অযোধ্যার নতুন বিশাল রাম মন্দিরে ধর্ম ধ্বজারোহণের তৃতীয় দিনেও ভক্তদের উপচে পড়া ভিড়। প্রায় দেড় লক্ষ ভক্ত শিশু রূপী রামলালার দর্শন করেছেন। পুরো চত্বরের আলো ও সাজসজ্জা ছিল দেখার মতো। ভক্তরা উৎসাহের সাথে মোদী-যোগী সরকারের প্রশংসা করছেন।

অযোধ্যা। রাম নগরী অযোধ্যায় তৈরি নতুন বিশাল রাম মন্দিরে রামলালার দর্শনের জন্য ভক্তদের প্রচণ্ড ভিড় হচ্ছে। ধর্ম ধ্বজারোহণের তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবারও সকাল থেকে মন্দির চত্বরে লম্বা লাইন পড়ে যায়। অনুমান করা হচ্ছে, সারাদিনে প্রায় দেড় লক্ষ ভক্ত শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরে বিরাজমান রামলালা এবং মন্দিরের চূড়ার দর্শন করেছেন।

ধর্ম ধ্বজারোহণের পর উৎসাহ বেড়েছে

২২ জানুয়ারী ২০২৪-এ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে রামলালার প্রাণ-প্রতিষ্ঠার পর ২৫ নভেম্বর ২০২৫-এ মন্দিরের চূড়ায় ধর্ম ধ্বজা ওড়ানো হয়। এই অনুষ্ঠানে অনেক বিশেষ অতিথিকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। যোগী সরকার এই আয়োজনকে জমকালো ও সফল করতে পুরো মনোযোগ দিয়েছিল। অনুষ্ঠানটি দেশ-বিদেশে ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার তিন দিন পরেও ভক্তদের উৎসাহ কমেনি। ভোর চারটে থেকেই দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভক্তরা দর্শনের জন্য পৌঁছতে শুরু করেন। ঠান্ডা সত্ত্বেও মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছিলেন।

চারিদিকে 'জয় শ্রীরাম' ধ্বনি

শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় সকাল থেকেই দর্শন শুরু হয়ে গেছে। ভক্তরা রাম জন্মভূমি পথ ধরে রাম মন্দিরে পৌঁছচ্ছেন। গর্ভগৃহে विराजमान শিশু রূপী রামলালার মূর্তি দেখামাত্রই ভক্তদের মুখ থেকে 'জয় শ্রীরাম' ধ্বনি উঠছে।

জমকালো সজ্জা ক্যামেরাবন্দী করার প্রতিযোগিতা

মন্দিরটি ফুল ও আলো দিয়ে খুব সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে। রাতে পুরো চত্বর ঝলমল করে ওঠে। এই দৃশ্য নিজেদের মোবাইল ক্যামেরায় বন্দী করার জন্য মানুষজনকে জায়গায় জায়গায় সেলফি ও ছবি তুলতে দেখা যাচ্ছে। রাম মন্দির, রাম পথ, হনুমানগড়ী এবং কনক ভবনের সামনেও সেলফি তোলার জন্য ভিড় দেখা গেছে।

ভক্তদের অযোধ্যা ছাড়তে মন চাইছে না

ভক্তরা মোদী এবং যোগী সরকারের খোলাখুলি প্রশংসা করছেন। মধ্যপ্রদেশ থেকে আসা ভক্ত অরবিন্দ চতুর্বেদী বলেন, ৫০০ বছর পর রামলালা নিজের ঘরে ফিরে এসেছেন এবং এই সবকিছু প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জন্যই সম্ভব হয়েছে। পাটনা থেকে আসা মৃণাল ভার্মা বলেন, দুই নেতাই অযোধ্যাকে নতুন রূপ দিয়েছেন। তিনি জানান, শুক্রবার ফেরার টিকিট থাকা সত্ত্বেও তার বাচ্চারা আরও এক সপ্তাহ থাকার জন্য জেদ করছে।

বিশেষভাবে সক্ষম ও বয়স্কদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা

উত্তরপ্রদেশ সরকার নিরাপত্তার কঠোর ব্যবস্থা করেছে। পুলিশ এবং পিএসি জওয়ানরা পুরো এলাকায় মোতায়েন রয়েছে। ভিড়ের যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, তার জন্য প্রচুর সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়েছে। পানীয় জল, হুইলচেয়ার এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে। বয়স্ক এবং বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য আলাদা লাইনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।