সংক্ষিপ্ত
কাতারে বিশ্বকাপ চলাকালীন জাতীয় দলের সতীর্থদের নিয়ে বাইরে খেতে গেলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। চাপ কাটানো এবং দলগত সংহতি বাড়ানোর জন্যই সবাই মিলে একসঙ্গে নৈশভোজ সারলেন।
এবারের বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ঘানার বিরুদ্ধে রীতিমতো ঘাম ঝরিয়ে জিততে হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষ উরুগুয়ে। সেই ম্যাচ জিততে পারলেই নক-আউটের রাস্তা পরিষ্কার হয়ে যাবে। তার আগে জাতীয় দলের সতীর্থদের সঙ্গে নৈশভোজে গেলেন পর্তুগালের সেরা তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। প্রথম ম্যাচে তিনি পেনাল্টি থেকে গোল করেছেন, দল জিতেছে। একাধিক নজিরও গড়েছেন 'সি আর সেভেন'। ফলে খোশমেজাজেই আছেন তিনি। এবারই হয়তো তাঁর শেষ বিশ্বকাপ। সেই কারণে এই প্রতিযোগিতা তাঁর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া এখন তাঁর কোনও ক্লাব নেই। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে চুক্তি ছেদ করেছেন তিনি। যৌথ সম্মতিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে বিশ্বকাপের পর অন্য কোনও ক্লাবে যোগ দিতে হবে তাঁকে। সেই কারণে কাতারে নিজেকে নতুন করে প্রমাণ করতে মরিয়া রোনাল্ডো। তিনি বুঝিয়ে দিতে চাইছেন, ৩৭ বছর বয়সেও ফুরিয়ে যাননি। এখনও তিনি দলকে জেতাতে পারেন।
১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান পেয়েছিল পর্তুগাল। সেটাই এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপে পর্তুগিজদের সেরা পারফরম্যান্স। ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে চতুর্থ স্থান পেয়েছিল পর্তুগাল। রোনাল্ডো দেশের হয়ে ইউরো কাপ জিতেছেন, কিন্তু একবারও বিশ্বকাপ জিততে পারেননি। অবসর নেওয়ার আগে তিনি অন্তত একবার বিশ্বকাপ জিততে চান। দেশকে প্রথমবার বিশ্বজয়ী করেই তিনি এই প্রতিযোগিতাকে বিদায় জানাতে চাইছেন।
পর্তুগাল শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘানার বিরুদ্ধে ম্যাচ জয়ের পর অনুশীলন থেকে ফুটবলারদের সাময়িক বিরতি দিয়েছিলেন কোচ ফেরান্দো স্যান্টোস। সেই অবকাশেই সতীর্থদের সঙ্গে নৈশভোজে যান রোনাল্ডো। পর্তুগাল দলের বেশিরভাগ ফুটবলারই রোনাল্ডোর সঙ্গে নৈশভোজে গিয়েছিলেন। শুধু হোসে সা, হোয়াও ক্যান্সেলো ও বার্নার্ডো সিলভা যাননি। কারণ, তাঁদের পরিবার কাতারে আছে। প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্যই রোনাল্ডোর সঙ্গে নৈশভোজে যাননি সংশ্লিষ্ট ফুটবলাররা। বাকিরা সবাই ছিলেন সেখানে। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের ২ ফুটবলার ব্রুনো ফার্নান্ডেজ ও দিয়োগো দালতকেও দেখা যায়।
স্পেনের একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, নিজের রেস্তোরাঁতেই জাতীয় দলের সতীর্থদের নিয়ে গিয়েছিলেন রোনাল্ডো। টেনিস তারকা রাফায়েল নাদালের সঙ্গে মিলে একটি রেস্তোরাঁ তৈরি করেছেন রোনাল্ডো। সেখানেই সতীর্থদের আপ্যায়ন করেন তিনি। নিজের রেস্তোরাঁয় সবার খাওয়ার যা খরচ হয়েছে, সেটা রোনাল্ডোই মিটিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বিশ্বকাপ জিততে হলে দলের সবার সাহায্য দরকার। সেই কারণেই হয়তো সতীর্থদের তরতাজা রাখার চেষ্টা করছেন রোনাল্ডো।
আরও পড়ুন-
বিশ্বকাপে গোল, বন্ধু মিচেল ডিউকের জন্য গর্বিত ইস্টবেঙ্গলের জর্জান ও'ডোহার্টি
এমবাপের জোড়া গোল, ডেনমার্ককে হারিয়ে বিশ্বকাপের নক-আউটে নিশ্চিত ফ্রান্স
বিশ্বকাপের দৌড় থেকে বিদায় কাতারের, ওয়েলশকে হারিয়ে নক-আউটের আশায় ইরান