সংক্ষিপ্ত

অপেক্ষার অবসান। তিনি আরও কারও নন, শুধু ইস্টবেঙ্গলের। আগামী চার বছরের চুক্তিতে লাল হলুদে যোগ দিলেন জিকসন সিং (Jeakson Singh Thounaojam)। শুক্রবার, ইস্টবেঙ্গলের তরফ থেকে করে দেওয়া হল সরকারি ঘোষণা।

অপেক্ষার অবসান। তিনি আরও কারও নন, শুধু ইস্টবেঙ্গলের। আগামী চার বছরের চুক্তিতে লাল হলুদে যোগ দিলেন জিকসন সিং (Jeakson Singh Thounaojam)। শুক্রবার, ইস্টবেঙ্গলের তরফ থেকে করে দেওয়া হল সরকারি ঘোষণা।

কথা চলছিল অনেকদিন ধরেই। কলকাতাতেও চলে এসেছিলেন জিকসন। শুধু বাকি ছিল সরকারি ঘোষণার। সেই জল্পনার যবনিকা পতন হল শুক্রবার। দলবদলের বাজারে যেন আরও একবার চমক দিল ইস্টবেঙ্গল (Emami East Bengal)।

প্রসঙ্গত, গত মরশুমে সুপার কাপ (Super Cup) ছাড়া আর কোনও বড় ট্রফি ঘরে তুলতে পারেনি লাল হলুদ ব্রিগেড। ডুরান্ড কাপের (Durand Cup) ফাইনালে (Final) উঠলেও, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানের (Mohun Bagan) কাছে হারতে হয় তাদের।

অন্যদিকে, আইএসএল-এ (Indian Super League) সাময়িক ভালো খেললেও, শেষপর্যন্ত আশানুরুপ ফলাফল হয়নি। অতএব, এবার শুরু থেকেই ঝাঁপায় ইস্টবেঙ্গল টিম ম্যানেজমেন্ট (Team Management)।

আর তাই তাদের নজরে ছিলেন তরুণ ডিফেন্সিভ-মিডফিল্ডার (Defensive-Midfielder) জিকসন সিং (Jeakson Singh Thounaojam)। ২৩ বছর বয়সী ভারতীয় এই ফুটবলারটিকে দলে নিতে ভীষণভাবেই আগ্রহী হয়ে পড়েন লাল হলুদ কর্তারা। সেইমতোই জোরকদমে শুরু হয়ে যায় কথাবার্তা। তারপরেই জিকসন সই করেন ইস্টবেঙ্গলে।

মূলত তাঁর জন্ম মণিপুরে (Manipur)। গত মরশুমে কেরালা ব্লাস্টার্স-এর (Kerala Blasters) জার্সি গায়ে অসাধারণ ফুটবল উপহার দেন তিনি। এখনও পর্যন্ত আইএসএল-এর (Indian Super League) মঞ্চে মোট ৭৮টি ম্যাচে মাঠে নেমেছেন জিকসন (Jeakson Singh Thounaojam)। করেছেন ২টি গোল এবং ২টি অ্যাসিস্ট।

সেইসঙ্গে, ২২২৭টি সফল পাস বাড়িয়েছেন সতীর্থদের দিকে। অন্যদিকে, ২৬টি গোলের সুযোগ তৈরি করার পাশাপাশি তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ৪০৫টি রিকভারি, ১০২টি ইন্টারসেপশন এবং ৬২টি ক্লিয়ারেন্স।

তবে শুধু ক্লাব ফুটবল নয়। জাতীয় দলের (National Team) জার্সি গায়েও জাত চিনিয়েছেন তরুণ ডিফেন্সিভ-মিডফিল্ডার জিকসন সিং (Jeakson Singh)। টিম ইন্ডিয়ার (Team India) অনূর্ধ্ব-১৭, অনূর্ধ্ব-১৯ এবং অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে ভালো ফুটবল (Football) খেলার সুবাদে তিনি সুযোগ পান সিনিয়র দলে (Senior Team)।

ভারতীয় ফুটবল দলের (Indian Football Team) হয়ে খেলেছেন সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন চ্যাম্পিয়নশিপ (South Asian Football Federation Championship), ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ (Intercontinental Cup), বিশ্বকাপের যোগ্যতানির্ধারণী (FIFA World Cup Qualifiers) ম্যাচ এবং আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলি ম্যাচ।

আর সেই জিকসনই এবার লাল হলুদে। মোট চার বছরের চুক্তিতে ইস্টবেঙ্গলে সই করলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে দলের কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত (Carles Cuadrat) জানিয়েছেন, “জিকসন জাতীয় দলের ফুটবলার। আমাদের দলের মাঝমাঠকে সমৃদ্ধ করবে ওর উপস্থিতি।”

অন্যদিকে, জিকসন বলছেন, “ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিয়ে গর্বিত বোধ করছি। লাল হলুদ ফ্যানদের এই উৎসাহ এবং উদ্দীপনাই আমাকে উজ্জীবিত করে তুলেছে। আরও ভালো ভালো মুহূর্ত আসবে। আমি এই ক্লাবের জন্য মাঠে নিজের সেরাটা উজাড় করে দিতে চাই।”

 

 

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।