Mohun Bagan vs Ahal FK: ঘরের মাঠে পরাজয় মোহনবাগানের। আহাল এফকে-র কাছে ১-০ গোলে হার।
Mohun Bagan vs Ahal FK: এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এর গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মঙ্গলবার, কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মুখোমুখি হয় তুর্কেমিনিস্তানের ফুটবল দল আহাল এফকে বনাম মোহনবাগান (afc champions league 2)।
সেই ম্যাচেই ১-০ গোলে পরাজয় সবুজ মেরুন ব্রিগেডের। তবে শুরু থেকেই জমে ওঠে ম্যাচ। প্রাথমিকভাবে কিছুটা চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করে আহাল এফকেও। যা ম্যাচের ফলাফলেও প্রতিফিলিত হল অনেকটাই (mohun bagan vs ahal fk live score today)।
সবুজ মেরুন জনতার সামনেও নার্ভাস লাগেনি বাশিমভ হাকমুহাম্মেতদের
কিন্তু আক্রমণ জারি রাখে জোসে মোলিনার ছেলেরা। সেই সুবাদেই খেলার ১৩ মিনিটে, কর্নার পায় তারা। তবে লিস্টনের নেওয়া সেই নির্বিষ কর্নার থেকে বিপদ কিছু ঘটেনি। এই কথা ঠিক যে, আহাল ডিফেন্সে মোহনবাগানের কিছু আক্রমণই প্রতিহত হয়। তবে এদিন পজিটিভ মুভ খুব কম ছিল। এক্ষেত্রে সবুজ মেরুন জনতার সামনেও নার্ভাস লাগেনি বাশিমভ হাকমুহাম্মেতদের।
তবে খেলার ২৪ মিনিটে, কর্নার পেলেও গোল করতে পারেনি আহাল এফকে। মঙ্গলবার, শুরু থেকে মোহনবাগানের ডিফেন্স সামলানোর দায়িত্ব পড়ে টম অ্যালড্রেড, আলবার্তো রদ্রিগেজ, অভিষেক সিং টেকচাম এবং আশিস রাইয়ের উপর।
মাঝমাঠে খেলেন সাহাল আবদুল সামাদ, দীপক টাংরি এবং আপুইয়া। ফরোয়ার্ড হিসেবে মাঠে নামেন লিস্টন কোলাসো, কিয়ান নাসিরি এবং জেসন কামিংস। তিনকাঠির নিচে ছিলেন ভিশাল কেইথ। তবে রবসন রবিনহোকে এদিন প্রথম একাদশে রাখেননি মোহনবাগান কোচ।
অন্যদিকে, খেলার ৩২ মিনিটে, হটাৎই কাউন্টার অ্যাটাক থেকে আক্রমণ তুলে আনে আহাল এফকে। মিরজোয়েভ সুলেমানের শট বারপোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। কিন্তু হাল ছাড়েনি মোহনবাগান। ম্যাচের ৩৭ মিনিটে, জেসন কামিংসের শট এবার উড়ে চলে যায় গোলপোস্টের উপর দিয়ে।
এরপর ৪৫ মিনিটে, টোবাকেলভ নাজারের দূরপাল্লার শট সেভ করেন মোহনবাগান গোলকিপার ভিশাল কেইথ। তবে তারপরেও মোহনবাগানের সামনে দুটি সুযোগ আসে। কিন্তু কোনও গোল হয়নি। শেষপর্যন্ত, প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য অবস্থাতেই।
দ্বিতীয়ার্ধেও চাপ বাড়াতে শুরু করে দুই দলই। সবথেকে বড় বিষয় হল, আহাল দলের ফুটবলারদের গড় বয়স অনেকটা কম হওয়ায় এটা একটা বাড়তি সুবিধা হিসেবে কাজ করছিল। তাদের গতির প্রশংসা করতেই হয়।

ম্যাচের ৫৬ মিনিটে, বেরেনভের শট সেভ করেন ভিশাল। এরপর দলে দুটি পরিবর্তন আনেন সবুজ মেরুন হেডস্যার। কিয়ানের বদলে মাঠে আসেন জেমি ম্যাকলারেন এবং দীপক টাংরির জায়গায় নামেন অনিরুদ্ধ থাপা। অপরদিকে, আহাল এফকে কোচ আন্নামুহাম্মেদভ এজিজ একটি পরিবর্তন করেন। গুরবানের পরিবর্তে মাঠে নিয়ে আসেন দোভরানকে।
তার কয়েক মুহূর্ত বাদেই অফসাইডের জন্য গোলের সুযোগ নষ্ট হয় মোহনবাগানের। এরপর খেলার ৬৭ মিনিটে, ফের একবার জেসন কামিংসের শট একটুর জন্য বাইরে চলে যায়। তবে সেখানেই শেষ নয়। কয়েকমিনিট বাদে, অনিরুদ্ধ থাপার পাস থেকে জেসন কামিংসের সাজানো বল পৌঁছে যায় জেমি ম্যাকলারেনের কাছে। তাঁর শট রুখে দেন আহাল এফকে গোলরক্ষক কাকাগেলডি।
এরপর মাঠে আসেন রবসন রবিনহো, উঠে যান লিস্টন। অন্যদিকে, অভিষেকের জায়গায় মাঠে আসেন শুভাশিস বোস।
আক্রমণ এবং প্রতি আক্রমণ চলতেই থাকে
ম্যাচের ৮২ মিনিটে, সাহাল আবদুল সামাদ একটি সুযোগ নষ্ট করেন। আর তারপরেই অঘটন। খেলার ৮৩ মিনিটে, আন্নাইয়েভ এনভারের গোলে ম্যাচে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় আহাল এফকে। তবে সেই গোলের পর, মোহনবাগান আর খেলায় ফিরে আসতে পারেনি। শেষদিকে রবসন দুটি সুযোগ তৈরি করলেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। শেষপর্যন্ত, আহাল এফকে-র বিরুদ্ধে ১-০ গোলে পরাজিত হয়ে মাঠ ছাড়ে মোহনবাগান।
অন্যদিকে, এদিন একাধিক ফ্যান ক্লাবের সদস্যরা মাঠে উপস্থিত ছিলেন। যেমন মেরিনার্স বেস ক্যাম্প, আল্ট্রাস মোহনবাগান, বজবজ মেরিনার্স, কসবা মেরিনার্স, হাবরা মেরিনার্স, মেরিনার্স ডি এক্সট্রিম, মেরিনার্স অ্যারেনা, মেরিনার্স ডি হার্টস, মেরিনার্স অনসাইড, মেরিনার্স অন রাইম এবং গ্লোবলাইজড মেরিনার্স সহ আরও অনেকগুলি। সুতরাং, বোঝাই যাচ্ছে যে, দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা সবুজ মেরুন ব্রিগেডকে তাতাতে মাঠে যেতে কোনওরকম কার্পণ্য করেননি সমর্থকরা। সরকারি হিসেবে প্রায় ৪১,০০৩ জন দর্শক মঙ্গলবার মাঠে উপস্থিত ছিলেন।
সেইসঙ্গে, এদিন একাধিক টিফো দেখা গেলেও জয় পেল না মোহনবাগান।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
