সংক্ষিপ্ত
আইএসএলে (ISL) লাগাতার তিন ম্যাচে হারের মুখ দেখল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। ম্যাচ শেষে বেরোনোর মুখে গো-ব্যাক স্লোগান শুনতে হল লাল হলুদ হেড স্যার কার্লোস কুয়াদ্রাতকে (Carles Cuadrat)।
আইএসএলে (ISL) লাগাতার তিন ম্যাচে হারের মুখ দেখল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। ম্যাচ শেষে বেরোনোর মুখে গো-ব্যাক স্লোগান শুনতে হল লাল হলুদ হেড স্যার কার্লোস কুয়াদ্রাতকে (Carles Cuadrat)।
প্রিয় দলকে ঘিরে ফ্যানদের আশা এবং স্বপ্ন থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের যা পারফরম্যান্স, তাতে সেই স্বপ্নে চির ধরেছে সমর্থকদের। শুরুতেই ডুরান্ড কাপ থেকে বিদায়। তারপর এএফসি-র প্রাথমিক পর্বের ম্যাচে হার।
তাই আইএসএল নিয়ে অনেকটাই আশা ছিল তাদের মনে। কিন্তু সেখানেও যথেষ্ট নড়বড়ে লাল হলুদ ব্রিগেড। পরপর তিন ম্যাচে হার। কার্যত, হারের হ্যাটট্রিক। স্বভাবতই, ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে গেছে ইস্টবেঙ্গল জনতার।
শুক্রবার, যুবভারতীতে রক্ষণের লাল হলুদ উলঙ্গ চেহারা আবার একবার সামনে এল। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল বোরহা হেরেরা (Borja Herrera)। তিনি লাল হলুদের প্রাক্তন সৈনিক। কিন্তু এখন এফসি গোয়ার (FC Goa) অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একজন ফুটবলার। এদিন হ্যাটট্রিক করলেন। এফসি গোয়ার হয়ে যেন মাঠে ফুল ফোটালেন। আক্রমণে ঝড় তুলে একেবারে নাজেহাল করে দিলেন ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সকে।
আর সেইসঙ্গে বুঝিয়ে দিলেন যে, তিনি এখনও ফুরিয়ে যাননি। প্রমাণ করলেন নিজের পুরনো দলের সামনে। বলা চলে, যোগ্য জবাবটাও হয়ত দিয়ে গেলেন।
আর এখানেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কোচের ম্যাচ রিডিং এবং পরিকল্পনা নিয়ে। মাঝমাঠ থেকে অ্যাটাক, গোটা ম্যাচে খেলার দখলই নিতে পারেনি লাল হলুদ ব্রিগেড। অনেকেই বলছেন, এটা কোন ধরনের ফুটবল খেলছে ইস্টবেঙ্গল? স্বাভাবিকভাবেই সমর্থকরা রীতিমতো হতাশ। ঘরের মাঠে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ৩-২ গোলে পরাজিত হয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ তারা।
তাই ম্যাচ শেষে এক সমর্থক জানালেন, “এই কোচ চলবে না। এটা স্ট্র্যাটেজি হচ্ছে? গো-ব্যাক কার্লোস।”
শুধু তাই নয়, খেলা শেষে টিম বাস বেরোনোর সময় একাধিক সমর্থককে দেখা যায় টিম বাসকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে। তাদের মুখে স্লোগান ওঠে ‘গো-ব্যাক কার্লোস।’ কার্যত, কোচ এবং তাঁর পরিকল্পনার উপর আর কোনও ভরসাই রাখতে পারছেন না সাপোর্টাররা। তাই তারা ক্ষুব্ধ।
অথচ, সুপার কাপ জয়ের পর এই প্রফেসরকেই তারা মাথায় তুলে নেচেছিলেন। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি ভীষণই কঠিন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।