সংক্ষিপ্ত

  • করোনা ভাইরাসের কারণে ব্যাডমিন্টনের অনলাইন ক্লাস
  • ক্লাস চলাকালীন হঠাতই ভেসে উঠল পর্ণগ্রাফির একাধিক ছবি
  • রেগে ক্লাস ছাড়লেন গোপীচাঁদ সহ বিশ্বের অন্যান্য কোচেরা
  • ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাস স্পোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার
     

করোনা ভাইরাস মহামারীর জেরে বিশ্ব জুড়ে চলছে লকডাউন।  কোভিড ১৯-এর প্রভাবে স্তব্ধ ক্রীড়া বিশ্বও। ক্রিকেট, ফটবল থেকে টেনিস মারণ ভাইরাসের জেরে বন্ধ রয়েছে সমস্ত স্পোর্টিং ইভেন্ট ও জুনিয়রদের কোচিংও। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে অনলাইন ক্লাসের পথেই হাঁটছেন সমস্ত কোচরা। কিন্তু এমই এক অনলাইনে ক্লাসে পড়তে হলল আচ্ছা বিড়ম্বনায়। স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া এবং ব্যাডমিন্টন অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার যৌথ উদ্যোগে অনলাইনে শুরু হয়েছে ব্যাডমিন্টন ট্রেনিং সেশন। ২১ দিনের জন্য অনলাইন জুম সেশনে অংশ নেন ভারতীয় লেজেন্ড পুল্লেলা গোপীচাঁদ সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ৭০০ জন ব্যাডমিন্টন কোচ।  কিছু শিক্ষানবীশ ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় ও তাঁদের অভিভাবকরাও যোগ দেন বৈঠকে। কিন্তু এই মহৎ প্রয়াসের তাল কাটল। অনলাইন ট্রেনিং সেশনে স্ক্রিনে ফুটে উঠল পর্ণ পপ-আপ। 

আরও পড়ুনঃ৪৭ এ পা ক্রিকেট ঈশ্বরের, এক ঝলকে মাস্টার ব্লাস্টারের কেরিয়ারের কিছু মুহূর্ত

জাতীয় ব্যাডমিন্টন কোচ পুল্লেলা গোপীচাঁদ ছাড়াও অনলাইন ওই প্রশিক্ষণ শিবিরে ছিলেন ইন্দোনেশিয়ান আগুস সান্তোসো, নামরি সুরোতোদের মতো স্বনামধন্য প্রশিক্ষকরা। বেশ কিছু সংখ্যক মহিলা শিক্ষার্থীও ছিলেন ওই প্রশিক্ষণ শিবিরে। জানা গিয়েছে প্রশিক্ষণ চলাকালীন স্ক্রিনে হঠাতই ফুটে ওঠে পর্ণোগ্রাফিক ছবি। স্বাভাবিকভাবে ঘটনায় ভীষণই বিব্রত বোধ করে তৎক্ষণাত লগ-আউট করে বেরিয়ে যান গোপীচাঁদ। কেবল গোপীচাঁদ নন। গোটা ঘটনায় বেশ বিব্রত বোধ করেছেন বাকি বিদেশি কোচেরাও। একজনের কথায়, ‘এমন বৃহৎ পরিসরে যখন একটি অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে তখন আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ ছিল।’  প্রশিক্ষণে উপস্থিত অপর একজনের কথায়, 'স্যান্টোসোর বক্তব্যের মধ্যেই আচমকা ওই সমস্ত ছবি ফুটে ওঠে। খানিক পরে আবার। বেশ কয়েকবার স্ক্রিনে ছবিগুলি ভাসতে দেখা যায়। এত বড় পরিসরে কোনও আয়োজন করা হলে, সবকিছু ভালভাবে দেখে নেওয়া উচিত বলে মত তাঁর।'

আরও পড়ুনঃ'ভাগ্যিস সলমন সিনেমার জগতে চলে এসেছিল', কেন সচিনকে বলেছিলেন ভাইজান

আরও পড়ুনঃকিংবদন্তির জন্মদিনে খাদ্যসামগ্রী বিলি, লকডাউনে মানবিক উদ্যোগ সচিন ভক্তদের

অনেকেই আবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সতর্কতা উপেক্ষা করে আনলাইন ক্লাসে জুম অ্যাপ ব্যবহারের বিপক্ষেও সওয়াল করেছেন। হ্যাকারদের হানা থেকে রক্ষা পেতে সম্প্রতি জুম অ্যাপ ব্যবহার নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক যে কারণে সতর্ক করেছে তার সঙ্গে এই ঘটনার কোনও মিল নেই বলেই জানিয়েছে স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া। এক বিবৃতি মারফৎ তারা জানিয়েছে অনলাইন ক্লাস চলাকালীন কোনও হ্যাকার হানার ঘটনা এক্ষেত্রে ঘটেনি। এটা নেহাতই টেকনিক্যাল ত্রুটি। তবে ঠিক কী কারণে ঘটল এমন অনভিপ্রেত ঘটনা, সাই’য়ের আইটি বিভাগ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।