সংক্ষিপ্ত
বড় খেলোয়াড়রা নিজেদের প্রমাণ করার জন্য বড় মঞ্চই বেছে নেন। ঠিক সেটাই করলেন আর্জেন্টিনার সুপারস্টার লিওনেল মেসি। ফের নিজের দক্ষতার প্রমাণ দিলেন তিনি।
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই অপ্রত্যাশিত হার। নক-আউটে যাওয়ার আশা জিইয়ে রাখতে গেলে দ্বিতীয় ম্যাচ জিততেই হবে। এই পরিস্থিতিতে লিওনেল মেসি, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, লটারো মার্টিনেজরা মরিয়া হয়ে জয়ের জন্য ঝাঁপাবেন বলেই আশা করেছিলেন আর্জেন্টিনা সমর্থকরা। প্রথমার্ধে বিশেষ কিছু করতে না পারলেও, দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে ঝলসে উঠল মেসির বিখ্যাত বাঁ পা। ৬৪ মিনিটে তাঁর অসাধারণ গোলে ১-০ এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। এবারের বিশ্বকাপে পরপর ২ ম্যাচে গোল করলেন মেসি। এরপর ৮৭ মিনিটে আরও একটি অসাধারণ গোল করেন এনজো ফার্নান্ডেজ। মেসি গোল করেন বাঁ পায়ের মাটি ঘেঁষা শটে। এনজো গোল করলেন ডান পায়ের সোয়ার্ভিং শটে। দুটো শটেরই নাগাল পাননি মেক্সিকোর গোলকিপার গিলেরমো ওচোয়া। ফলে মেক্সিকোর বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ২-০ গোলে জয় পেল আর্জেন্টিনা। ২ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ সি থেকে নক-আউটে যাওয়ার দৌড়ে প্রবলভাবে ফিরে এল আর্জেন্টিনা।
গ্রুপের শেষ ম্যাচে পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয় পেলেই নক-আউটে চলে যাবেন মেসিরা। সৌদি আরবকে হারিয়ে এখন গ্রুপ সি-র শীর্ষে পোল্যান্ড। ফলে এই গ্রুপের শেষ ম্যাচে মেসির সঙ্গে রবার্ট লেওয়ানডস্কির লড়াই। অন্য ম্যাচে মেক্সিকোর মুখোমুখি হবে সৌদি আরব। দুটো ম্যাচই সমান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেল।
সৌদি আরবের বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনার রক্ষণে সমস্যা দেখা গিয়েছিল। মেক্সিকোর বিরুদ্ধে একই ভুল করলে জয় পাওয়া যেত না। সে কথা মাথায় রেখেই রক্ষণে রদবদলের সিদ্ধান্ত নেন আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি। ক্রিস্টিয়ান রোমেরোর বদলে লিজান্দ্রো মার্টিনেজকে প্রথম একাদশে রাখেন স্কালোনি। এই একটা বদলই দলের খেলা বদলে দেয়। আর্জেন্টিনার রক্ষণ অনেক বেশি জমাট হয়ে ওঠে। তবে এদিনও আর্জেন্টিনার আক্রমণে বৈচিত্রের অভাব দেখা গিয়েছে। সতীর্থদের কাছ থেকে বল না পেয়ে মেসিকে বারবার নিজেদের অর্ধে নেমে আসতে হচ্ছিল। তিনি নিজেই আক্রমণ গড়ে তোলার চেষ্টা করছিলেন। দ্বিতীয়ার্ধে দুটো ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে জয় এসেছে বটে, কিন্তু নক-আউট পর্যায়ে আরও শক্তিশালী দলগুলির মোকাবিলা করতে হলে আর্জেন্টিনা দলকে আরও উন্নতি করতে হবে।
সৌদি আরবের বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনার হার অঘটনই ছিল। রোজ সেরকম অঘটন ঘটে না। তাছাড়া বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত আর্জেন্টিনাকে হারাতে পারেনি মেক্সিকো। ফলে সেই দলের বিরুদ্ধে মেসিদের জয় প্রত্যাশিতই ছিল। আর্জেন্টিনা সমর্থকদের আশা, মেসিদের এই ফর্ম বজায় থাকবে এবং কাতার বিশ্বকাপে অনেকদূর যাবেন তাঁরা।
আরও পড়ুন-
চাপ কাটাতে বিশ্বকাপের মাঝেই সতীর্থদের সঙ্গে নৈশভোজে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো
এমবাপের জোড়া গোল, ডেনমার্ককে হারিয়ে বিশ্বকাপের নক-আউটে নিশ্চিত ফ্রান্স
বিশ্বকাপের দৌড় থেকে বিদায় কাতারের, ওয়েলশকে হারিয়ে নক-আউটের আশায় ইরান