সংক্ষিপ্ত
এবারের বিশ্বকাপে এশিয়ার দলগুলির চমক অব্যাহত। জাপানের পর কাতার বিশ্বকাপের নক-আউটে পৌঁছে গেল দক্ষিণ কোরিয়াও। গ্রুপ থেকে ছিটকে গেল উরুগুয়ে।
অসাধারণ লড়াই করে গ্রুপ এইচ-এর শেষ ম্যাচে পর্তুগালকে ২-১ গোলে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের নক-আউটে পৌঁছে গেল দক্ষিণ কোরিয়া। পর্তুগাল এই গ্রুপের শীর্ষে থাকল। দ্বিতীয় স্থান পেল দক্ষিণ কোরিয়া। ফলে ছিটকে গেল বাকি ২ দল উরুগুয়ে ও ঘানা। ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট পর্তুগালের। ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট দক্ষিণ কোরিয়ার। ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট উরুগুয়েরও। কিন্তু ৪ গোল দিয়ে ৪ গোল খেয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। সেখানে ২ গোল দিয়ে ২ গোল খেয়েছে উরুগুয়ে। বেশি গোল করার সুবাদেই নক-আউটে পৌঁছে গেল দক্ষিণ কোরিয়া। এই গ্রুপে চতুর্থ স্থানে থাকল ঘানা। ৩ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট পেয়ে আফ্রিকার দলটির বিশ্বকাপ অভিযান এবারের মতো শেষ হল। উরুগুয়ের ২ তারকা লুই সুয়ারেজ ও এডিনসন কাভানিকে হয়তো আর বিশ্বকাপে দেখা যাবে না। বিশেষ করে সুয়ারেজের এটাই শেষ বিশ্বকাপ। কাতার থেকে হতাশ হয়েই ফিরতে হচ্ছে এই স্ট্রাইকারকে।
এই নিয়ে ১১ বার বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলছে দক্ষিণ কোরিয়া। তার মধ্যে তৃতীয়বার গ্রুপ টপকাতে সক্ষম হল এশিয়ার দলটি। ২০০২ সালে নিজেদের দেশে বিশ্বকাপে প্রথমবার নক-আউটের যোগ্যতা অর্জন করে দলটি। সেবার তারা সেমি ফাইনালে পৌঁছে যায়। ২০১০ সালের বিশ্বকাপেও নক-আউটে পৌঁছে যায় দক্ষিণ কোরিয়া। এবার নক-আউটে হয়তো ব্রাজিলের মুখোমুখি হবে দক্ষিণ কোরিয়া। ফলে সন হিউং-মিনদের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছনো কঠিন।
নক-আউটে যেতে হলে পর্তুগালের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিতলেই হত না, অন্য ম্যাচের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হত দক্ষিণ কোরিয়াকে। ম্যাচের শুরুটা দেখে কিন্তু মনে হয়নি শেষপর্যন্ত জয় পাবে এশিয়ার দলটি। ম্যাচের ৫ মিনিটের মধ্যেই গোল করে এগিয়ে যায় পর্তুগাল। গোল করেন রিকার্ডো হোর্তা। তবে পিছিয়ে পড়েও লড়াই ছাড়েনি দক্ষিণ কোরিয়া। ২৭ মিনিটেই গোল করে সমতা ফেরান কিম ইয়ং-গাউন। প্রথমার্ধে আর কোনও দলই গোল করতে পারেনি। অন্য ম্যাচের প্রথমার্ধেই তখন ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছে উরুগুয়ে। ফলে তখন মনে হচ্ছিল, পর্তুগালের পাশাপাশি উরুগুয়েই নক-আউটে পৌঁছে যাবে। কিন্তু ইনজুরি টাইমে দ্বিতীয় গোল করে দক্ষিণ কোরিয়ার জয় নিশ্চিত করেন হোয়াং হি-চ্যান।
এই গ্রুপ দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষে যথেষ্ট কঠিন ছিল। কিন্তু উরুগুয়েকে টপকে অনায়াসে নক-আউটে পৌঁছে গেল এশিয়ার দলটি। এবারের বিশ্বকাপে এশিয়ার দলগুলির পারফরম্যান্স দুর্দান্ত। বিশেষ করে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া অসাধারণ খেলছে।
আরও পড়ুন-
ঘানাকে হারিয়েও শেষরক্ষা হল না, বিশ্বকাপের গ্রুপ থেকেই বিদায় উরুগুয়ের
জাপানের দ্বিতীয় গোলের আগেই গোললাইন পেরিয়ে গিয়েছিল বল? ভি এ আর নিয়ে প্রশ্ন লুইস এনরিকের
গ্রুপের শীর্ষে থেকে নক-আউটের লড়াইয়ে, এশিয়ার ফুটবলের মান বাড়াল জাপান