সংক্ষিপ্ত

২০ বছর আগে এশিয়ার মাটিতে হওয়া প্রথম বিশ্বকাপ জিতেছিল রোনাল্ডো-রিভাল্ডো-রোনাল্ডিনহোদের ব্রাজিল। ফের এশিয়া থেকে ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরতে চায় ব্রাজিল দল।

১৯৯৪ থেকে ২০২২, টানা তিনবার বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছিল ব্রাজিল। তার মধ্যে ট্রফি এসেছিল ১৯৯৪ ও ২০০২ সালে। ১৯৯৮ সালে জিনেদিন জিদানের ফ্রান্সের কাছে হেরে রানার্স হতে হয়েছিল ব্রাজিলকে। কিন্তু বিশ্বকাপে সেলেকাওদের এই স্বপ্নের দৌড় জাপানেই শেষ হয়ে যায়। ২০ বছর কেটে গিয়েছে, আর বিশ্বকাপ জিততে পারেনি ব্রাজিল। ২০১৪ সালে নিজেদের দেশে বিশ্বকাপ সেমি ফাইনালে জার্মানির কাছে ১-৭ গোলে হেরে লজ্জার নজির গড়ে ব্রাজিল। ২০১৮ সালে রাশিয়ায় কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামের কাছে ১-২ গোলে হেরে যান নেইমাররা। এবার ফের রাশিয়ায় বিশ্বকাপ। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি চাইছেন থিয়াগো সিলভা, ভিনিসিয়াস জুনিয়ররা। কাতারেই দলকে ষষ্ঠবার বিশ্বকাপ জেতাতে পারবেন, আত্মবিশ্বাসী নেইমার। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন। ব্রাজিল এখনও পর্যন্ত ৫ বার বিশ্বকাপ জিতলেও, নেইমারের ব্লেজারে ৬টি তারা দেখা যাচ্ছে। যার অর্থ ষষ্ঠবার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া। ভারতীয় সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এবারের বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে ব্রাজিল। সেই ম্যাচে সেলেকাওদের সামনে সার্বিয়া। প্রথম ম্যাচ খেলতে নামার আগেই আত্মবিশ্বাসে ভরপুর নেইমার।

 

View post on Instagram
 

 

ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থেকেই কাতারে খেলতে নামছে ব্রাজিল। কাতারে পা রাখার আগে কোচ তিতে দলকে নিয়ে ইতালির তুরিন শহরে কয়েকদিনের জন্য প্রস্তুতি শিবির আয়োজন করেন। সেই প্রস্তুতি শিবির বিশ্বকাপ জিততে সাহায্য করবে বলেই আশাবাদী ব্রাজিল শিবির। নেইমারও আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে। তিনি বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে জানিয়েছেন, কাতারে অন্তত ৫ গোল করাই তাঁর লক্ষ্য। তবে শুধু গোল করাই নয়, দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে গেলে সতীর্থদের দিয়ে গোল করাতেও হবে নেইমারকে। তাঁর একার পক্ষে দলকে বিশ্বকাপ জেতানো সম্ভব নয়। দলের সবাই সেরা খেলা খেলতে পারলে তবেই চ্যাম্পিয়ন হতে পারে ব্রাজিল।

প্যারিস সাঁ জা-য় নেইমারের সতীর্থ লিওনেল মেসিও তাঁর দেশ আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতাতে মরিয়া। তাঁদের ক্লাব দলের অপর এক সতীর্থ কিলিয়ান এমবাপে গত বিশ্বকাপ ফাইনালে গোল করে ফ্রান্সকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। এবারও যথেষ্ট শক্তিশালী দল ফ্রান্স। ফলে ব্রাজিলের লড়াই মোটেই সহজ নয়। নেইমার যতই আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠুন না কেন, মাঠে নেমে তবেই আসল কাজ করতে হবে।

অনেকেই এবার সার্বিয়াকে শক্তিশালী দল বলে চিহ্নিত করেছেন। ফলে ব্রাজিলের প্রথম ম্যাচও হয়তো সহজ হবে না। তবে চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে ভাল দলকে হারাতেই হবে। ২০০২ সালে সব ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ব্রাজিল। এবারও সেটাই লক্ষ্য নেইমারদের।

আরও পড়ুন-

সৌদি আরবের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করতে চলেছে আর্জেন্টিনা, কি বললেন মেসি

পেনাল্টি থেকে গোল শোধ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ওয়েলশের মান বাঁচালেন গ্যারেথ বেল

ইরানের বিরুদ্ধে অনায়াসে ৬-২ গোলে জয়, বিশ্বকাপের শুরুতেই ছন্দে ইংল্যান্ড