সংক্ষিপ্ত

যৌন হেনস্থার অভিযোগে ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংকে গ্রেফতারের দাবি জোরালো হচ্ছে। কুস্তিগীরদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের বিভিন্ন সংগঠন।

ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিং ও হরিয়ানার মন্ত্রী সন্দীপ সিংকে গ্রেফতারের দাবিতে দেশজুড়ে আন্দোলনের ডাক দিল মহিলাদের ৪টি সংগঠন। কুস্তিগীদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থনের কথা জানিয়ে এক বিবৃতিতে অল ইন্ডিয়া ডেমেক্রোটিক উইমেনস অ্যাসোসিয়েশন, ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান উইমেন, কোঅর্ডিনেশন পিওডব্লু-পিএমএস-আইজেএম অল ইন্ডিয়া মহিলা সাংস্কৃতিক সংগঠন ও অল ইন্ডিয়া অগ্রগামী মহিলা সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘দেশের বিভিন্ন জায়গায় কয়েকশো বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করা হবে। মহিলারা গ্রামে, বস্তিতে, পাড়ায় বিক্ষোভ দেখাবেন। বিজেপি-র মহিলা-বিরোধী মুখ প্রকট করে দেওয়া হবে। কয়েক লক্ষ স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হবে। সেই স্বাক্ষর জেলাশাসকদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে।’ 

রবিবার কুস্তিগীরদের পক্ষ থেকে মহাপঞ্চায়েত আয়োজন করা হয়েছিল। ৩১ সদস্যের যে কমিটি গঠন করা হয়েছে, সেই কমিটির পক্ষ থেকে কুস্তিগীরদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, ২১ মে-র মধ্যে যদি ব্রিজভূষণকে গ্রেফতার না করা হয়, তাহলে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এদিন কুস্তিগীরদের সঙ্গে ছিলেন ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের মুখপাত্র রাকেশ টিকায়েত, খাপ মহম ২৪-এর প্রধান মেহর সিং, সংযুক্ত কিষান মোর্চা নেতা বলদেব সিং সিরসা। বিজেপি-র পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, কুস্তিগীরদের আন্দোলনের দখল নিয়েছেন কৃষক নেতারা। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কুস্তিগীর ভিনেশ ফোগট

এদিন রাকেশ বলেন, ‘খাপ পঞ্চায়েত ও সংযুক্ত কিষান মোর্চার অনেক নেতা আজকের বৈঠকে যোগ দেন। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, প্রতিদিন আন্দোলনে যোগ দেবেন প্রতিটি খাপের সদস্যরা। তাঁরা সারাদিন এখানে থেকে সন্ধেবেলা চলে যাবেন। কুস্তিগীরদের কমিটি প্রতিবাদের বিষয়টি দেখবে। আমরা বাইরে থেকে কুস্তিগীরদের সাহায্য করব। আমরা ২১ মে ফের বৈঠক করব। সরকার যদি কোনও সমাধান না করে, তাহলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করব। যদি কোনও জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হয়, কুস্তিগীরদের যদি কোনও সমস্যার মুখে পড়তে হয়, তাহলে সারা দেশ তাঁদের সঙ্গে থাকবে।’

রবিবার সন্ধেবেলা যন্তর মন্তরে কুস্তিগীর ও তাঁদের সমর্থকরা মোমবাতি মিছিল করেন। এই মিছিল থেকে 'ইনকিলাব জিন্দাবাদ' স্লোগান ওঠে। বিভিন্ন দেশভক্তিমূলক গানও শোনা যায়। এদিন যন্তর মন্তরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। ৫০০-রও বেশি নিরাপত্তারক্ষীকে মোতায়েন করা হয়। দিল্লি পুলিশ, সিআরপিএফ, র‍্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের জওয়ানরা ছিলেন। অনেক মহিলা পুলিশকর্মীও ছিলেন। নিরাপত্তাবেষ্টনীর মধ্যেই মহাপঞ্চায়েত হল।

আরও পড়ুন-

মহিলা-পুরুষদের ৫,০০০ মিটার দৌড়ে নতুন জাতীয় রেকর্ড পারুল-অবিনাশের

৮৮.৬৭ মিটার জ্যাভলিন থ্রো, দোহা ডায়মন্ড লিগ চ্যাম্পিয়ন নীরজ চোপড়া

জ্যাংড়া জাগৃতি সংঘে কোরিয়ান মার্শাল আর্ট হাপকিডো-র টেকনিক্যাল সেমিনার