অ্যাপেল ২০২৬ সালে তাদের প্রথম ভাঁজযোগ্য আইফোন বাজারে আনতে চলেছে। স্যামসাং এর ডিসপ্লে ব্যবহার করে ফক্সকন এই ফোনটি তৈরি করবে। এই ফোল্ডেবল আইফোনে ৫.৫ ইঞ্চি বাইরের ডিসপ্লে এবং ৭.৮ ইঞ্চি ভেতরের স্ক্রিন থাকতে পারে।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে নতুন ফোল্ডেবল স্মার্টফোনের বাজারে প্রবেশ করতে চলেছে অ্যাপেল। খবর অনুযায়ী, চলতি বছরের শেষের দিকে কোম্পানি তাদের প্রথম স্মার্টফোন আইফোনের উৎপাদন শুরু করবে। ২০২৬ সালে আইফোন ১৮ সিরিজের সঙ্গেই বাজারে আসতে পারে এই ফোন।

আপেলের চুক্তিবদ্ধ প্রস্তুতকারক ফক্সকন এই ফোল্ডেবল স্মার্টফোনের উৎপাদন চলতি বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের শেষের দিকে বা চতুর্থ ত্রৈমাসিকের শুরুতে শুরু করবে বলে টিএফ সিকিউরিটিজ অ্যানালিস্ট মিং-চি কুও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একটি পোস্টে জানিয়েছেন। তবে তিনি এও জানিয়েছেন যে এর হিঞ্জ সহ বেশ কিছু উপাদানের বৈশিষ্ট্য এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এই ফোল্ডেবল আইফোনে স্যামসাংয়ের ডিসপ্লে ব্যবহার করা হতে পারে। এর জন্য ৭০ থেকে ৮০ লক্ষ ফ্লেক্সিবল প্যানেল তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে স্যামসাং।

স্যামসাং থেকে ১.৫ কোটি থেকে ২ কোটি ফোল্ডেবল আইফোন প্যানেল অর্ডার করবে বলে কুও জানিয়েছেন। আগামী দুই-তিন বছরের চাহিদা মেটাতে এই অর্ডার সাহায্য করবে। আগামী বছরের দ্বিতীয়ার্ধে প্রচুর সংখ্যক ফোল্ডেবল আইফোন তৈরি করার পরিকল্পনা করছে কোম্পানি। এই ভাঁজযোগ্য আইফোনের দাম বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আপেলের এই বইয়ের মতো ফোল্ডেবল স্মার্টফোনে ৫.৫ ইঞ্চি বাইরের ডিসপ্লে এবং ৭.৮ ইঞ্চি ভেতরের স্ক্রিন থাকতে পারে। গত কয়েক বছরে ফোল্ডেবল স্মার্টফোনের বিক্রি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। কোরিয়ান টেক জায়ান্ট স্যামসাংয়ের এই বিভাগে সবচেয়ে বেশি বাজার দখল রয়েছে।

চলতি বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে, আন্তর্জাতিক স্মার্টফোন বিক্রিতে আপেলের আইফোন ১৬ শীর্ষস্থান দখল করেছে। প্রথম ত্রৈমাসিকের বিক্রির দিক থেকে আপেলের পাঁচটি আইফোন মডেল শীর্ষ ১০ স্মার্টফোনের তালিকায় স্থান পেয়েছে। গত বছর বাজারে আসা আইফোন ১৬ প্রথম স্থানে, আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স দ্বিতীয় স্থানে এবং আইফোন ১৬ প্রো তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আপেলের ক্ষেত্রে, টানা তৃতীয় ত্রৈমাসিকে মোট আইফোন বিক্রির অর্ধেকেরও বেশি আইফোন ১৬ প্রো মডেলগুলির। এই তালিকায়, আইফোন ১৬ই ষষ্ঠ স্থানে এবং আইফোন ১৬ প্লাস দশম স্থানে রয়েছে।