Mohun Bagan: বেশ জমজমাটভাবেই পালিত হল মোহনবাগান দিবস। সবুজ মেরুন তাঁবুতে তৈরি হল ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
Mohun Bagan: ২৯ জুলাই, ঐতিহাসিক মোহনবাগান দিবস। আর সেই দিনটি বেশ জমজমাটভাবেই পালিত হল সবুজ মেরুন তাঁবুতে। নিঃসন্দেহে ফুটবলের ময়দানে এবং ভারতের ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে যে দিনটি গর্বের সঙ্গে বারবার আসে, তা হল এই মোহনবাগান দিবস (mohun bagan day 29 july)। কার্যত, খালি পায়ে ব্রিটিশ ফুটবল দল ইস্ট ইয়র্ক রেজিমেন্টকে হারানোর স্পর্ধা এই মোহনবাগানই প্রথম দেখিয়েছিল। আর আজও সেই ধারা যেন নহমান। মানে ফুটবল মাঠে সেই দাপট এবং একের পর এক ট্রফি জয় (mohun bagan day)।
জমজমাট মোহনবাগান দিবস
২৯ জুলাই, মোহনবাগান দিবসে স্বীকৃতি দেওয়া হল ক্রীড়াক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন মাধ্যমের অন্যতম সেরা ব্যক্তিদের। ‘মোহনবাগান রত্ন’-এ ভূষিত হলেন স্বপনসাধন বসু ওরফে ময়দানের টুটু বসু। সেরা ফুটবলারের পুরস্কার পেলেন আপুইয়া। সেরা উদীয়মান ফুটবলার হলেন দীপেন্দু বিশ্বাস। মঙ্গলবার, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সেই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় সবাইকে।
দিনের শুরু হয়েছিল মোহনবাগানের সেই ‘অমর একাদশ’কে শ্রদ্ধা জানিয়ে। তারপর প্রভাত ফেরি, ক্লাব তাঁবুতে পতাকা উত্তোলন, দুপুরে ক্লাবের মাঠে প্রাক্তনীদের ফুটবল ম্যাচ এবং সন্ধ্যায় সৌমেন্দ্র-সুরজিৎ সহ অন্যান্য শিল্পীদের নিয়ে জমজমাট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আর সেইসঙ্গে, নেতাজি ইন্ডোরে বারবার উঠল ‘জয় মোহনবাগান’ স্লোগান।
এদিন উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক এবং প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন গোলকিপার শিল্টন পাল, রাজ্য সরকারের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি সহ আরও অনেকে। সেইসঙ্গে, ছিলেন বহু সবুজ মেরুন সমর্থক।
ক্লাব সচিব সৃঞ্জয় বোস এবং সভাপতি দেবাশিস দত্ত ব্যস্ত ছিলেন তক্তাবধানে
এছাড়াও মঞ্চে ছিলেন মোহনবাগানের ‘অমর একাদশ’-এর পরিবাররা। ক্লাবে এসে উপস্থিত হয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল এবং মহামেডানের ক্লাব কর্তারাও। অন্যদিকে, টুটু বোসকে নিয়ে ভিডিও বার্তায় বক্তব্য রাখেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বাইচুং ভুটিয়া, আইএম বিজয়ন, জোসে ব্যারেটো এবং সুব্রত ভট্টাচার্য সহ আরও অনেকে। ক্লাব সচিব সৃঞ্জয় বোস এবং সভাপতি দেবাশিস দত্ত একসঙ্গে তাঁকে মোহনবাগান রত্নে ভূষিত করেন।
একদম শুরুতে সংবর্ধনা দেওয়া হয় মোহনবাগানের দুটি ফ্যান ক্লাব, মেরিনার্স বেস ক্যাম্প এবং মেরিনার্স ডে এক্সট্রিমকে। তারপর একে একে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় প্রত্যেকের হাতে। উমাকান্ত পালোধি নামাঙ্কিত সেরা সমর্থকের পুরস্কার পান রিপন মণ্ডল। তিনি এই পুরস্কার তাঁর প্রয়াত কাকার প্রতি উৎসর্গ করেন। এরপর প্রতুল চক্রবর্তী নামাঙ্কিত সেরা রেফারির পুরস্কার দেওয়া হয় মিলন দত্তকে। তিনি এই সম্মান উৎসর্গ করেন তাঁর পরলোকগতা স্ত্রীকে। অঞ্জন মিত্রের নামাঙ্কিত সেরা ক্রীড়া সংগঠকের পুরস্কার পান কমল কুমার মৈত্র।
মতি নন্দী নামাঙ্কিত সেরা ক্রীড়া সাংবাদিক হিসেবে মরণোত্তর পুরস্কার পান অরুণ সেনগুপ্ত এবং মানস চক্রবর্তী
অরুণ সেনগুপ্তের হয়ে পুরস্কার নিতে উপস্থিত ছিলেন তাঁর মেয়ে। অপরদিকে, প্রণব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামাঙ্কিত সেরা অ্যাথলিটের পুরস্কার পান অর্চিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রাজ্য মিটে ১০০ মিটারে প্রথম এবং ২০০ মিটারে দ্বিতীয় হয়েছেন। সেরা হকি খেলোয়াড় হিসেবে কেশব দত্ত সম্মান পান অর্জুন শর্মা। যিনি ২০২৫ সালে কলকাতা হকি লিগ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন। অরুণ লালের নামাঙ্কিত সেরা ক্রিকেটার হিসেবে পুরস্কার পান রণজ্যোৎ সিং খাইরা।
মোহনবাগানের সেরা উদীয়মান ফুটবলার হয়েছেন দীপেন্দু বিশ্বাস। সুভাষ ভৌমিকের নামাঙ্কিত সেরা ফরোয়ার্ডের পুরস্কারটি পেলেন জেমি ম্যাকলারেন। শিবদাস ভাদুড়ীর নামাঙ্কিত বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন আপুইয়া। এছাড়া জীবনকৃতি পুরস্কার দেওয়া হয় ক্লাবের জার্সিতে দীর্ঘদিন খেলা ক্রিকেটার রাজু মুখোপাধ্যায়কে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।