Durand Cup 2025: এবারের ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা আগেই নিশ্চিত করে ফেলেছিল ইস্টবেঙ্গল। রবিবার গ্রুপের শেষ ম্যাচ নিয়মরক্ষার ছিল। সেই ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের প্রধান কোচ অস্কার ব্রুজোঁর (Oscar Bruzon) চিন্তা বাড়ল।

DID YOU
KNOW
?
৬ মিলে গোল
রবিবার ডুরান্ড কাপে ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স ফুটবল টিমের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ৬ গোল করলেন ৬ জন ফুটবলার।

নিয়মরক্ষার ম্যাচে ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স ফুটবল টিমকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে চলতি ডুরান্ড কাপে (Durand Cup 2025) গ্রুপের তিন ম্যাচেই জয় পেল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC)। রবিবার কিশোর ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ম্যাচের ফল ৬-১। লাল-হলুদ ব্রিগেডের হয়ে গোল করলেন হামিদ আহাদাদ, বিপীন সিং, আনোয়ার আলি ও মহম্মদ বাসিম রশিদ। ম্যাচের শুরু থেকেই বায়ুসেনা দলের বক্সে ইস্টবেঙ্গলের একের পর এক আক্রমণ আছড়ে পড়ছিল। ৭ মিনিটে এডমুন্ড লালরিনডিকার ক্রস থেকে হেডে গোল করেন হামিদ। ২৫ মিনিটে নাওরেম মহেশ সিংয়ের থ্রু থেকে বক্সে ঢুকে গোলকিপারকে কাটিয়ে গোল করে ব্যবধান বাড়ান বিপীন। ৩৬ মিনিটে ব্যবধান কমায় বায়ুসেনা দল। জিজো জিরোনের ক্রস থেকে আমন খানের হেড পোস্টে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। প্রথমার্ধের শেষে ম্যাচের ফল ছিল ২-১। ৬৩ মিনিটে মিগুয়েলের কর্নার থেকে হেডে গোল করেন আনোয়ার। পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমেই ৬৮ মিনিটে দূরপাল্লার শটে গোল করেন রশিদ। ৮৫ মিনিটে এডমুন্ডের ক্রস শুভজিৎ সেভ করার পর ফিরতি বল জালে জড়িয়ে দেন পরিবর্ত সল ক্রেসপো। সংযোজিত সময়ে হেডে গোল করে ব্যবধান বাড়ান ডেভিড লাললানসাঙ্গা।

সুযোগ নষ্ট নিয়ে চিন্তা

প্রচুর সুযোগ তৈরি হচ্ছে। কিন্তু যত গোল হওয়ার কথা, তত গোল হচ্ছে না। চলতি ডুরান্ড কাপে পরপর দুই ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের একই ভুল করতে দেখা গেল। গোলের সুযোগ নষ্ট খেলারই অঙ্গ। কিন্তু শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে এত সুযোগ নষ্ট করলে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। রক্ষণেও ত্রুটি দেখা গেল। লেফট ব্যাক প্রভাত লাকড়া বল ধরলেই লাল-হলুদ শিবিরে আতঙ্ক তৈরি হচ্ছিল। ম্যাচের শুরু থেকে একের পর এক ভুল করে গেলেন লাকড়া। তবে লাকড়ার ভুলের পাশাপাশি নজরে পড়ল মিগুয়েল ফেরেইরা দামাস্কেনোর অসাধারণ পারফরম্যান্স। মাঝমাঠ নিয়ন্ত্রণ করলেন এই ব্রাজিলিয়ান। সতীর্থদের একের পর এক গোলের ঠিকানা লেখা বল বাড়ালেন। কিন্তু অধিকাংশ সুযোগই নষ্ট হল। আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডার কেভিন লিওনেল সিবিলেও ভালো পারফরম্যান্স দেখালেন। লাল-হলুদ জার্সি পরে পরপর দুই প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে গোল করলেন হামিদ। এয়ারফোর্সের গোলকিপার শুভজিৎ বসুও অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখালেন। তিনি একাধিক নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দিলেন। তবে দলের হার বাঁচাতে পারলেন না শুভজিৎ।

কোয়ার্টার ফাইনালে কলকাতা ডার্বি

ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (Mohun Bagan Super Giant) নিজেদের গ্রুপের শীর্ষ থাকলেও, ডুরান্ড কাপ কোয়ার্টার ফাইনালে কলকাতা ডার্বি হবে বলে শোনা যাচ্ছে। ডুরান্ড কমিটির এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কারণ, নিয়ম এরকম নয়। তবে ভারতীয় ফুটবলে অনেক নিয়ম বহির্ভূত ঘটনাই দেখা যায়। এক্ষেত্রেও হয়তো তেমনই হতে চলেছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।