সংক্ষিপ্ত
প্রতীবন্ধকতাকে হারিয়ে জীবন যুদ্ধে জয়ী বাংলার প্যারা অ্যাথলিট শাকিনা খাতুন। এবার লক্ষ্য টোকিও প্যারালিম্পিক্সে পদক জয়। তার আগে শাকিনার আত্মবিশ্বাস বাড়ালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
টোকিও অলিম্পিক্সে ভারত্তোলনে রূপো জিতে দেশবাসীকে প্রথম পদক এনে দিয়েছিলেন মীরাবাঈ চানু। একইসঙ্গে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছেন ইম্ফলের মেয়ে। এবার আরও একবার টোকিওতে ভারোত্তলনে দেশের নাম উজ্জবল করতে চান বাংলার বসিরহাটের মেয়ে প্যারা অ্যাথলিট শাকিনা খাতুন। টোকিও প্যারালিম্পিক্স ২০২০-তে প্রতিনিধিত্ব করবেন শাকিনা। তার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন শাকিনা। শাকিনাকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি মবোবল বাড়িয়েছেন মোদী।
প্রতিবন্ধতকতাকে জয় করে জীবন যুদ্ধে জয়ী বসিরহাটের মেয়ে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে একাধিক পদক জিতলেও, টোকিও প্যারলিম্পিক্সে পদক জয় পাখির চোখ শাকিনার। তার আগে মোদীর 'পেপ টক' অনেকটাই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে বঙ্গ তনয়ার। মোদীর সঙ্গে কথা বলে উচ্ছ্বসিত শাকিনা জানিয়েছেন,'শারীরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা সমস্যা হতে পারে। সেটা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি বলেই এত বছর ধরে পরিশ্রম করে আসছি। প্রধানমন্ত্রীও সেটাই বলছিলেন। কমনওয়েলথ গেমস ও এশিয়ান প্যারা গেমসে দেশের পতাকা উড়তে দেখেছি। এ বার অলিম্পিক্সে ফের এক বার সেই মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে চাই।'
আরও পড়ুনঃকাজে ফিরেই একের পর এক হট অবতারে ঝড় তুলছেন নতাসা, যা দেখে মরুদেশে কাহিল হার্দিক
আরও পড়ুনঃআন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৩ বছর পার, জেনে নিন বিরাট কোহলির কেরিয়ারের অজানা ১৩ দিক
আরও পড়ুনঃবিশ্বের সেরা ১০ ধনী ক্রিকেটার কারা, তালিকায় ভারতের ৫ জন, জেনে নিন এক ঝলকে
ছোট বেলায় পরিবারারে সচেতনতার অভাবে পোলিও না খাওয়ানোয় দুটি পায়ে সমস্যা দেখা দেয়। পরে ৪ বার অপারেশন করেও ঠিক হয়নি পা। তবে জীবন যুদ্ধে হার না মেনে পায়ের শক্তি বাড়াতে সাঁতারে যোগ তদেন। খেলাধুলোকেই কেরিয়ার হিসেবে বেছে নেন। ২০১০ সাল থেক ভারোত্তলন শুরু করেন। সামাজিক বেড়াজাল ও নিজেকে প্রমাণ করার তাগিদে ছাড়েন গ্রামও। তারপর কঠিন লড়াইয়ের পর এই জায়গায় পৌছেছেন শাকিনা। এতদূর পৌছানোর জন্য নিজের কোচ, সাই ও ভারতীয় ক্রীড়া মন্ত্রককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শাকিনা। টোকিও প্যারালিম্পিক্সে বাংলার মেয়ের সাফল্য কামনায় গোটা দেশ।