সংক্ষিপ্ত
থেকে যাচ্ছেন হিজাজি মাহের (Hijazi Maher)। জর্ডনের (Jordan) এই ডিফেন্ডারের সঙ্গে আরও দুই বছরের চুক্তি বাড়াল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)।
থেকে যাচ্ছেন হিজাজি মাহের (Hijazi Maher)। জর্ডনের (Jordan) এই ডিফেন্ডারের সঙ্গে আরও দুই বছরের চুক্তি বাড়াল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)।
প্রসঙ্গত, গত মরশুমে সুপার কাপ (Super Cup) ছাড়া আর কোনও বড় ট্রফি (Trophy) ঘরে তুলতে পারেনি লাল হলুদ ব্রিগেড। ডুরান্ড কাপের (Durand Cup) ফাইনালে উঠলেও, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানের (Mohun Bagan) কাছে হারতে হয় তাদের। অন্যদিকে, আইএসএল-এ (Indian Super League) সাময়িক ভালো খেললেও, শেষপর্যন্ত আশানুরুপ ফলাফল হয়নি। তাই এবার শুরু থেকেই যেন ঝাঁপাতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল (Emami East Bengal) টিম ম্যানেজমেন্ট (Team Management)।
ইতিমধ্যেই গত মরশুমে আইএসএল-এর (ISL) সেরা গোলদাতা দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকোসকে (Dimitrios Diamantakos) সই করিয়েছে তারা। সেইসঙ্গে, ইস্টবেঙ্গল চুক্তি বাড়িয়ে নিয়েছে মাঝমাঠের খেলোয়াড় সল ক্রেসপোর (Saul Crespo) সঙ্গেও। ধীরে ধীরে দলের শক্তি অনেকটাই বৃদ্ধি পাচ্ছে লাল হলুদ ব্রিগেডের।
এমনকি, গত মরশুমে মহামেডানের (Mohammedan Sporting Club) হয়ে দুরন্ত ফুটবল খেলা ২২ বছর বয়সী তরুণ অ্যাটাকিং সেন্টার-ফরোয়ার্ড (Attacking Centre-Forward) ডেভিডকেও (David) সই করিয়েছে তারা। আর লাল হলুদ কর্তাদের নজরে এবার দলের রক্ষণভাগ। তাই টিমের ডিফেন্সের অন্যতম বড় স্তম্ভ হিজাজি মাহেরের সঙ্গে আরও ২ বছরের চুক্তি বাড়িয়ে নিল ইস্টবেঙ্গল (Emami East Bengal)।
সবথেকে বড় বিষয়, লাল হলুদ জার্সি গায়ে মোট ১৭টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। সেইসঙ্গে, ৬টি ক্লিনশিট, ১৫টি ট্যাকল, ২২টি ব্লকিং এবং ৮৮টি রিকভারি রয়েছে তাঁর নামের পাশে। শুধু তাই নয়, ৯৯টি ক্লিয়ারেন্স ছাড়াও ৫০৫টি সফল পাস বাড়িয়েছেন সতীর্থদের দিকে।
এহেন একজন শক্তিশালী ডিফেন্ডারকেই (Defender) ধরে রাখল লাল হলুদ। এই প্রসঙ্গে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal Club) কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত (Carles Cuadrat) জানিয়েছেন, “হিজাজি আমাদের রক্ষণভাগের অন্যতম একজন গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার। ও অন্যান্য ক্লাব থেকে অফার পেলেও, আমাদের কথা ভেবেই একমাত্র থেকে গেছে। আগামী মরশুমে হিজাজি ইস্টবেঙ্গলকে (East Bengal Club) আরও ভালো ফুটবল উপহার দেবে বলেই আমার বিশ্বাস।”
আর চুক্তি বৃদ্ধির পর হিজাজি মাহের বলেন, “ইস্টবেঙ্গল সবসময় আমার হৃদয়ে একটা আলাদা জায়গায় থাকে। এই ক্লাবকে ঘিরে আমার অনেক বিশেষ বিশেষ মুহূর্ত রয়েছে। জর্ডনের বাইরে এসে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে আমি প্রথম সুপার কাপ ট্রফি জিতি। আমি সসবময় ফ্যানদের খুশি করার চেষ্টা করেছি। তাই আগামী মরশুমে আরও ভালো খেলতে চাই এই ক্লাবের হয়ে। আমার ওপর বিশ্বাস রাখার জন্য দলের কোচ এবং কর্তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই।”
সবমিলিয়ে, আক্রমণভাগের সঙ্গে সঙ্গেই দলের ডিফেন্স লাইন-আপকেও ধরে রাখার চেষ্টায় লাল হলুদ ব্রিগেড।
আরও পড়ুনঃ
আগামী মরশুমে লক্ষ্য একমাত্র ট্রফি জয়, এই ফরোয়ার্ডকে নিতে ঝাঁপাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল?
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।