সংক্ষিপ্ত
ক্রমশ অলিম্পিকে বাড়ছে করোনার থাবা। ২৩ গেমস শুরুর আগে চিন্তায় আয়োজক জাপান ও আইওসি। শেষ মুহূর্তে আসতে পারে যেকোনও বড় সিদ্ধান্ত।
অলিম্পিকের আগে গেমস ভিলেজে ক্রমশ বাড়ছে করোনা ভাইরাসের প্রকোপষ। ইতিমধ্যেই অ্যাথলিট, সাপোর্টিং স্টাফ সহ অলিম্পিকের সঙ্গে যুক্ত সব মিলিয়ে কোভিড আক্রান্তের সংখ্য়া ৭০-এর কাছাকাছি। যা অলিম্পিক্স শুরুর আগে বাড়াচ্ছে আতঙ্ক। গেমস ভিলেজে বায়ো বাবল ভেঙে গিয়েছে বলেও দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে অলিম্পিক বাতিলের একটা সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছিল। এবার সেই অশনি সংঙ্কেতকেই আরও উস্কে দিলেন অলিম্পিক্স আয়োজক কমিটির প্রধান তোশিরো মুতো।
করোনা আবহে অলিম্পিক আয়োজনের জন্য যাবতীয় সুরক্ষা বিধির ব্যবস্থা করেছিল জাপান প্রশাসন থেকে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি। কিন্তু তারপর সংক্রমণ রোখা যায়নি। এক সাংবাদিক সম্মেলনে তোশিরো মুতো বলেছেন,'করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যাটা ঠিক কী দাঁড়াবে,সেটা আগে থেকে আমরা বলতে পারব না। তবে এটা প্রতিরোধ করার জন্য আমরা আলোচনা চালিয়ে যেতে পারি।আমরা একমত হয়েছি যে, করোনভাইরাসের জন্য যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার ভিত্তিতে পাঁচদলীয় বৈঠক করব আমরা। এই মুহুর্তে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বা কমতেও পারে। যদি দেখি, পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে, সেই বুঝে সিদ্ধান্ত নেব।' ফলে বিশেষজ্ঞদের মতে, তোশিরো মুতো ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে গেলে বাতিল হয়ে যেতে পারে গেমস।
প্রসঙ্গত, গত বছর করোনা অতিমারির কারণে স্থগিত হয়ে যায় অলিম্পিক্স। যা গেমসের ইতিহাসে ছিল প্রথমবার। ২০২১ সালে ২৩ জুলাই থেকে ৮ অগাস্ট পর্যন্ত নতুন সূচি স্থির করা হয়। কিন্তু অলিম্পিক শুরুর আগে থেকেই ফের জাপানে করোনা গ্রাফ উর্ধ্বমুখী হতে শুরু করে। যেই কারমে টোকিওতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। জাপানের একটা বৃহৎ অংশের মানুষও অলিম্পিক আয়োজনের বিপক্ষে ছিল। এবার গেমসেও যেভাবে করোনার প্রকোপ বাড়ছে তাতে শেষ মুহূর্তে যে কোনও ঘোষণা হতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।