সংক্ষিপ্ত
- সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জের
- কাকা-কাকিমার উপরলহামলা
- কাঠগড়ায় জাতীয় কবাড়ি প্লেয়ার
- ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস
সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জের। দুষ্কৃতীদের দিয়ে কাকা-কাকিমাকে মারধর করার অভিযোগ উঠল জাতীয় কবাডি দলের খেলোয়াড় পায়েল চৌধুরীর বিরুদ্ধে। পালাতে গিয়ে এক দুষ্কৃতীর মৃত্যুও হয়। পুলিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে মৃতের নাম শ্যাম মালি। ওই ঘটনায় পুলিস পায়েল চৌধুরী,কৃষ্ণা চৌধুরী,শ্রীপর্ণা চৌধুরী,কমল চৌধুরী ও এক দুষ্কৃতি বাবাই রায় সহ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।গত কাল রাতে চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনাটি ঘটেছে চন্দননগরে। অভিযুক্ত পায়েলের ভাই পলাতক।
পুলিস সূত্রে খবর, একটি বাড়ি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পায়েলের সঙ্গে তার কাকা-কাকিমার বিবাদ চলছিল।বারো বছর বাড়িটা খালি অবস্থায় পড়ে রয়েছে।বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে পায়েলরা পাঁচিল ভেঙে বাড়ি দখল করার চেষ্টা করে।স্থানীয় ভাবে বিবাদের নিষ্পত্তির চেষ্ঠা হলেও কোন সুরাহা হয়নি।অবশেষে পায়েলরা বৃহস্পতিবার রাতে কিছু বাইরে থেকে ছেলে এনে তাদের সাহায্যে পাঁচিল ভাঙতে শুরু করে। তাতে বাধা দিলে দুষ্কৃতিরা পায়েলের কাকা-কাকিমার উপর চড়াও হয়।ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করেন।কিন্তু কোন কাজ হয়নি।শেষে পরিস্থিতি সামাল দিতে স্থানীয়রাই চন্দননগর থানায় খবর দেন।পুলিশ আসতেই দুষ্কৃতিরা এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়।শ্যাম মালি নামে এক দুষ্কৃতি ছাদ থেকে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে মারাত্মক ভাবে জখম হয়।তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পায়েলের কাকিমা মহুয়া চৌধুরীর অভিযোগ, পায়েল নবগ্রাম থেকে কয়েকজন দুষ্কৃতীকে নিয়ে আসে। তাদের মদ্যপান করায়। খপূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। দুষ্কৃতিদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। তাদের প্রানে মারার পরিকল্পনা ছিল। সময়মতো প্রতিবেশিরাই পরিস্থিতি সামাল দেয়। প্রতিবেশীরা না আসলে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হতে পারত বলেও অভিযোগ মহুয়া চৌধুরীর। গোটা ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।