সংক্ষিপ্ত

এস প্রণয়ের (HS Prannoy) হাত ধরে টমাস কাপে (Thomas Cup) পদক জয় নিশ্চিত করল ভারত (India) । এই প্রথম পদক জয়ের তালিকায় ভারত।  ৪৩ বছর পরে সেমিফাইনালে জায়গা পাকা করল ৫ বারের চ্যাম্পিয়ন মালয়েশিয়াকে হারিয়ে।

টমাস কাপের ইতিহাস তৈরি করল ভারত। ঐতিহ্যশালী এই প্রতিযোগিতায়  পদক জয়ের স্বপ্ন নিয়ে এবার পারি দিয়েছিল ভারতীয় পুরুষ ব্যাডমিন্টন দল। এতদিন যেই গর্ব অধরাই থেকে গিয়েছিল। ৪৩ বছর ধরে সেমি ফাইনালে পৌছতে পারেনি। গত বছর ভারতীয় দল কোয়ার্টার ফাইনালের বাইরে যেতে পারেনি।  এবার প্রতিযেগিতার শুরু থেকেই মনে করা হচ্ছিল ভারতীয় দল এবার পদক জয়ের অন্যতম দাবিদার। আর অবশেষে হল স্বপ্নপূরণ। টমাস কাপে পদক জিতল  ভারতীয় পুরুষ ব্যাডমিন্টন দল। এস প্রণয়ের হাত ধরে টমাসকাপে পদক জয় নিশ্চিত করল ভারত। এই প্রথম পদক জয়ের তালিকায় ভারত।  ৪৩ বছর পরে সেমিফাইনালে জায়গা পাকা করল ৫ বারের চ্যাম্পিয়ন মালয়েশিয়াকে হারিয়ে। 

ফাইনালে মেলেশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইটা কিন্তু কঠিন হবে সকলেই ধরে নিয়েছিল। এস প্রণয়ের সঙ্গে লিয়ং জে এইচের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখার অপেক্ষায় ছিল ক্রীড়া প্রেমিরা। বিশেষজ্ঞরা একটু হলেও এগিয়ে রেখেছিল মালেশিয়ার প্লেয়ারকে। ফাইনালে প্রথম গেমে লড়াইটা হাড্ডাহাড্ডিভাবে শুরু হলেও ম্য়াচের রাশ আস্তে আস্তে নিজের হাতে নিয়ে নেয় এইচএস প্রণয়। প্রথম বিরতির পর জ্বলে ওঠেন ভারতীয় শাটলার। প্রথম গেমে ২১-১৩ ব্যবধানে জেতে প্রণয়। দ্বিতীয় গেমে প্রতিপক্ষকে কার্যত দাঁড়াতেই দেননি ভারতীয় শাটলার। প্রণয়ের অ্যাটাকের কোনও জবাব ছিল না মালেশিয়ার প্রতীদ্বন্দ্বী। ২১-৮ ব্যবধানে প্রণয় জেতে দ্বিতীয় গেম।  ৩-২ ব্যবধানে ম্য়াচ জিতে সেমি ফাইনালের টিকিট পাকা করার পাশাপাশি পদকও নিশ্চিৎ করে ভারতীয় ব্য়াডমিন্টন দল।

 

 

প্রসঙ্গত, থমাস কাপে জার্মানিকে ৫-০ গোলে হারিয়ে ভারতীয় পুরুষ ব্যাডমিন্টন দল তাদের অভিযান শুরু করেছিল। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ব্রোঞ্জ পদক বিজয়ী লক্ষ্য সেন বিশ্বের ৬৪ নম্বর ম্যাক্স উইজকিরচেনের বিরুদ্ধে ২১-১৬, ২১-১৩-এ স্বাচ্ছন্দ্যের জয়ের মাধ্যমে ভারতীয়দের জন্য একটি শক্ত ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। সাত্ত্বিকসাইরাজ র‍্যাঙ্কিরেড্ডি এবং চিরাগ শেট্টির দ্বৈত জুটি অবশ্য জোনস, র্যালফি ইয়ানসেন এবং মারভিন সিডেলের বিরুদ্ধে এক ঘণ্টার খেলায় ২১-১৫, ১০-২১, ২১-১৩ জয়ের জন্য তিনটি গেমের জন্য লড়াই করেছিল।বিশ্বের ১১ নম্বরে থাকা কিদাম্বি শ্রীকান্ত ধীরগতিতে শুরু থেকে পুনরুদ্ধার করে ১৮-২১, ২১-৯, ২১-১১ কে কাই শ্যাফারের বিরুদ্ধে জয়ী হয়ে ভারতকে গ্রুপ সি-তে ৩-০ এর অপ্রতিরোধ্য লিড এনে দিয়েছিলেন। এম আর অর্জুন এবং ধ্রুব কপিলা দ্বিতীয় পুরুষ দ্বৈত ম্যাচে গেইস এবং জান কলিন ওয়েলকারকে ২৫-১৩, ২১-১৫ এ পরাজিত করেছেন যেখানে বিশ্বের ২৩ নম্বর এইচএস প্রণয় দ্বিতীয় পুরুষ দ্বৈত ম্যাচে ম্যাথিয়াস কিকলিটজকে ২১-৯, ২১-৯ এ পরাজিত করেছেন। জার্মানিকে ৫-০ গোলে হারায়। এবার সেমি ফাইনালে জয়ের লক্ষ্যে নামতে চলেছে ভারতীয় দল।