সংক্ষিপ্ত

২০১৫ সালের একটি টুইটে ২০২২-এ মেসির বিশ্বকাপ জেতার ভবিষ্যতবানী করেছিলেন এক সমর্থক। আজ ম্যাচের আগে ফের একবার ভাইরাল হল সেই টুইট।

আর মাত্র কিছুক্ষণের অপেক্ষা। বিশ্বকাপের চূড়ান্ত লড়াইয়ে নামতে চলেছে আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। বিশ্বজোড়া সমর্থকদের চোখ এখন মেসির দিকে। ৩৬ বছরের যন্ত্রণা ভুলতে মেসিতেই ভরসা আর্জেন্টিনা সমর্থকদের। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে প্রতিপক্ষ দু'বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। এমবাপের গতির সামনে রক্ষণ সামলানোই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ফাইনাল ম্যাচের আগেই সাত বছর আগের একটি টুইট ঘিরে রীতিমত উত্তাল নেট দুনিয়া। ২০১৫ সালের একটি টুইটে ২০২২-এ মেসির বিশ্বকাপ জেতার ভবিষ্যতবানী করেছিলেন এক সমর্থক। আজ ম্যাচের আগে ফের একবার ভাইরাল হল সেই টুইট।

২১ মার্চ ২০১৫, একটি টুইটে এক সমর্থক লিখেছিলেন আগামী ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ সালে ৩৪ বছর বয়সে আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ জিতে ফিরবেন লিও মেসি। মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে সেই পোস্ট। মেসির কাপ জেতার অপেক্ষায় দিন গুনতে থাকে ভক্তরা। তারপর কেটে গিয়েছে সাত বছর। অবশেষে আজ সেই বিশেষ দিন, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২। ফাইনাল ম্যাচের কিছু আগেই ফের ভাইরাল হতে থাকে সাত বছর আগের পোস্ট। সমর্থকের ভবিষ্যতবানী কি আদৌ সত্যি হবে? সেই অপেক্ষাতেই আর্জেন্টিনা সমর্থকরা।

 

 

বিগত ১৬ বছর ধরে কার্যত ফুটবল বিশ্বে রাজত্ব করেছেন মেসি। ক্লাব ফুটবলে একের পর এক সাফল্য। বিশ্বের সেরার তালিকায় নিজের জায়গা করে নিয়েছেন লিও। আজকে দেশের জার্সিতে নিজের শেষ ম্যাচ খেলতে নামবেন তিনি। দেশের হয়ে ব্যর্থতার দাগ মোছার শেষ সুযোগ মেসির সামনে। বার্সেলোনার হয়ে লা লিগা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, কোপা দেল রে থেকে শুরু করে প্যারিস সঁ জরমঁ-এর লিগ ওয়ান যাবতীয় ট্রফি জেতা হয়ে গেলেও আন্তর্জাতিক ফুটবলে সফলতার নজির কম। দেশের হয়ে মাত্র একটি অলিম্পিক্স সোনা ও একটি কোপা আমেরিকা ছাড়া আর কিছুই নেই। কাপ জেতার এটাই শেষ সুযোগ মেসির সামনে। তবে ইতিহাস পক্ষে নেই আর্জেন্টিনার। ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপে পরাজয়। ২০১৪ সালে ফাইনালে উঠেও জার্মানির কাছে হার। ২০১০ সালে কোয়ার্টার ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ। ২০০৬ সালে প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে নেমেছিলেন মেসি। প্রথম ম্যাচে নেমে গোলও করেছিলেন তিনি। তাঁরপর ২০১০ সালে ফের বিশ্বকাপের মঞ্চে নামেন মেসি। খেলেছিলেন প্রধান ফুটবলার হিসেবেই। তখন আর্জেন্টিনার দায়িত্বে দিয়েগো মারাদোনা। তাঁরপর মোট পাঁচটি বিশ্বকাপে মোট ২৫টি ম্যাচ খেলেছেন মেসি। মোট গোলসংখ্যা ১১। অন্য আজকে মেসির উলটো দিকে দাঁড়িয়ে থাকা এমবাপে মাত্র দু'টি বিশ্বকাপেই খেলেছেন ১৩টি ম্যাচ। গোল সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯। এমবাপের গতির সামনে এখন টিকে থাকাই আর্জেন্টিনার সামনে মূল চ্যালেঞ্জ।