সংক্ষিপ্ত

নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে ইকুয়েডরের ম্যাচ ১-১ গোলে শেষ হতেই সরকারিভাবে এবারের বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল আয়োজক দেশ কাতার। শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে হারালেও নক-আউটে যেতে পারবে না কাতার।

এবারের বিশ্বকাপে অসাধারণ নজির গড়লে ইকুয়েডরের অধিনায়ক এনার ভ্যালেন্সিয়া। তিনি বিশ্বকাপে নিজের দেশের হয়ে পরপর ৬টি গোল করলেন। বিশ্বকাপে ইকুয়েডরের গত ৬টি গোলই এসেছে ভ্যালেন্সিয়ার মাথা বা পা থেকে। এবার প্রথম ম্যাচে কাতারের সঙ্গে জোড়া গোল করেন ভ্যালেন্সিয়া। তারপর শুক্রবার দ্বিতীয় ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধেও গোল করলেন ভ্য়ালেন্সিয়া। তাঁর গোলেই সমতা ফেরায় ইকুয়েডর। শেষদিকে চোট পেয়ে উঠে যান তিনি। শেষপর্যন্ত ম্যাচ ১-১ গোলে শেষ হয়। এই ম্যাচের ৬ মিনিটেই কডি গাকপোর গোলে এগিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। কিন্তু শুরুতে পিছিয়ে পড়েও হাল ছাড়েনি ইকুয়েডর। ৪৯ মিনিটে গোল করে সমতা ফেরান ভ্যালেন্সিয়া। এরপরেও একাধিক সুয়োগ পেয়েছিল ইকুয়েডর। কিন্তু ভ্যালেন্সিয়াদের পক্ষে আর গোল করা সম্ভব হয়নি। বার বাধা হয়ে না দাঁড়ালে হয়তো গোল পেতে পারত ইকুয়েডর। কিন্তু শেষপর্যন্ত সেটা আর হয়নি। তবে এদিন ড্র করার পরেও ইকুয়েডরের নক-আউটে যাওয়ার আশা বজায় থাকল। গ্রুপের শেষ ম্যাচে সেনেগালকে হারাতে পারলেই নক-আউটে চলে যাবে ইকুয়েডর। গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে কাতারের মুখোমুখি হবে নেদারল্যান্ডস। সেই ম্যাচ জিতলে ডাচরাও নক-আউটে চলে যাবে। গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলতে নামার আগেই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল কাতার। 

এদিন ইকুয়েডর-নেদারল্যান্ডস ম্যাচটি অত্যন্ত উপভোগ্য হয়। ইকুয়েডর জিতলেই খেলার ধারার সঙ্গে উপযুক্ত ফল হত। ভ্যালেন্সিয়াদেরই ম্যাচটা জেতা উচিত ছিল। শুরুতে গোল করে এগিয়ে গেলেও, ডাচরা কোনও সময়ই ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করতে পারেননি। বরং ইকুয়েডরই প্রাধান্য বিস্তার করছিল। বারবার ডাচ রক্ষণকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিচ্ছিলেন ভ্যালেন্সিয়া। প্রথমার্ধের শেষদিকে গোল করে ফেলেছিলেন ইকুয়েডরের পারভিস এস্তুপিনান। কিন্তু জ্যাকসন পোরজো অফসাইডে থাকায় গোল বাতিল করে দেন রেফারি। বল যখন গোলের দিকে যাচ্ছিল, তখন পোরজো সেই বলে পা ছোঁয়ানোর চেষ্টাই করেননি। ফলে কেন অফসাইডের জন্য গোল বাতিল করা হল, সেই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। রেফারির সিদ্ধান্ত বিপক্ষে গেলেও, হাল ছেড়ে দেয়নি ইকুয়েডর। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতা ফেরান ভ্যালেন্সিয়া। এই গোলই তাঁদের ১ পয়েন্ট এনে দিল।

প্রথম ম্যাচে সেনেগালের বিরুদ্ধে কষ্ট করে জিততে হয়েছিল ডাচদের। এদিন ইকুয়েডরের বিরুদ্ধেও সমস্যায় পড়তে হল। পারফরম্যান্সের উন্নতি না হলে নক-আউট পর্যায়ে সমস্যায় পড়তে হতে পারে নেদারল্যান্ডসকে। বিশেষ করে রক্ষণের সমস্যা দূর করতে হবে নেদারল্যান্ডসকে।

আরও পড়ুন-

হিজাব-বিরোধী আন্দোলনকে সমর্থন, দেশবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে গ্রেফতার ইরানের ফুটবলার

চোটের জন্য বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্যায়ে আর কোনও ম্যাচে খেলতে পারবেন না নেইমার

কাতারে জোগো বোনিতো, প্রথম ম্যাচেই সাম্বা ম্যাজিক, রিচার্লিসনের জোড়া গোলে জয়