সংক্ষিপ্ত

প্যারিস অলিম্পিক্সের মঞ্চে এবার মিশে আছে ইতিহাস। অন্যান্য অলিম্পিক্সের মতো প্যারিসেও বিভিন্ন ইভেন্টের বিজয়ীরা সোনা, রুপো এবং ব্রোঞ্জের পদকই পাবেন। আর সেইসঙ্গে এবারের অলিম্পিক্স পদকে মিশে আছে ইতিহাসের ছোঁয়া।

প্যারিস অলিম্পিক্সের (Paris Olympics 2024) মঞ্চে এবার মিশে আছে ইতিহাস। অন্যান্য অলিম্পিক্সের মতো প্যারিসেও বিভিন্ন ইভেন্টের বিজয়ীরা সোনা, রুপো এবং ব্রোঞ্জের পদকই পাবেন। তবে প্রতিটি খেলার ক্ষেত্রে পদকের নকশা কিন্তু আলাদা। আর সেইসঙ্গে এবারের অলিম্পিক্স পদকে মিশে আছে ইতিহাসের ছোঁয়া।

গোটা বিশ্বের সৃজনশীল শিল্পকলা এবং সৃষ্টির মধ্যে অন্যতম হল আইফেল টাওয়ার। তা যথেষ্ট জনপ্রিয়ও সমগ্র পৃথিবীতে। একাধিক ইতিহাসের সাক্ষী রয়েছে প্যারিসের (Paris) এই আইফেল টাওয়ার। আর তারই ছোঁয়া এবার থাকছে অলিম্পিক্সের পদকে (Medal)। ঠিক যে লোহা দিয়ে আইফেল টাওয়ার তৈরি করা হয়েছিল, সেই একই লোহা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে অলিম্পিক্সের সমস্ত পদক। শুনতে অবাক লাগলেও এই কথা সত্যি।

অলিম্পিক্সের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও দেশ তাদের জাতীয় মনুমেন্টের ইতিহাসকে সোজা পদকের মধ্য দিয়ে ব্যবহার করছে। আয়োজকদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিটি পদকে ব্যবহৃত হয়েছে সেই ১৮ গ্রাম লোহা। যা দিয়ে আইফেল টাওয়ার তৈরি করা হয়েছিল। মূলত, পদকের মাঝের ষড়ভুজ আকৃতির যে অংশটি রয়েছে, সেখানেই ব্যবহার করা হয়েছে এই লোহা।

অর্থাৎ, গোল চাকতির মাঝে থাকছে একটি ষড়ভুজ আকৃতির অংশ। অন্যদিকে, প্যারা-অলিম্পিক্সের পদকও ঠিক একইভাবে তৈরি করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ফ্রান্সের একটি অলঙ্কার নির্মাণ সংস্থা এবারের অলিম্পিক্সের প্রত্যেকটি পদক তৈরি করেছে।

প্রসঙ্গত, সেই ১৯২৪ সালের পর আবার ফ্রান্সের প্যারিসে বসেছে অলিম্পিক্সের আসর। আর এই মেগা স্পোর্টস ইভেন্টকে ঐতিহাসিক করে তুলতে কার্পণ্য করছেন না কর্তারা। অর্থাৎ, ঠিক ১০০ বছর পর ফ্রান্সের রাজধানীতে আবার হচ্ছে অলিম্পিক্স। তাই এবার জয়ী খেলোয়াড়রা যে পদক পাবেন, তারা সেই সাফল্যের সঙ্গে আইফেল টাওয়ারের ইতিহাসকেও সঙ্গে নিয়ে দেশে ফিরবেন।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।