সংক্ষিপ্ত
কাতার বিশ্বকাপে পর্তুগালের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামার আগেই ক্লাব দল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ছাড়লেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। যৌথ সম্মতিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমে বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারের পর পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পক্ষে যে আর ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে থাকা সম্ভব হবে না, সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। রোনাল্ডো নিজেও বুঝিয়ে দেন, তিনি আর ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে খেলতে চান না। ক্লাবের পক্ষ থেকে রোনাল্ডোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন ম্যান ইউ কর্তারা। শেষপর্যন্ত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ম্যান ইউয়ের পক্ষ থেকে জানানো হল, রোনাল্ডোর সঙ্গে চুক্তি ছেদ করা হল। যৌথ সম্মতিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে রোনাল্ডোকে বহিষ্কার করা হল না চলতি মরসুমের বাকি ৭ মাসের অর্থ দেওয়া হচ্ছে, সেটা এখনও জানা যায়নি। অতি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে ম্যান ইউয়ের পক্ষ থেকে শুধু রোনাল্ডোর ক্লাব ছাড়ার খবর জানানো হয়েছে। এরপর রোনাল্ডো কী করবেন, সেটাও এখনও স্পষ্ট নয়। তিনি চেলসিতে যোগ দিতে পারেন বলে অনেকদিন ধরেই জল্পনা চলছে। এবার হয়তো স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে দেখা যেতে পারে 'সি আর সেভেন'-কে।
ম্যান ইউয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, 'ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো যৌথ সম্মতিতে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ছাড়ছেন। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হচ্ছে। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে দু'বার মিলিয়ে যে অসামান্য অবদান রেখেছেন, তার জন্য ক্লাব তাঁকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে। তিনি ক্লাবের হয়ে ৩৪৬ ম্যাচে ১৪৫ গোল করেছেন। তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে ভবিষ্যতের জন্য শুভেচ্ছা জানানো হচ্ছে। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে সবাই শুধু খেলা নিয়েই ভাবছেন। এরিক টেন হ্যাগের অধীনে দলের যাতে উন্নতি হয়, সেটা সবাই নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন। সবাই একসঙ্গে মিলে মাঠে দলকে সাফল্য এনে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।'
রোনাল্ডো এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, 'ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা যৌথভাবে চুক্তির মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই চুক্তি শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আম ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডকে ভালবাসি। ম্যান ইউ সমর্থকদেরও আমি ভালবাসি। এই ভালবাসা কোনওদিন বদলাবে না। তবে আমার মনে হচ্ছে, এটাই নতুন চ্যালেঞ্জ নেওয়ার উপযুক্ত সময়। আমি এই মরসুমের বাকি সময়টা এবং ভবিষ্যতে দলের সাফল্য কামনা করি।'
ইংল্যান্ডের এক সাংবাদিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্লাবের পরিকাঠামো, পরিবেশ নিয়ে সরব হন রোনাল্ডো। তিনি তীব্র আক্রমণ করেন ম্যানেজার টেন হ্যাগকে। দলে বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছেন বলেও দাবি করেন রোনাল্ডো। এরপর আর তাঁর পক্ষে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে থাকা সম্ভব ছিল না।
আরও পড়ুন-
সাফল্য জাম্বিয়া, আইভরি কোস্টের হয়ে, সৌদি ফুটবলকেও বদলে দিচ্ছেন হার্ভে রেনার্ড
প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে হার আর্জেন্টিনা-র, লজ্জায় মুখ ঢাকলেন অধিনায়ক মেসি
প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে হার, বিশ্বকাপের শুরুতেই বিপদে আর্জেন্টিনা