সংক্ষিপ্ত
নিষিদ্ধ বস্তু গ্রহণ করার দায়ে কিছুদিন আগেই নির্বাসিত হয়েছেন জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকার। এবার নির্বাসিত হলেন ভারতের আরও এক ক্রীড়াবিদ। এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক ক্রীড়া মঞ্চে মুখ পুড়ল ভারতের।
ডোপ টেস্টে ব্যর্থ হওয়ায় ৪ বছরের জন্য নির্বাসিত হলেন কমনওয়েলথ গেমসে দু'বারের সোনা জয়ী ভারত্তোলক খুমুকচাম সঞ্জিতা চানু। গত বছর ডোপ টেস্টে ব্যর্থ হন মণিপুরের এই ক্রীড়াবিদ। সেই কারণেই তাঁকে নির্বাসিত করল ন্যাশনাল অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সি (নাডা)। সঞ্জিতার বিরুদ্ধে অ্যানাবলিক স্টেরয়েড সেবন করার অভিযোগ ওঠে। ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সির নিষিদ্ধ বস্তুর তালিকায় আছে এই স্টেরয়েড। গত বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে গুজরাটে জাতীয় গেমস চলাকালীন সঞ্জিতার ডোপ টেস্ট করা হয়। জাতীয় গেমসে রুপো পেয়েছিলেন এই ভারত্তোলক। সেই প্রতিযোগিতাতেই ডোপ টেস্টে ধরা পড়ায় তাঁর পদক কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত সঞ্জিতার প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে জাতীয় ভারত্তোলক ফেডারেশনের সভাপতি সহদেব যাদব জানিয়েছেন, 'সঞ্জিতাকে ৪ বছরের জন্য নির্বাসিত করেছে নাডা।' এই সাজা কমানো বা মকুব করার জন্য আবেদন জানানোর সুযোগ আছে সঞ্জিতার সামনে। তবে তিনি আবেদন করবেন কি না এখনও জানা যায়নি। এর আগেও ডোপিং-বিতর্কে জড়িয়েছে এই ক্রীড়াবিদের নাম। ২০১৭ সালের নভেম্বের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের আগে সঞ্জিতার ডোপ টেস্ট করা হয়। সেবারও তাঁর নমুনায় অ্যানাবলিক স্টেরয়েড পাওয়া গিয়েছিল। এর জন্য ২০১৮ সালে সঞ্জিতাকে নির্বাসিত করে ইন্টারন্যাশনাল ওয়েটলিফটিং ফেডারেশন। ২০২০ সালে অবশ্য এই ক্রীড়াবিদের উপর থেকে নির্বাসন তুলে নেওয়া হয়। তখন জানানো হয়, সঞ্জিতার নমুনা ঠিকমতো পরীক্ষা করা হয়েছিল কি না সে ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। সেই কারণেই তাঁর উপর থেকে নির্বাসন তুলে নেওয়া হচ্ছে।
ফের একই নিষিদ্ধ বস্তু সেবনের দায়ে নির্বাসিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় এ বছরের জানুয়ারিতে সঞ্জিতা বলেন, 'আমাকে এর আগে একইরকম অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। আমি ফের কেন ডোপ করব আর একইরকম পরিস্থিতির মধ্যে পড়ব? আমি নির্বাসনের বিরুদ্ধে আবেদন জানাব কি না জানি না। আমি আবেদন করলেও কোনও লাভ হবে না। আমি সাজা মকুব করার আর্জি জানালে শুনানিতে কিছুটা সময় লাগবে। তার ফলে অলিম্পিক্স ও এশিয়ান গেমসের যোগ্যতা অর্জন করতে পারব না। আমার সাজা যদি বহাল থাকে, তাহলে এমনিতেও নির্বাসিত থাকব। ফলে আমার সামনে কোনও রাস্তা খোলা নেই।'
২০১৪ সালে গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসে ৪৮ কেজি বিভাগে সোনা জেতেন সঞ্জিতা। তিনি মীরাবাই চানুকে পিছনে ফেলে দেন। এরপর ২০১৮ সালে গোল্ড কোস্ট কমনওয়েলথ গেমসেও সোনা জেতেন সঞ্জিতা।
আরও পড়ুন-
পরপর ২ বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা, প্যারিস অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করাই লক্ষ্য নিখাতের
বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতকে চতুর্থ সোনা জেতালেন লাভলিনা