সংক্ষিপ্ত

আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সুপার কাপ জেতার লক্ষ্যেই কেরালা উড়ে গিয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। কিন্তু হতাশাজনকভাবে শেষ হল মরসুম। একটি ম্যাচ বাকি থাকতেই সুপার কাপ থেকে বিদায় নিল সবুজ-মেরুন।

চৈত্রের শেষ দিন সুপার কাপে গ্রুপ সি-র দ্বিতীয় ম্যাচে জামশেদপুর এফসি-র কাছে ০-৩ হেরে সুপার কাপ থেকে ছিটকে গেল এটিকে মোহনবাগান। ফলে সবুজ-মেরুন সমর্থকদের পয়লা বৈশাখের আনন্দ কিছুটা ম্লান হয়ে গেল। গ্রুপের প্রথম ম্যাচে গোকুলম কেরালাকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে জামশেদপুরের বিরুদ্ধেও জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিল সবুজ-মেরুন শিবির। যদিও লিস্টন কোলাসো, হুগো বুমোসরা বলেছিলেন, জামশেদপুরের বিরুদ্ধে লড়াই সহজ হবে না। তাঁরা সতর্ক ছিলেন। কিন্তু সতর্কতা সত্ত্বেও বড় ব্যবধানে হেরে গেল এটিকে মোহনবাগান। শেষ ম্যাচে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে জয় পেলেও সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের পক্ষে সেমি ফাইনালে যাওয়া সম্ভব হবে না। কারণ, প্রথম ম্যাচে গোয়ার বিরুদ্ধে ৫-৩ গোলে জয় পেয়েছে জামশেদপুর। তারা দ্বিতীয় ম্যাচে ৩-০ জয় পেল। ফলে এটিকে মোহনবাগান ও জামশেদপুরের আর কোনও সুযোগ নেই।

এদিন শুরু থেকেই সবুজ-মেরুনকে চাপে ফেলে দেয় জামশেদপুর। জোড়া গোল করেন বরিস সিং। অপর গোলটি করেন হ্যারি সয়্য়ার। প্রথমমার্ধের শেষে ২-০ এগিয়েছিল জামশেদপুর। ২২ মিনিটে প্রথম গোল করেন বরিস। রাফায়েল ক্রিভেলারোর ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে সবুজ মেরুনের জালে বল জড়িয়ে দেন বরিস। এরপর ৪৩ মিনিটে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করেন জামশেদপুরের উইঙ্গার। প্রথমার্ধে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল জামশেদপুর। প্রথম গোলের কিছুক্ষণ পরেই ক্রিভেলারোর ফ্রি-কিক পোস্টে লেগে ফিরে আসে। বরিসের শট গোললাইন থেকে বাঁচিয়ে দেন সবুজ-মেরুন অধিনায়ক প্রীতম কোটাল। ৩৬ মিনিটে ক্রিভেলারোর ফ্রি-কিক থেকে হেডে গোল করেন ড্যানিয়েল চিমা চুকু। কিন্তু অফসাইডের জন্য সেই গোল বাতিল করেন রেফারি। 

দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধের চেষ্টা শুরু করে এটিকে মোহনবাগান। বুমোস, দিমিত্রিয়স পেট্রাটসরা গোলের সুযোগ নষ্ট করেন। আশিস রাইও সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। জামশেদপুরের রক্ষণ অটুট ছিল। প্রতি-আক্রমণেও বিশেষ সুবিধা করতে পারছিল না সবুজ-মেরুন। লিস্টন কোলাসো গত ম্যাচে জোড়া গোল করলেও, জামশেদপুরের ডিফেন্ডারদের সঙ্গে এঁটে উঠতে পারেননি। মনবীর সিংও এদিন ফর্মে ছিলেন না। ফ্রি-কিক কাজে লাগানোর চেষ্টা করছিলেন দিমিত্রিয়স। কিন্তু সেই চেষ্টা সফল হয়নি। ফলে শূন্য হাতেই কেরালা থেকে ফিরতে হচ্ছে এটিকে মোহনবাগানকে। 

সুপার কাপ থেকে বিদায় নেওয়ার পর এবার পরবর্তী মরসুমের জন্য পরিকল্পনা শুরু করল এটিকে মোহনবাগান। তবে দলে হয়তো খুব বেশি বদল হবে না। আইএস চ্যাম্পিয়ন দলের বেশিরভাগ ফুটবলারকেই ধরে রাখা হবে।

আরও পড়ুন-

৩-১ এগিয়ে থেকে হায়দরাবাদের সঙ্গে ড্র, সুপার কাপ থেকে বিদায়ের মুখে ইস্টবেঙ্গল

Bengaluru FC: হেড না ক্যাচ? কোচের সঙ্গে মজার খেলায় সুনীল ছেত্রী-রয় কৃষ্ণরা

ব্রাজিল, ফ্রান্সকে টপকে ৬ বছর পর ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে আর্জেন্টিনা