সংক্ষিপ্ত
- বিশ্ব রেকর্ড করলেন কানাডার বিস্ময় কন্যা
- ৭ বছরের বয়সেই ভারোত্তলনে গড়লেন নজির
- ৮০ কেজি ভারোত্তলন করে বিশ্বকে লাগালেন তাক
- নেট দুনিয়ায় ভাইরাল কানাজার রোরি বেন উলফ
বসয় মাত্র সাত। সাধারণত এই বয়সে বাচ্চারে ব্যস্ত থাকেন পড়াশোনার প্রাথমিক পর্যায়ে ও খেলাধুলোয়। কিন্তু ৭ বছরের এ বিষ্ময় বালিকা সকলের থেকে অনেকটাই আলাদা। আর তা কোনও অলৌকিক ক্ষমতার কারণে নয়। ইচ্ছে শক্তির জোরে। এই বয়সেই ৮০ কেজি ভারত্তোলন করে বিশ্বকে অবাক করল কানাডার রোরি বেন উলফ। সোশ্যাল মিডিয়ার সেনসেসন হয়ে উঠেছে ৭ বছরের এই বিস্ময় বালিকা। প্রশংসায় পঞ্চমুখ আট থেকে আশি সকলেই।
কানাডার ওটাবার বাসিন্দা রোরি বেন উলফ। ছোট বেলা থেকেই ভারোত্তলনের প্রতি তার নেশা ছিল। তার পরিবারও তাতে সমর্থন জুগিয়েছে। মাত্র ৫ বছর বয়স থেকেই ভারোত্তলনের ট্রেনিং শুরু করেন রোরি। ধীরে ধীরে নিজেদের শক্তি ও ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে থাকে তার। রোরির শক্তি প্রথম থেকেই অবাক করছিল তার কোচকে। তবে এমন অনন্য কীর্তি এই বয়সেই করে দেখাবেন ছোট্ট রোরি, তা হয়তো কেউ ই ভাবেননি। তবে অসাধ্য সাধন করে রোরি এখন সকলের নয়েণের মণি।
মাত্র ২ বছর অনুশীলন করেই বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ফেলোছেন এই বিস্ময় কন্যা। রোরি অলিম্পিকের উইমেন্স বার-এর স্নেচ-এ ৩২ কেজি, ক্লিন অ্যান্ড জার্ক-এ ৪২ কেজি, সোয়াটিং-এ ৬১ কেজি ও ডেডলিফ্ট-এ ৮০ কেজি ওজন তুলে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। মাত্র ৭ বছর বয়সে নিজের ওজনের থেকে বহু গুন বেশি ভারত্তোলন করার সময় একটু চিন্তায় ছিল রোরির পরিবার। কিন্তু যে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে রোরি এই বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন তা সত্যিঅ বিস্ময়কর।
কানাডার বিস্ময় বালিকা রোরি বেন উলফ তার এই সাফল্যের পর জানিয়েছেন, 'নিজেকে ফিট দেখতে তার ভাল লাগে। খাওয়া-দাওয়া আর ট্রেনিং-এই তার ফোকাস ছিল। সেইসঙ্গে নিজেকে শক্তিশালী করে তোলার ইচ্ছাও ছিল। ওজন তুলতে আমার ভাল লাগে। আত্মবিশ্বাসী মনে হয়। নিজেকে ঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারলে অনেক রেকর্ড করা যায়।' এছাড়াও ট্যাটুও খুব প্রিয় বলে জানিয়েছে ছোট্ট রোরি। নিজের সারা শরীরে ট্যাটু করা ইচ্ছে প্রকাশও করেছে। মাত্র ৭ বছর বয়সে এই কামাল করে রোরি বর্তমানে বিশ্বের সব থেকে শক্তিশালী বাচ্চা মেয়ে।