সংক্ষিপ্ত

সকাল সকাল মোহনবাগান ক্লাব চত্বরে ভাঙচুর। 

তারা ভেঙে দিল কয়েকদিন আগেই তৈরি হওয়া একটি অস্থায়ী কিয়স্ক। মূলত, লোগো লাগানো মার্চেন্ডাইজ বিক্রির জন্যই ক্লাব চত্বরের সামনে ওই কিয়স্কটি তৈরি করা হয়। শুক্রবার সকালে সেটা ভেঙে দেন সেনাকর্মীরা। শুধু তাই নয়, ক্লাবের বেশ কিছু ফ্লেক্স এবং ব্যানারও সরানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

এমনিতে অবশ্য গোটা ময়দানই সেনাবাহিনীর অধীনে। তাই ময়দানের ক্লাবগুলির ক্ষেত্রে কোনও স্থায়ী নির্মাণ কিংবা কোনওরকম কাজ করতে হলে সেনার অনুমতি নিতে হয়। প্রতিবছরই ১ থেকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে ময়দানের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি চলে যায় সেনাবাহিনীর হাতে। এমনকি, ওই সময় ময়দানের ক্লাবগুলির নির্মাণ পর্যালোচনার কাজও করা হয়ে থাকে।

ফলে, অনুমতি না নিয়ে কোনও কাজ করলে তা ভেঙেও দেওয়া হতে পারে। এক্ষেত্রেও ঠিক তাই হয়েছে। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে মোহনবাগান ক্লাব চত্বরে একটি অস্থায়ী মার্চেন্ডাইজের দোকান খোলা হয়। সেটি কোনও স্থায়ী নির্মাণ নয়, পুরোটাই একটি অস্থায়ী কিয়স্ক ছিল। কিন্তু শুক্রবার সকালে আচমকা সেনার আধিকারিকরা ক্লাব চত্বরে হানা দেন এবং তারপর অস্থায়ী কিয়স্ক ভেঙে দেওয়া হয়।

সেইসঙ্গে, ক্লাব তাঁবুতে কিছু নির্মাণকাজও চলছিল। সেটাও তখনই থামিয়ে দেওয়া হয়। কয়েকটি ফ্ল্যাগ এবং ফেস্টুনও ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

যদিও এই বিষয়তি নিয়ে মোহনবাগান কর্তারা এখনও কিছু জানাননি। তবে ক্লাব সমর্থকরা রীতিমতো ক্ষুব্ধ এই ঘটনায়। ইতিমধ্যেই মোহনবাগানের একাধিক ফ্যান ক্লাবের তরফ থেকে এই বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করা হয়েছে। সমর্থকরা বলছেন, “এইভাবে ক্লাব চত্বরে ভাঙচুর করার আগে সমর্থকদের আবেগের কথা ভাবা উচিৎ ছিল সেনার।”

সূত্রের খবর, ভাঙচুরের খবর পেয়ে ক্লাব কর্তারা ইতিমধ্যেই আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে জানা গেছে। ভুল বোঝাবুঝি মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে দ্রুত।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।