সংক্ষিপ্ত
আন্দ্রে ইনিয়েস্তার সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে ওলগা কারমনার। ইনিয়েস্তার গোলেই প্রথমবার পুরুষদের বিশ্বকাপ জিতেছিল স্পেন। ওলগার গোলে প্রথমবার মহিলাদের বিশ্বকাপ জিতল স্পেন।
মতি নন্দীর কালজয়ী উপন্যাস 'স্টপার'-এর কেন্দ্রীয় চরিত্র কমল গুহ একটি টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর জানতে পেরেছিলেন তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সেটা ছিল লেখকের কল্পনাপ্রসূত। কিন্তু বাস্তবে ঠিক এরকমই হল ফ্রান্সের মহিলা দলের অধিনায়ক ওলগা কারমনার সঙ্গে। নিজে গোল করে দেশকে প্রথমবার মহিলা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন করার পর ওলগা জানতে পারলেন, তাঁর বাবার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুশয্যায় ওলগার বাবার পাশে পরিবারের কেউই থাকতে পারেননি। ওলগার মা-সহ পরিবারের সদস্যরা সবাই বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখতে স্পেন থেকে অস্ট্রেলিয়ায় চলে আসেন। সেই সময়ই ওলগার বাবার মৃত্যু হয়। সোমবার স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে এই খবর জানানো হয়েছে। যদিও কী কারণে ওলগার বাবার মৃত্যু হয়েছে, সেটা জানানো হয়নি। শুধু এটুকু জানা গিয়েছে, তিনি অসুস্থ ছিলেন।
ওলগার পরিবারের সদস্যরা বিশ্বকাপ ফাইনালের আগেই খবর পান। কিন্তু তাঁরা ওলগাকে কিছু জানাননি। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর তাঁরা এই খবর দেন। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ওলগা জানিয়েছেন, 'আমি জানতাম না, বিশ্বকাপ ফাইনাল শুরু হওয়ার আগেই আমার ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। আমি জানি, বাবা আমাকে অনন্য কিছু অর্জন করার শক্তি দিয়েছো। আমি জানি, তুমি আমার খেলা দেখছিলে। তুমি আমার জন্য গর্বিত। শান্তিতে বিশ্রাম নাও বাবা।'
প্রথমবার মহিলাদের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর স্পেন শিবিরে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর একমাত্র গোলদাতা ওলগাকে ঘিরেই উচ্ছ্বাস ছিল সবচেয়ে বেশি। ওলগা তখনও বাবার মৃত্যুর কথা জানতেন না। ফলে তিনিও উচ্ছ্বাসে সামিল হন। দলের সবার সঙ্গে বিশ্বকাপ ট্রফিও নেন ওলগা। মাঠ ছাড়ার পর তিনি বাবার মৃত্যুর খবর জানতে পারেন।
স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলা হয়েছে, 'আমরা তোমাকে ভালোবাসি ওলগা। তুমি স্প্যানিশ ফুটবলের ইতিহাসের অঙ্গ।'
রবিবার অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফাইনালে ২৯ মিনিটে বক্সের মধ্যে থেকে ওলগার বাঁ পায়ের মাটি ঘেঁষা শট জালে জড়িয়ে যায়। এই গোলেই প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয় তাঁর দল। এর আগে সেমি-ফাইনালে সুইডেনের বিরুদ্ধেও জয়সূচক গোল করেন ওলগা। ২০১৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কার্লি লয়েড মহিলা বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনাল ও ফাইনালে গোল করেছিলেন। ৮ বছর পর এই নজির গড়লেন ওলগা। তিনিই ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। তবে আনন্দের মধ্যেই বাবাকে হারানোর শোক ওলগার।
আরও পড়ুন-
ব্রিটিশ ক্লাবে আমন্ত্রণ, মহিলা বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখলেন ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা
'আশা করি সাফল্য পাওয়া সবে শুরু হল,' ইন্টার মায়ামিকে প্রথম ট্রফি জিতিয়ে বার্তা মেসির
Lionel Messi : লিওনেল মেসির কেরিয়ারের ৪৪-তম খেতাব, প্রথম ট্রফি ইন্টার মায়ামির