সংক্ষিপ্ত
করোনা পরিস্থিতিতে অলিম্পিক আয়োজনে কোনও খামতি যেন মার্জনা করে অংশগ্রহণকারী দেশগুলি। জাপানের পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা আইওএ প্রধানের।
করোনা পরিস্থিতিতে অলিম্পিকের মতো ঐতিহ্যবাহী খেলার আসর বসাতে চলেছে জাপান। ফলে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে ওই দেশ। এই অবস্থায় জাপানের পাশে দাঁড়ানোর আর্জি জানালেন ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান (IOA chief) নরিন্দর বাত্রা (Narinder Batra)। তাঁর আবেদন অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী দেশগুলি যেন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় জাপানের দিকে।
৬২ বার কুপিয়ে মায়ের হার্ট-কিডনি ছিঁড়ে খেল ছেলে, ভয়াবহ ঘটনায় স্তম্ভিত বিচারকরা
বাত্রা এক বার্তায় বলেন করোনা পরিস্থিতিতে অলিম্পিকের মতো আসরে আয়োজন করা সামান্য ব্যাপার নয়। সেখানে ছোটখাট ত্রুটি যদি থেকে যায়, তা যেন মার্জনা করে দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন চেক রিপাবলিকের খেলোয়াড়দের কথা। তিনি বলেন চেক প্রজাতন্ত্রের খেলোয়াড়দের নারিতা বিমানবন্দরে ৪ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। এই নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ হন অংশগ্রহণকারীরা।
চেক রিপাবলিকের খেলোয়াড়দের অভিযোগ ছিল চার ঘন্টা বিমানবন্দরে শুধু তাঁদের অপেক্ষা করতে হয়নি, সেই সঙ্গে বেশ কিছু অনভিপ্রত ঘটনার মুখেও পড়তে হয়েছে। তাঁদের কোনও খাবার বা পানীয় জল দেওয়া হয়নি। শুধু চেক রিপাবলিকই নয়, জার্মানিও অলিম্পিকের অব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। জার্মানি জানিয়েছে যে স্বেচ্ছাসেবকদের উল্লেখ জাপান করেছিল, তাদের কারোর দেখা মেলেনি, কোনও সহযোগিতা পাওয়া যায়নি।
মর্গের বাইরে শুধু স্বজন হারানোর কান্না- লাশ পোড়া কটু গন্ধ, ৫২টা প্রাণ হারিয়ে শোকে বোবা বাংলাদেশ
এই অভিযোগগুলির উল্লেখ করে ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান বাত্রা বলেন প্রতিটি অভিযোগই হয়ত সত্যি। কিন্তু আমাদের মাথায় রাখতে কোন পরিস্থিতিতে এত বড় আয়োজন করা হয়েছে, সেখানে এরকম সমস্যা থাকতে পারে, খেলোয়াড়দের একটু মানিয়ে নেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। প্রতিটি অংশগ্রহণকারী দেশের হাসিমুখে জাপানের পাশে দাঁড়ানো উচিত।
এদিকে, দর্শক শূন্য মাঠেই অনুষ্ঠিত হবে টোকিও অলিম্পিকের সমস্ত ইভেন্ট। করোনাভাইরাসের আতঙ্কের জন্য টোকিওতে জারি থাকবে জরুরি অবস্থা। প্রায় নিশ্চিত করে দেন জাপানের মন্ত্রী অমায়ো মারুকাওয়া। তিনি জানান টোকিওর সমস্ত অলিম্পিক স্থান থেকে ভক্তদের নিষিদ্ধ করা হবে। আর্থাৎ জাপানের রাজধানী টোকিও কোনও ইভেন্টেই দর্শকই থাকতে পারবেন না।আগামী ২৩ জুলাই থেকে শুরু হবে টোকিও অলিম্পিক। শেষ হবে ৮ অগাস্ট। গত বছরই অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোভিড মহামারির জন্য তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অলিম্পিক সমাপ্তির দুই সপ্তাহ পরে অর্থাৎ প্যারালিম্পিক্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দুদিন আগে ২২ অগাস্ট টোকিওর জরুরি অবস্থা শেষ হবে বলেও ঘোষণা করা হয়েছে।