সংক্ষিপ্ত

ভারতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক বাইচুং ভুটিয়া বরাবরই দলাই লামার পাশে থাকার বার্তা দেন। ফের বৌদ্ধধর্মের সবচেয়ে বেশি শ্রদ্ধেয় গুরুর পক্ষে মুখ খুললেন বাইচুং।

২০০৮ সালে বেজিং অলিম্পিক্সের আগে চিনের বিরোধিতা করেছিলেন ভারতীয় ফুটবল দলের তৎকালীন অধিনায়ক বাইচুং ভুটিয়া। তিনি বেজিং অলিম্পিক্স বয়কট করার ডাকও দিয়েছিলেন। ভারতীয় ফুটবল দল দীর্ঘ কয়েক দশক অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করতে পারছে না বলে বাইচুংয়ের সেই মন্তব্য নিয়ে জাতীয় স্তরে খুব বেশি আলোচনা হয়নি। কিন্তু ১৫ বছর পরেও চিন-বিরোধী অবস্থানে অনড় বাইচুং। সোমবার ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে ভারতীয় ফুটবলের আইকন বলেছেন, 'আমি সবসময় দলাই লামার সমর্থক। চিনে যখন অলিম্পিক্স হয়েছিল, আমিই বিশ্বের একমাত্র অ্যাথলিট হিসেবে অলিম্পিক্স টর্চ বয়কট করেছিলাম। দলাই লামার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, আমি তার নিন্দা করছি। আমি দলাই লামার পাশে আছি, তাঁকে সমর্থন করছি।'

 

View post on Instagram
 

 

এখন নিজের রাজ্য সিকিমেই আছেন বাইচুং। সোমবার সকালে তিনি একটি বৌদ্ধ মঠে যান। সেখানে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের সঙ্গে ফুটবল খেলতে দেখা যায় তাঁকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও শেয়ার করে বাইচুং লিখেছেন, 'সন্ন্যাসীদের সঙ্গে ফুটবল খেলছি। ফুটবল সবাইকে অনুপ্রাণিত করে এবং ঐক্যবদ্ধ করে।' 

 

View post on Instagram
 

 

গত কয়েক দশক ধরেই ধর্মশালায় আছেন দলাই লামা। কেন্দ্রীয় সরকার তাঁক সসম্মানে এদেশে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। চিনের সঙ্গে যে ইস্যুগুলি নিয়ে ভারতের সমস্যা রয়েছে, তার অন্যতম দলাই লামা। কেন্দ্রীয় সরকার বরাবরই দলাই লামার পক্ষে। চিন যতই বিরোধিতা করুক, দলাই লামার প্রতি সবসময় ভারতের সমর্থন আছে। 

সম্প্রতি চিনের পক্ষ থেকে ফের দলাই লামার বিরোধিতা করা হয়েছে। বৌদ্ধ ধর্মগুরুর ভাবমূর্তির ক্ষতি করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে দাবি তাঁর অনুগামীদের। শনিবার লাদাখের রাজধানী লে-তে দলাই লামার অনুগামীরা মিছিল করেন। অনেকে মাথা ন্যাড়া করে 'দলাই লামা' লিখেছেন। লাদাখ বুদ্ধিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ও লাদাখ গনপা অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে যৌথভাবে এই মিছিল আয়োজন করা হয়েছিল। এক বিবৃতিতে এই দুই সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘যে অপশক্তি দলাই লামার ভাবমূর্তির ক্ষতি করার চেষ্টা করছে, আমরা তাদের নিন্দা করছি।’

লাদাখের সাংসদ জামইয়াং শেরিং নামগিয়ালও দলাই লামার পক্ষে দাঁড়িয়ে বলেছেন, ‘আমদের বৌদ্ধধর্মের শিক্ষার কথা মনে রাখতে হবে। বৌদ্ধধর্মের নীতি শান্তি ও অহিংসার উপর দাঁড়িয়ে আছে। এই নীতিতে ভিত্তিহীন অভিযোগের কোনও জায়গা নেই। সত্য ও ন্যায়বিচার যাতে প্রতিষ্ঠিত হবে, আমাদের সেই চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।’

আরও পড়ুন-

জামশেদপুর এফসি-র কাছে ০-৩ হার, সুপার কাপ থেকে বিদায় এটিকে মোহনবাগানের

Bengaluru FC: হেড না ক্যাচ? কোচের সঙ্গে মজার খেলায় সুনীল ছেত্রী-রয় কৃষ্ণরা

ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে সবচেয়ে বেশি গোল, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে টপকে গেলেন লিওনেল মেসি