সংক্ষিপ্ত

স্পেনকে হারিয়ে অলিম্পিক ফুটবলে ইতিহাস তৈরি করল ব্রাজিল।  টানা দুবার অলিম্পিকে সোনা জিতে ছুঁয়ে ফেলল চিরপ্রতীদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনাকে। ২-১ গোলে জয় পায় ব্রাজিল।

বিশ্বকাপ, কোপা আমেরিকা, কনফেডারেশন কাপে ব্রাজিলে সাফল্য আশাতীত। কিন্তু অলিম্পিকের মঞ্চে ২০১৬ সালের আগে সোনা অধরা ছিল ৫ বারের বিশ্বজয়ীদের। ঘরের মাঠে প্রথমবার দেশবাসীর সেই স্বপ্নপূরণ করেছিল নেইমাররা। রিও-র পর টোকিও এবার পরপর দুবার অলিম্পিক ফুটবলে সোনা জিতে ইতিহাস তৈরি করল সেলেকাওরা। একইসঙ্গে ছুঁয়ে ফেললেন চিরপ্রতীদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার রেকর্ড। ২০০৪ ও ২০০৮ অলিম্পিকে সোনা জিতেছিল মেসির দেশ।

টোকিও অলিম্পিকে শুরু থেকেই দুরন্ত ছন্দে পাওয়া গিয়েছিল রিচার্লসন, দানি আলভেসদের। একের পর এক ম্যাচ জিতে ফাইনালে পৌছায় ব্রাজিল। সেমি ফাইনালে মেস্কিকোর বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস টাইব্রেকারে জয়ের পর ফাইনালে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ ছিল স্পেন। শনিবার ইয়োকোহামা স্টেডিয়ামে ফাইনালে স্পেনের বিরুদ্ধে ২-১গোলে জয় পায় ব্রাজিল। ম্যাচে প্রথমার্ধে ১-০ গোল এগিয়ে ছিল ব্রাজিল। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে দানি আলভাসের ক্রস বুক দিয়ে নামিয়ে দুরন্ত গোল করে ব্রাজিলকে এগিয়ে দেয় ম্যাথিয়াস কুনহা। 

আরও পড়ুনঃশুধু শুভেচ্ছা বিনিময় নয়, সোনার ছেলে নীরজের সঙ্গে আড্ডা দিলেন মোদী, দেখুন ভিডিও

আরও পড়ুনঃবন্ধুরা খেপাত মোটা বলে, তিনি সেনার গর্বিত সদস্যও - ভারতের সোনার ছেলের অজানা কাহিনী

আরও পড়ুনঃTokyo Olympics - ১২১ বছরের প্রতীক্ষার অবসান, ভারতকে অ্যাথলেটিক্সে পদক দিলেন নীরজ

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে স্প্যানিশ আর্মাডার। আক্রমণের মাত্রাও বাড়ায়। ৬১ মিনিটে গোল করে স্পেনকে সমতায় ফেরান মিকেল ওইয়ারজাবাল। বক্সে ভেসে আসা ভলিকরে দৃষ্টিনন্দন গোল করেন তিনি। নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে শেষ হয় খেলা। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের দ্বিতীয় অর্ধে গোল কের ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন ম্যালকম। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে জয় পায় ব্রাজিল। ২০০২ বিশ্বকাপে এই মাঠেই শেষ বিশ্বকাপ জিতেছিল ব্রাজিল। সেই মাঠেই ফের ইতিহাস সৃষ্টি করল সেলেকাওরা।

YouTube video player