সংক্ষিপ্ত
সেই চেনা ছন্দে আবারও লাল হলুদ।
আইএসএল-এর গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পিছিয়ে থেকেও জয় তুলে নিল ইস্টবেঙ্গল। পাঞ্জাব এফসিকে ৪-২ গোলে হারিয়ে দুরন্ত জয় লাল হলুদ ব্রিগেডের।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার যুবভারতী যেন আরও একবার প্রমাণ করল যে, সত্যিই ফুটবলে যেকোনও সময় রং বদলে যেতে পারে। ইস্টবেঙ্গল যে ফুটবল উপহার দিল, তাকে অসাধারণ বললেও কম বলা হবে।
পাঞ্জাবের মতো দলের বিরুদ্ধেও দুরন্ত প্রত্যাবর্তন। তাও দলে একাধিক চোট সমস্যা নিয়ে। এই ম্যাচে নামার আগে কার্যত, দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছিল লাল হলুদ ব্রিগেডের। এমনিতেই আগের ম্যাচে রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তে হারতে হয়েছিল তাদের।
সেইসঙ্গে, একের পর এক ফুটবলারের চোট। মাদিহ তালাল, সল ক্রেসপো, জিকসন সিং এবং দিয়ামান্তাকোসের মতো চারজন প্রথম সারির ফুটবলারদের অনুপস্থিতি ছিল। কিন্তু কোনও কিছুই দমিয়ে রাখতে পারল না ইস্টবেঙ্গলকে। কিন্তু ম্যাচের আগেই কোচ অস্কার ব্রুজো বলে দিয়েছিলেন, ইস্টবেঙ্গল একদমই ছোট দল নয়। সেটা ছেলেদের বুঝিয়ে দিতে হবে।
ম্যাচের প্রথমার্ধে অনেকটাই দাপট দেখায় পাঞ্জাব এফসি। খেলার ২১ মিনিটে সুলিচ এবং ৩৯ মিনিটে ভিদালের গোলে এগিয়ে যায় তারা। কিন্তু প্রথমার্ধের খেলা দেখে সবটা একদমই বিচার করলে হবে না। কারণ, দ্বিতীয়ার্ধে যেন মাঠে ফুল ফোটাল ইস্টবেঙ্গল।
আক্রমণে রীতিমতো ঝড় তুলল লাল হলুদ ব্রিগেড। যার ফল পাওয়া গেল একেবারে হাতেনাতে। মাত্র মিনিটের খেলায় পুরো পাঞ্জাব ডিফেন্স তছনছ হয়ে গেল। প্রথমে গোল করলেন হিজাজি এবং তারপর বিষ্ণু। যদিও ম্যাচের ৬০ মিনিটে, সুরেই মেতেইয়ের আত্মঘাতী গোলে প্রথম লিড পায় ইস্টবেঙ্গল। এরপর পাঞ্জাবের লুংডিম লাল কার্ড দেখেন।
ওদিকে খেলার ৬৭ মিনিটে, ডেভিড পাঞ্জাবের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দিলেন। আর এই জয়ের সুবাদে ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে ইস্টবেঙ্গল আপাতত এগারোতেই রইল। তবে এদিনের ম্যাচে চূড়ান্ত পজিটিভ মানসিকতার পরিচয় ইস্টবেঙ্গল।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।