সংক্ষিপ্ত

আম্বানি পরিবার মহাকুম্ভে: মুকেশ আম্বানি তার পরিবারের সাথে মহাকুম্ভ ২০২৫-এ সঙ্গমে পবিত্র স্নান করলেন। চার প্রজন্ম পূজা-অর্চনা এবং সেবা কার্যে অংশগ্রহণ করলেন।

মুকেশ আম্বানির মহাকুম্ভ ভ্রমণ: ধর্ম, আস্থা এবং সংস্কৃতির সবচেয়ে বৃহৎ আয়োজন মহাকুম্ভ ২০২৫-এ দেশের সবচেয়ে বড় শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি তার পরিবারের সাথে সঙ্গমে পবিত্র স্নান করলেন। বিশেষ বিষয় হল, আম্বানি পরিবারের চার প্রজন্ম এই পবিত্র উপলক্ষে সঙ্গম নগরীতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর সাথে ছিলেন তাঁর মা কোকিলা বেন, ছেলে-বউ আকাশ আম্বানি ও শ্লোকা আম্বানি, ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্ট, এবং নাতি-নাতনী পৃথিবী ও বেদ।

সঙ্গমে পবিত্র স্নানের পর আম্বানি পরিবার নিরঞ্জনী আখড়ার পীঠাধিশ্বর আচার্য মহামন্ডলেশ্বর স্বামী কৈলাসানন্দ গিরিজি মহারাজের উপস্থিতিতে বিধি মতো মা গঙ্গার পূজা-অর্চনা করেন।

আম্বানি পরিবার মহাকুম্ভে সেবার ঐতিহ্য পালন করলেন

ত্রিবেণী স্নানের পর আম্বানি পরিবার পরমার্থ নিকেতন আশ্রমে গেলেন। সেখানে তাঁরা পরিচ্ছন্নতাকর্মী, নাবিক এবং তীর্থযাত্রীদের মিষ্টি বিতরণ করেন। এই সময় আম্বানি পরিবারের সদস্যরা তীর্থযাত্রীদের খাবার পরিবেশন করতেও দেখা যায়।

উল্লেখ্য, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এবার মহাকুম্ভে বৃহৎ পরিসরে অন্ন সেবা করছে। এই সেবা কার্যের জন্য কোম্পানি পরমার্থ নিকেতন আশ্রম, শারদা পীঠ মঠ ট্রাস্ট দ্বারকা, শ্রী শঙ্করাচার্য উৎসব সেবালয় ফাউন্ডেশন, নিরঞ্জনী আখড়া এবং প্রভু প্রেমী সংঘ চ্যারিটেবল ট্রাস্টের মতো বিখ্যাত আধ্যাত্মিক সংগঠনগুলির সাথে কাজ করেছে।

 

নাবিকদের লাইফ জ্যাকেট, সুরক্ষার দিকেও নজর

আম্বানি পরিবার মহাকুম্ভে নৌকা চালকদের (বোট চালক) তাদের এবং তীর্থযাত্রীদের সুরক্ষার জন্য লাইফ জ্যাকেটও দিয়েছেন। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ভক্ত নৌকা করে সঙ্গম স্নান করতে যান, তাই লাইফ জ্যাকেট তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।

মহাকুম্ভ ২০২৫-এ আম্বানি পরিবারের উপস্থিতি কেন গুরুত্বপূর্ণ?

  • আস্থা এবং সংস্কৃতির সাথে যোগসূত্র: ভারতের সবচেয়ে বড় শিল্পপতি হওয়া সত্ত্বেও, মুকেশ আম্বানি ভারতীয় ঐতিহ্য এবং ধর্মীয় আয়োজনে গভীর আস্থা রাখেন।
  • সমাজসেবা: আম্বানি পরিবার কেবল ব্যবসায়েই অগ্রণী নয়, ধর্মীয় আয়োজনে অন্ন সেবা, পরিচ্ছন্নতা অভিযান এবং তীর্থযাত্রীদের সেবাতেও অবদান রাখে।
  • নিরাপত্তার অঙ্গীকার: নৌকা চালকদের লাইফ জ্যাকেট দিয়ে তীর্থযাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে।

মহাকুম্ভ ২০২৫-এ মুকেশ আম্বানি এবং তাঁর পরিবারের অংশগ্রহণ এই মহান আয়োজনকে আরও বিশেষ করে তুলেছে। এটি কেবল আস্থা এবং ঐতিহ্যের মিলনস্থল নয়, সেবা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতারও প্রতীক হয়ে উঠেছে।