সংক্ষিপ্ত

ইতিহাস গড়লেন বাঙালি গলফ খেলোয়ার অনির্বাণ লাহিড়ী (Anirban Lahiri)। আমেরিকান প্লেয়ার্স চ্যাম্পিয়নশিপে (American Players Championship ) একটুর জন্য হারালেন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ। 
 

ইতিহাস গড়লেন বাঙালি গলফ খেলোয়ার অনির্বাণ লাহিড়ী (Anirban Lahiri)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পন্টে ভেদ্রা বিচে (Ponte Vedra Beach), আমেরিকান প্লেয়ার্স চ্যাম্পিয়নশিপে (American Players Championship ) একটুর জন্য চ্যাম্পিয়ন হতে পারলেন না তিনি। ফাইনাল রাউন্ডে ৩-আন্ডার ৬৯ মেরে, চ্যাম্পিয়ন ক্যামেরন স্মিথের (Cameron Smith) থেকে মাত্র একটি শট পিছনে শেষ করলেন তিনি। গলফ বিশ্বের যে চারটি মেজর টুর্নামেন্ট আছে, এটি তার একটি না হলেও, এটিই বিশ্বের সবথেকে দামী গলফ টুর্নামেন্ট। শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও, এই রানার আপ হওয়ার ফলে সাড়ে ষোল কোটি টাকা জিতলেন তিনি। 

চলতি সপ্তাহে, গলফ (Golf) বিশ্বে তাঁর র‌্যাঙ্কিং ছিল ৩২২। সেখান থেকে এই টুর্নামেন্টে রানার আপ হওয়া সহজ বিষয় নয়। বলাই বাহুল্য, এটাই কোনও ভারতীয় গলফারের সেরা পারফরম্যান্স। এর ফলে তাঁর ব়্যাঙ্কিং-এরও প্রভূত উন্নতি ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে। অন্তত ৫০ ধাপ উপরে উঠে আসতে পারেন তিনি। রানার আপ হওয়ার পর অনির্বান বলেছেন, তিনি জিততে চান। সাত বছর ধরে তিনি গলফ সার্কিটে রয়েছেন। কিন্তু, এখনও ফিনিশিং লাইনের বাধা অতিক্রম করতে পারেননি। এদিন তার খুব ভাল সুযোগ ছিল। শেষ রাউন্ডের আগের রাউন্ড পর্যন্ত একটি শটে এগিয়ে ছিলেন অনির্বাণ। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। 

অনির্বাণ জানিয়েছেন, এর আগে দীর্ঘ সময় ধরে তাঁর খারাপ সময় কেটেছে। নিজেকে দক্ষতা নিয়ে তাঁর মনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। তিনি কী করছেন, কেন ভাল খেলতে পারছেন না, এই সব প্রশ্ন গুলো কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিল। তাঁর আত্মবিশ্বাস টলে গিয়েছিল। সেখান থেকে এদিনের এই পারফম্যান্সের পর, তিনি পায়ের তলায় মাটি পেয়ে গিয়েছেন বলে মনে করছেন। অনির্বাণ লাহিড়ী জানিয়েছেন, তাঁর কাছে এই জয় তাঁর ভাল খেলার ভিত গাঁথার মতো, যার উপর তিনি সাফল্যের ইমারৎ গড়তে চান। 

এদিনও যে তিনি সম্পূর্ণ নিখুঁত গলফ খেলেছেন তা নয়। অনির্বাণ জানিয়েছেন, এদিনও তিনি বেশ কিছু ভুল করেছেন, যা তিনি চাইলে এড়িয়ে যেতে পারতেন। তবে, এটার নামই গলফ। এখানে সবকিছুঠিকঠাক হবে না। যে কয়েকটি শট তিনি সঠিক মারতে পেরেছেন, তিনি তাতেই খুশি বলে জানিয়েছেন। সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য চলতি সপ্তাহ টিকে তিনি ইতিবাচক বলে মনে করছেন।