সংক্ষিপ্ত

গত কয়েক মরসুম ধরেই সাফল্য পাচ্ছে না ইস্টবেঙ্গল। তবে এবার দল গত কয়েক মরসুমের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে। ফলে এবার সব টুর্নামেন্টেই ভালো ফলের আশায় ইস্টবেঙ্গলের সদস্য-সমর্থকরা।

গোকুলম কেরালা এফসি-কে ২-১ গোলে হারিয়ে ডুরান্ড কাপ সেমি-ফাইনালে পৌঁছে গেল ইস্টবেঙ্গল। বৃষ্টিস্নাত বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে যোগ্য দল হিসেবেই জয় পেল ইস্টবেঙ্গল। প্রথম মিনিটেই গোল করেন জর্ডন এলসে। প্রথমার্ধের শেষে ১-০ এগিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের রং বদলে যায়। ৫৭ মিনিটে গোল করে সমতা ফেরান অ্যামিনোউ বোউবা। তিনিই আবার ৭৮ মিনিটে আত্মঘাতী গোল করে বসেন। ফলে সহজ জয় পেল লাল-হলুদ ব্রিগেড। ২৯ আগস্ট ঘরের মাঠেই নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড এফসি-র বিরুদ্ধে সেমি-ফাইনাল খেলবে ইস্টবেঙ্গল। সেই ম্যাচ জিতলেই ১১ বছর পর সর্বভারতীয় ট্রফি জয়ের হাতছানি। ২০১২ সালে শিলিগুড়িতে ফেডারেশন কাপ ফাইনালে ডেম্পো স্পোর্টস ক্লাবকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। তারপর থেকে আর সর্বভারতীয় ট্রফি নেই। তবে এবার সাফল্যের আশা জাগিয়েছেন সল ক্রেসপো, বোরহা হেরেরা, নাওরেম মহেশ সিংরা।

এদিন ম্যাচের শুরুটা চ্যাম্পিয়ন দলের মতোই করে ইস্টবেঙ্গল। প্রথম আক্রমণ থেকেই কর্নার হয়। বোরহার ক্রস থেকে হেডে বক্সে বল বাড়ান হেভিয়ের সিভেরিও। সেই বলে অসাধারণ হেডে গোল করেন দীর্ঘদেহী অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্ডার এলসে। প্রথম মিনিটেই গোল করে এগিয়ে যাওয়ার পর আক্রমণ চালিয়ে গেলেও, কিছুটা গা ছাড়া মনোভাব দেখা যায় ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড়দের মধ্যে। তারই সুযোগ নিয়ে চাপ বাড়াতে থাকে গোকুলম। এরই মধ্যে ৩১ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। হরমনজ্যোত সিং খাবরার পাস থেকে জোরালো শট নেন ক্রেসপো। কিন্তু সেই শট বারে লেগে ফিরে আসে। ৪১ মিনিটে গোল শোধ করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছিল গোকুলম। তবে অ্যালেক্স স্যানচেজের শট সেভ করে দেন ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার প্রভসুখন গিল।

দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধের লক্ষ্যে আক্রমণে গতি বাড়ায় গোকুলম। এই সময় লাল-হলুদ মাঝমাঠ কিছুটা ছন্নছাড়া হয়ে যায়। ফলে রক্ষণে চাপ বাড়ে। বোউবা সমতা ফেরানোর পর কিছুটা চাপে পড়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। এই সময় রক্ষণকে শক্তিশালী করার জন্য বোরহার পরিবর্তে হোসে অ্যান্টনিও পার্দো লুকাসকে নামান লাল-হলুদের প্রধান কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। এরপর তিনি সিভেরিওর পরিবর্তে ক্লেইটন সিলভাকে নামান। শেষদিকে নিশু কুমারের পরিবর্তে মন্দার রাও দেশাই, সৌভিক চক্রবর্তীর পরিবর্তে এডউইন বনসপল এবং নন্দকুমার শেখরের পরিবর্তে ভি পি সুহেরকে নামান কুয়াদ্রাত। তাঁর ম্যাচ রিডিং অসাধারণ। ফুটবলারদের পাশাপাশি কোচের মস্তিষ্কও ইস্টবেঙ্গলকে সেমি-ফাইনালে পৌঁছতে সাহায্য করল।

আরও পড়ুন-

তামান্না ভাটিয়ার 'কাভালা' গানে নেচে বার্সেলোনার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ উগান্ডার শিশুদের

এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে একই গ্রুপে মুম্বই সিটি এফসি ও আল-হিলাল, ভারতে খেলতে আসবেন নেইমার

Lionel Messi : লিওনেল মেসির কেরিয়ারের ৪৪-তম খেতাব, প্রথম ট্রফি ইন্টার মায়ামির