সংক্ষিপ্ত

গড়ের মাঠের একাধিক ক্লাবের সঙ্গে পূর্ববঙ্গের যোগ আছে। ইস্টবেঙ্গল, উয়াড়ির মতো ক্লাবগুলি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন পূর্ববঙ্গ থেকে কলকাতায় আসা ব্যক্তিরা। এই কারণে এখন বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সদস্য-সমর্থকরা উদ্বিগ্ন।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর গত কয়েক মাস ধরে ক্রমাগত যে হামলা, অত্যাচার, বৈষম্যমূলক আচরণ চলছে, তার প্রতিবাদ করল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। সোমবার বিকেলে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তাঁবুতে সাংবাদিক বৈঠকে বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেন সচিব রূপক সাহা। তাঁর পাশে ছিলেন প্রাক্তন সচিব কল্যাণ মজুমদার। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের নামের মধ্যেই পূর্ববঙ্গের যোগ রয়েছে। এই ক্লাবের বেশিরভাগ কর্মকর্তা, সদস্য-সমর্থকের পূর্বপুুরুষ পূর্ববঙ্গ থেকে কলকাতায় এসেছিলেন। এখনও বাংলাদেশে অনেকের আত্মীয়-বন্ধুরা আছেন। ফলে বাংলাদেশে অশান্তি, সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার নিয়ে ইস্টবেঙ্গলের সদস্য-সমর্থকরা উদ্বিগ্ন। সরকারিভাবে ক্লাব সেই উদ্বেগ প্রকাশ করল।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বন্ধের ডাক

এক বিবৃতিতে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সচিব জানিয়ছেন, 'আপনারা সকলেই জানেন যে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব একটি প্রতিবাদ থেকে জন্মগ্রহণ করেছিল- "Racism" শব্দটি জনপ্রিয় হওয়ার এবং ফিফা চার্টারে স্থান পাওয়ার অনেক আগেই ইস্টবেঙ্গল ক্লাব racism-এর বিরুদ্ধে লড়াই করে ক্লাবের প্রতিস্থাপন করেছিল। সেই থেকে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব সর্বদাই জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করা থেকে শুরু করে ১৯৪৩ সালের বাংলার দুর্ভিক্ষ থেকে আয়লা এবং অতি সম্প্রতি কোভিড-১৯ অতিমারীতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো পর্যন্ত অনেক জন আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিল। এমনকী, দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব এবং তার বহু সদস্যের সক্রিয় ভূমিকা কারও অজানা নয়। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করা আমাদের ক্লাবের সমর্থকদের খুব গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। আমাদের সমর্থকদের অধিকাংশেরই পূর্বপুরুষের শিকড় পূর্ববঙ্গ তথা বাংলাদেশে। আমাদের অনেক সমর্থকের পরিবার, আত্মীয়স্বজন দেশভাগের আগে এবং পরবর্তী সময়ে এবং '৬০-এর দশকের শেষের দিকে এবং ‘৭০-এর দশকের প্রথম দিকে এই ধরনের আক্রমণের শিকার হয়েছেন। আমরা তাঁদের কাছ থেকে প্রচুর ফোন এবং ই-মেইল পাচ্ছি, যেখানে তাঁরা আমাদের এই বিষয়টি যথাযথ জায়গায় উত্থাপন করার অনুরোধ জানিয়েছেন I এমনকী, আমাদের সমর্থকরা যাঁরা পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের অন্যান্য অঞ্চল থেকে এসেছেন, তাঁরাও বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর এই ধরনের ব্যাপক নিপীড়ন বন্ধ হওয়া দরকার।’

শান্তি ফেরানোর ডাক ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের

ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সচিব আরও বলেছেন, 'আমরা সকল কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করতে চাই যে তাঁরা যেন দয়া করে এই সমস্যাটিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সীমান্তের ওপারে আমাদের মা, বোন ও ভাইদের বাঁচাতে এবং শান্তি স্থাপন করতে দিশা দেখান।'

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

আরও পড়ুন-

'বাংলাদেশকে রিকশাওয়ালার বউ ভাবে ভারত,' আওয়ামি লিগকে আক্রমণ করতে গিয়ে মাত্রা ছাড়ালেন বিএনপি নেতা

কুখ্যাত জঙ্গিদের রেহাই, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের হয়ে আদালতে সওয়াল করা আইনজীবীদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা!

YouTube video player