সংক্ষিপ্ত

দিল্লি পুলিশ জোর করে যন্তর মন্তর থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর আর অবস্থানে বসেননি কুস্তিগীররা। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে ন্যায়বিচারের আশ্বাস পাওয়ার পর আপাতত আন্দোলন স্থগিত রেখেছেন তাঁরা।

গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ করা হয়েছে, কুস্তিগীরদের আন্দোলন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। শনিবার সেই অভিযোগ অস্বীকার করলেন অলিম্পিক্সে পদকজয়ী সাক্ষী মালিক ও তাঁর স্বামী সত্যবর্ত কাদিয়ান। এদিন তাঁরা ট্যুইটারে একটি ভিডিও আপলোড করেন। সেই ভিডিওতে আন্দোলনের 'সত্য ঘটনা' জানিয়েছেন তাঁরা। আন্দোলনে রাজনৈতিক মদত থাকার কথা অস্বীকার করে সত্যবর্ত বলেন, 'আমাদের লড়াই সরকারের বিরুদ্ধে নয়। আমরা নির্দিষ্টভাবে ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। তাঁর বিরুদ্ধে ৭ জন কুস্তিগীরকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ আছে। আমরা যখন জানুয়ারিতে যন্তর মন্তরে ৩ দিনের জন্য অবস্থানে বসেছিলাম, তার আগে বিজেপি নেতা-নেত্রী তীরথ রানা ও ববিতা ফোগটের কাছ থেকে অনুমতি চেয়েছিলাম।' 

সত্যবর্ত আরও বলেছেন, 'অধিকাংশ কুস্তিগীর ও কোচই কুস্তি ফেডারেশনের সমস্যার কথা জানেন। কুস্তির সঙ্গে যুক্ত অনেক ব্যক্তিই এই সমস্যার ব্যাপারে সরব হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ঐক্যের অভাব এবং কেরিয়ারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কায় তাঁরা আর মুখ খোলেননি।' সম্প্রতি ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন আন্তর্জাতিক কুস্তি রেফারি জগবীর সিং। তিনি কুস্তিগীরদের অভিযোগই সমর্থন করেছেন। সে কথাই উল্লেখ করেছেন সত্যবর্ত।

 

 

কুস্তিগীরদের এই আন্দোলন সমর্থন করেছে সারা দেশের বিভিন্ন সংগঠন। প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সত্যবর্ত ও সাক্ষী। বিশেষ করে সংযুক্ত কিষান মোর্চা, ভীম আর্মির প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ, জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের সমর্থনের কথা উল্লেখ করেছেন সত্যবর্ত।

দিল্লি পুলিশ জোর করে যন্তর মন্তর থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর যাবতীয় পদক গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়ার জন্য হরিদ্বারে গিয়েছিলেন সাক্ষীরা। কিন্তু শেষপর্যন্ত পদক বিসর্জন না দিয়েই ফেরেন তাঁরা। সেখানে ঠিক কী হয়েছিল? সত্যবর্ত জানিয়েছেন, ‘২৮ মে-র ঘটনা আমাদের গভীরভাবে আঘাত করেছিল। আমাদের গর্ব ও সুনাম নষ্ট হয়ে যায়। আমরা সেই ঘটনার পর কিছু করতে পারছিলাম না। সেই কারণেই আমরা গঙ্গায় পদক বিসর্জন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু সেখানেও রাজনীতির শিকার হতে হয় আমাদের। এক ব্যক্তি বজরংকে (পুনিয়া) অন্যত্র নিয়ে গিয়ে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত অপেক্ষা করিয়ে রাখেন। তিনি আশ্বাস দেন, আমাদের ন্যায়বিচার পাইয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু কিছুই হয়নি। এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়, আমাদের আর পদক বিসর্জন দেওয়ার মাধ্যমে প্রতিবাদের সুযোগই ছিল না। আমাদের মানসিক অবস্থা ভালো ছিল না। ঠিক কী হচ্ছিল আমরা বুঝতে পারছিলাম না।’

আরও পড়ুন-

ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে এফআইআর বাতিল করছে দিল্লি পুলিশ

ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন, স্বীকার নাবালিকা কুস্তিগীরের বাবার

PV Sindhu: র‍্যাকেটের বদলে হাতে স্টিয়ারিং, কে এফ ১ কার্টিং সার্কিটে পিভি সিন্ধু