iPhone Fold: কিছুদিনের মধ্যেই বাজারে আসতে চলেছে অ্যাপল (Apple) আইফোন ফোল্ড মডেল। এই মডেল শুধু দেখতেই আলাদা হচ্ছে না, আইফোনের অন্যান্য মডেলগুলির সঙ্গে প্রযুক্তিগত পার্থক্যও থাকছে। আইফোনের নতুন মডেল নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
Apple iPhone Fold: আপল আগামী বছর প্রথম ফোল্ড আইফোন মডেল (Apple iPhone Fold) বাজারে ছাড়বে বলে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ডিভাইসে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে অ্যাপল। আইফোন এক্স সিরিজ থেকে ফেস আইডি আইফোনের নিরাপত্তা ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে সাম্প্রতিক দাবি অনুসারে অ্যাপলের প্রথম ফোল্ড আইফোনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরিবর্তিত হতে পারে। আপল দীর্ঘদিন ধরে ফেস আইডি-র উপর নির্ভর করে আসছে। যা একটি থ্রিডি সেন্সর ব্যবহার করে। কিন্তু এখন এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, আইফোনের নতুন মডেলগুলিতে, বিশেষ করে ফোল্ড মডেলগুলিতে ফেস আইডি-র বদলে টাচ আইডি চালু করা হবে। আইপ্যাডের কয়েকটি মডেলে টাচ আইডি চালু করা হয়েছে। এবার আইফোনেও একই প্রযুক্তি দেখা যাবে।
অ্যাপলের তথ্য ফাঁস চিনা সোশ্যাল মিডিয়ায়
চিনা সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ওয়েইবোতে অ্যাপলের প্রযুক্তির বিষয়ে সাম্প্রতিকতম তথ্য দিয়েছেন এক হ্যাকার। তার দাবি, আইফোন ফোল্ড মডেলে অনেক অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মতো পাঞ্চ-হোল ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে বলে ফেস আইডি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় নচটি থাকবে না। তাই, পরের বছর আইফোন SE 2022 মডেল বাজারে আসার পরেই আইফোনে টাচ আইডি-র প্রত্যাবর্তন দেখা যেতে পারে। গত কয়েক বছর ধরে আপল আইপ্যাড প্রো মডেলগুলিতে ফেস আইডি এবং আইপ্যাডে টাচ আইডি পাওয়া যাচ্ছে। স্যামসাংয়ের সর্বশেষ ডিসপ্লে প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে স্ক্রিন ক্রিজের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে। আপল বর্তমান সেটআপের মতো পাওয়ার বাটনে টাচ আইডি অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। কিছুদিন ধরেই গুঞ্জন রয়েছে যে আপেল ফোল্ড আইফোন আনতে চলেছে। সাম্প্রতিক একটি সূত্র অনুসারে, কুপারটিনোতে অবস্থিত টেক জায়ান্টটি ২০২৬ সালের দ্বিতীয়ার্ধে তার প্রথম দু'টি ফোল্ড গ্যাজেটের বৃহৎ উৎপাদন শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে। জিএফ সিকিউরিটিজকে প্রদত্ত একটি গবেষণা নোট অনুসারে, জেফ পু দাবি করেছেন যে উভয় ডিভাইসই ফক্সকনের নতুন পণ্য প্রবর্তন (এনপিআই) পর্যায়ে চলে গেছে। ৫,০০০mAh ক্ষমতার ব্যাটারি সম্ভবত অন্যান্য কোম্পানি যা অফার করছে তার সঙ্গে তুলনীয় হবে না। উদ্বোধনের তারিখ যতই এগিয়ে আসছে, ততই আরও বিশদ তথ্য স্পষ্ট হতে পারে, যদিও দুই ফোল্ড গ্যাজেটই ২০২৭ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী বাজারে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কোথায় তৈরি হবে অ্যাপলের নতুন ডিভাইস?
চিনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান শুল্ক যুদ্ধের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন। তিনি অ্যাপলের মতো বড় কোম্পানিগুলিকে চিনের পরিবর্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের পণ্য উৎপাদন করতে বলেছেন। চলমান বিশ্বব্যাপী বিতর্কের মধ্যে অ্যাপলের সিইও টিম কুকের একটি পুরনো ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আবারও দেখা দিয়েছে। কুক চিনে তাঁদের পণ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত ব্যাখ্যা করেছেন। ২০২৪ সালে প্রথম প্রকাশিত সংক্ষিপ্ত ভিডিওতে কুক ব্যাপকভাবে প্রচলিত ধারণাটিকে খারিজ করে দিয়েছেন যে বিভিন্ন সংস্থা কম খরচে শ্রমের সন্ধানে চিনে চলে আসে। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে একটি বর্ধিত সরবরাহ শৃঙ্খল, অতুলনীয় উৎপাদন ক্ষমত, পরিকাঠামো এবং প্রশিক্ষিত কর্মীবাহিনী অ্যাপলের উৎপাদন চাহিদা পূরণের জন্য দেশে পণ্য তৈরির আসল কারণ। কুক বলেছেন, 'চিন সম্পর্কে বিভ্রান্তি রয়েছে। আমাকে অন্তত আমার মতামত দিতে দিন। জনপ্রিয় ধারণা হল যে কোম্পানিগুলি কম শ্রম খরচের জন্য চিনে আসে। আমি নিশ্চিত নই যে তারা চিনের কোন অংশে যায়। কিন্তু সত্য হল চিন অনেক বছর আগেই কম শ্রম খরচের দেশ হওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।' তিনি চিনের টুলিং দক্ষতা এবং উচ্চ দক্ষ কর্মীদের ঘনত্বের প্রশংসা করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে অ্যাপলের পণ্যগুলির জন্য উন্নত সরঞ্জাম এবং উচ্চ নির্ভুলতা প্রয়োজন, যা চিনে উৎকৃষ্ট।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


