যাচের শুরুতে কিছুটা রক্ষণাত্মক ছিল ইস্টবেঙ্গল। সেই সুযোগে আক্রমণ করছিলেন পাঞ্জাবের ফুটবলাররা। হুয়ান মেরা একটি ভালো সুযোগ তৈরি করে নিয়েছিলেন। তবে সেই আক্রমণ কোনওক্রমে সামাল দিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই ম্যাচের রাশ ধরে নেন সল ক্রেসপো, জর্ডন এলসেরা। ২২ মিনিটে আসে কাঙ্খিত গোল। বোরহা হেরেরার কর্নার থেকে হেডে জালে বল জড়িয়ে দেন সিভেরিও। এই গোলই ইস্টবেঙ্গলকে কোয়ার্টার ফাইনালে তুলে নিয়ে গেল। যে গ্রুপে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট, আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে আইএসএল-এ যোগ দেওয়া পাঞ্জাব এফসি ছিল, সেই গ্রুপ থেকে ইস্টবেঙ্গলের কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়া খুব কঠিন ছিল। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ সেনা দলের সঙ্গে ড্র হওয়ায় লাল-হলুদের কাজটা আরও কঠিন হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারপর টানা ২ ম্যাচ জিতে ইস্টবেঙ্গল বুঝিয়ে দিল, এবারের দল লড়াই করে জয় ছিনিয়ে নিতে তৈরি।

চলতি মরসুূমে ইস্টবেঙ্গলকে সাফল্য এনে দিতে পারে কুয়াদ্রাতের মস্তিষ্ক। কলকাতা ডার্বিতেই তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, সামান্য সময় পেয়েই দল গুছিয়ে নিচ্ছেন। পাঞ্জাবের বিরুদ্ধেও অসাধারণ মুন্সিয়ানার পরিচয় দিলেন লাল-হলুদের স্প্যানিশ কোচ। দ্বিতীয়ার্ধে ঠিক সময়ে পাঞ্জাবের আক্রমণ বন্ধ করার জন্য বোরহাকে তুলে হোসে অ্যান্টনিও পার্দো লুকাসকে নামান কুয়াদ্রাত। এরপর ক্লেইটন সিলভাকেও মাঠে নামানো হয়। শেষদিকে সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়েও কিছু করতে পারেনি পাঞ্জাব। বরং শেষদিকে ইস্টবেঙ্গলেরই আক্রমণ বেশি ছিল। ক্লেইটন পুরোপুরি ফিট থাকলে হয়তো গোলও পেয়ে যেতেন। 

আরও পড়ুন-

Mohammed Habib: চলে গেলেন ময়দানের 'বড়ে মিঞা', স্বাধীনতা দিবসের দিন প্রয়াত ফুটবল তারকা মহম্মদ হাবিব

ইন্টার মায়ামির হয়ে নবম গোল, ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়নকে উড়িয়ে লিগস কাপ ফাইনালে মেসি

অভিনব উদ্বোধন! ডুরান্ড কাপের ট্রফি নিয়ে ৬৫ তলা থেকে ঝাঁপ দুই সেনাকর্তার