ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অনুসারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ দ্রুত হারে বাড়ছে। বিশ্বে ৪০ শতাংশ চাকরি প্রভাবিত হবে রর কারণে। আবার কিছু কিছু চাকরি ক্রমেই পৃথিবী থেকেই মুছে যাবে।

Artificial intelligence (AI) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন শুধু বিদেশের গবেষণাগারেই সীমাবদ্ধ নয়, সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনধারায়ও প্রবেশ করেছে ইতিমধ্যে। ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অনুসারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ দ্রুত হারে বাড়ছে।সারা বিশ্বে ৪০ শতাংশ চাকরি প্রভাবিত হবে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে। কিছু কিছু জব প্রোফাইল ধীরে ধীরে বদলে যাবে। আবার কিছু কিছু চাকরি ক্রমেই পৃথিবী থেকেই মুছে যাবে। সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় হল মহিলাদের চাকরির ক্ষেত্রেই এতে সবথেকে বেশি প্রভাব পড়বে।

বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অনুসারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ দ্রুত হারে বাড়ছে। ম্যাকেঞ্জির রিপোর্ট বলছে, অটোমেশনের ফলে চাকরি জগতেও ব্যাপক বদল দেখা যাবে। কত দ্রুত সংস্থাগুলি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে আত্তীকরণ করছে, এর উপর নির্ভর করবে আগামী দিনের চাকরির অবস্থা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিবর্তন শুধু কর্মসংস্থানের ধরনই পাল্টাবে না, বরং কিছু কর্মক্ষেত্র চিরতরে বিলুপ্ত হতে পারে। সবচেয়ে আশঙ্কার দিকটি হলো, মহিলা কর্মীদের ওপর এর প্রভাব তুলনামূলকভাবে বেশি হতে পারে, কারণ বহু ক্ষেত্রেই তাঁদের নিয়োজিত কাজগুলো অটোমেশনের আওতায় চলে আসছে।

AI -এর প্রভাবে মুছে যাবে এই ৮টি চাকরি

১। হিউম্যান রিসোর্স

সিভি বাছাই করা হোক ইন্টারভিউর ডেটা বিশ্লেষণ করাই হোক, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সব কাজেই পারদর্শী। আইবিএমের মত সংস্থা এখনই বেশ কিছু এইচআর স্টাফকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে বদলে দিয়েছে।

২। ড্রাইভার ও ডেলিভারি কর্মী

সেলফ-ড্রাইভিং প্রযুক্তি খুব দ্রুত বাড়ছে সারা বিশ্ব জুড়ে। তবে ভারতে এর নীতি ও পরিকাঠামো এখনও প্রস্তুত হয়নি। এই সেক্টরটি বিশ্বজুড়েই অটোমেশনের দিকে যাচ্ছে।

৩। এন্ট্রি লেভেল কোডার

নো-কোড এবং লো-কোড টুলগুলি এখন এন্ট্রি লেভেলের প্রোগ্রামিং চাকরির জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। গুগল এবং ওপেন এআই-এর মত বিশাল সংস্থাগুলি এআইয়ের মাধ্যমে সিম্পল কোডিংয়ের রাস্তা বেছে নিচ্ছে।

৪। সাইবার সিকিউরিটি অ্যানালিস্ট

হ্যাকিং ও সাইবার ডিফেন্স দুই ক্ষেত্রেই এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার হচ্ছে। সাইবার সিকিউরিটির জগতে এখন ক্রমেই মানুষের অবদান কমে আসছে।

৫। সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ

কেলার্নার মত সংস্থা এখন এআই অ্যাসিস্ট্যান্টের সাহায্যেই লক্ষ লক্ষ গ্রাহককে পরিচালনা করে। এরাই জেনারেটেড কল বা পরিষেবা দেওয়ার প্রযুক্তিও চলে এসেছে। এর ফলেই হাজার হাজার কর্মীর চাকরি চলে যাবে এআইয়ের কারণে।

৫। রিটেল ও রেস্টুরেন্ট কর্মী

রোবোট ওয়েটার আর সেলফ-চেক আউট সিস্টেম সম্প্রতি নানাবিধ মেট্রো শহরে চলে এসেছে। ম্যাকডোনাল্ড, ডেকাথেলনের মত ব্র্যান্ড খুব দ্রুত এই প্রযুক্তি আত্তীকরণ করছে।

৬। লেখক

ইমেল লেখা, মিটিং রিপোর্ট লেখা, নোটস নেওয়ার মত সামান্য কাজ থেকে শুরু করে ব্লগ বা আর্টিকেল লেখার মত কাজও এখন সহজেই করে দিতে পারছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। সিইওরাও এখন জুম মিটিংয়ে উপস্থিত হচ্ছেন এআই অ্যাভেটারের মাধ্যমে।

৭। মার্কেটিং প্রফেশনালস

সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, অ্যাড ডিজাইন, ডেটা অ্যানালিটিক্স ইত্যাদি কাজগুলি সহজেই কয়েক মিনিটে করে দিচ্ছে এআই। ফলে মার্কেটিং প্রফেশনের জন্য আলাদা করে স্পেশালিস্টের দরকার পড়বে না বলেই আশঙ্কা