মুখ্যমন্ত্রী যুব উদ্যমী বিকাশ অভিযানের আওতায় যুবকদের স্বরोजগারের জন্য ঋণ দেওয়া হচ্ছে। লাখ লাখ আবেদন জমা পড়েছে এবং হাজার হাজার যুবক ইতিমধ্যেই ঋণ পেয়েছেন। এই অভিযান যুবকদের চাকরিদাতায় পরিণত করছে।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ভিশন অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশের যুবকরা এখন চাকরিপ্রার্থী নয়, চাকরিদাতা হয়ে উঠছে। এর সাক্ষ্য দিচ্ছে এমএসএমই বিভাগের পরিসংখ্যান। উত্তরপ্রদেশ দিবস উপলক্ষে ২৪ জানুয়ারি চালু হওয়া মুখ্যমন্ত্রী যুব উদ্যমী বিকাশ অভিযান সুপারহিট প্রমাণিত হচ্ছে। স্বউপার্জনের জন্য এই অভিযানের আওতায় মাত্র ৬৭ দিনে রেকর্ড ২,০৭,১৫৮ টিরও বেশি আবেদন জমা পড়েছে। অর্থাৎ, স্বউপার্জনের জন্য প্রতিদিন আড়াই হাজারেরও বেশি আবেদন করেছেন যুবকরা। মুখ্যমন্ত্রী যোগীর 'মিশন রোজগার'-কে এমএসএমই বিভাগ বাস্তবায়ন করছে। ফলস্বরূপ, মুখ্যমন্ত্রী যুব অভিযানের আওতায় এমএসএমই বিভাগে জমা পড়া আবেদনের মধ্যে ১,৬৬,৫২২ টি আবেদন ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ৪৪,৫২১ টি আবেদন ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে এবং ৩০,৫৯৫ জন যুবক স্বউপার্জনের জন্য ঋণ পেয়েছেন। বিভাগ ১২১ কোটি টাকার মার্জিন মানিও অনুমোদন করেছে।
এই বিষয়ে, সূক্ষ্ম, লঘু ও মাঝারি উদ্যোগ বিভাগের প্রধান সচিব আলোক কুমার বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী যুব উদ্যমী বিকাশ অভিযান’ মুখ্যমন্ত্রী যোগীর স্বপ্নের প্রকল্প। মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছা অনুযায়ী, শাসন স্তর থেকে ব্যাংকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে যাতে ফাইলগুলি ঝুলে না থাকে এবং প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় থাকে। এছাড়াও, বিভাগের পক্ষ থেকে প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ, বিপণন সহায়তা এবং পরামর্শদানের মতো সহায়ক পরিষেবাও প্রদান করা হচ্ছে।
আগামী কয়েক মাসে এই অভিযান আরও সম্প্রসারিত হবে: আলোক কুমার মুখ্যমন্ত্রী যোগীর “নতুন ভারত গঠনে উত্তরপ্রদেশের অগ্রণী ভূমিকা” এই ভিশনকে বাস্তবায়নে এই প্রকল্পটি একটি শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে প্রমাণিত হচ্ছে। গ্রাম থেকে শহর, যুবকরা আজ এই অভিযানের মাধ্যমে নিজস্ব উদ্যোগ শুরু করছেন, যার ফলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য আগামী কয়েক মাসে এই অভিযানকে আরও সম্প্রসারিত করা এবং ২০২৫-২৬ সালে একটি নতুন রেকর্ড স্থাপন করা।
২৮,৪৭১ জন যুবক স্বউপার্জনের জন্য ঋণ পেয়েছেন। ১ এপ্রিল ২০২৪ থেকে ৩১ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত এই প্রকল্পের আওতায় নির্ধারিত ১ লক্ষ বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১,৭৮,৬৬২ টি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে ১,৪৪,২৭৩ টি আবেদন ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে, যার মধ্যে ৪০,৪৯২ টি অনুমোদিত হয়েছে এবং ২৮,৪৭১ জন যুবক স্বউপার্জনের জন্য ঋণ পেয়েছেন। এই সময়কালে এমএসএমই বিভাগ ১১৩ কোটি টাকারও বেশি মার্জিন মানি অনুমোদন করেছে, যা যুবকদের আর্থিকভাবে শক্তিশালী করছে।
২২ দিনে সাড়ে ২৮ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। এমএসএমই বিভাগে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে ১৮ এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত ২৮,৪৯৬ টি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে ২২,২৪৯ টি আবেদন ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে, ৪,০২৯ টি অনুমোদিত হয়েছে এবং ২,১২৪ জন লাভবানকে অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। এই স্বল্প সময়ে প্রায় ৯ কোটি টাকার মার্জিন মানি অনুমোদিত হয়েছে, যা সরকারের তৎপরতা এবং যুবকদের অংশগ্রহণ উভয়ই প্রতিফলিত করে।


