Semiconductor Industry: মোশিপ এবং সিজি পাওয়ারের মতো অন্যতম সেরা কোম্পানিগুলি গত তিনটি সেশনে উল্লেখযোগ্যভাবে ভালো ফল করেছে। ‘মেইড ইন ইন্ডিয়া’, অর্থাৎ আত্মনির্ভর ভারত প্রোজেক্ট এগিয়ে চলছে দুর্বার গতিতে।

Semiconductor Industry: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের সেমিকন্ডাক্টর ইকোসিস্টেমকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে, ‘সেমিকন ইন্ডিয়া ২০২৫'-এর উদ্বোধন করার পর মঙ্গলবার, সেমিকন্ডাক্টর শেয়ারের দাম অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে (made in india chips)। মোশিপ টেকনোলজিস উল্লেখযোগ্যভাবে বেশ ভালো ফল করেছে এবং ৮.২% বৃদ্ধি পেয়ে তা ১৮৬-তে বন্ধ হয়েছে। এটি টানা তৃতীয় সেশনে লাভের মুখ দেখেছে। এটির মূল্য আপাতত ১৪% বৃদ্ধি পেয়েছে (semicon india 2025 news)।

সিজি পাওয়ার অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল সলিউশনস ৩.২% বৃদ্ধি পেয়ে শেষ হয়েছে। গত তিনটি সেশনে ১১% বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। অন্যান্য সেমিকন্ডাক্টর-কানেকটেড স্টক, যেমন এবিবি ইন্ডিয়া এবং ডিক্সন টেকনোলজিস অপরিবর্তিত ছিল। এদিকে আবার টাটা এলক্সি ১% বৃদ্ধি পেয়ে বন্ধ হয়েছে।

৭,৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ

সিজি পাওয়ারের সহযোগী সংস্থা সিজি সেমি সম্প্রতি গুজরাতের সানন্দে ৭,৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ভারতের প্রথম আউটসোর্সড সেমিকন্ডাক্টর অ্যাসেম্বলি এবং পরীক্ষা কেন্দ্রটির উদ্বোধন করেছে।

ভারতের সেমিকন্ডাক্টর ইকোসিস্টেমের জন্য একটি বার্ষিক সম্মেলন, সেমিকন ইন্ডিয়া ২০২৫ আয়োজিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছেন যে, ভারত চলতি বছর থেকেই বাণিজ্যিক সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন শুরু করবে।

ইলেকট্রনিক্স এবং আইটি সচিব এস. কৃষ্ণান জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে দেশের সরকার ‘ভারত সেমিকন্ডাক্টর মিশন'-এর (আইএসএম) দ্বিতীয় পর্যায়টি চূড়ান্ত করে ফেলেছে। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলি যৌথভাবে এই খাতে ৩০ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে বলে আশা করা হচ্ছে। আইএসএম ১.০-এর প্রায় সমস্ত তহবিল সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে। ২-৩টি প্রকল্পের উপর এখনও কাজ চলছে। তবে আমরা আইএসএম ২.০ প্রস্তুত করার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছি। যা শীঘ্রই জনসাধারণের কাছে প্রকাশ করা হবে।"

সেমিকন্ডাক্টর অভিযান

প্রসঙ্গত, গত ২০২১ সালে থেকে ভারত সেমিকন্ডাক্টর মিশন (আইএসএম) শুরু হয়। প্রায় ৭৬,০০০ কোটি টাকার প্রাথমিক বরাদ্দ সহ, আইএসএম একটি শক্তিশালী সেমিকন্ডাক্টর এবং ডিসপ্লে নেটওয়ার্ক তৈরি করার লক্ষ্যে, ভারতকে ইলেকট্রনিক্স শিল্পে উৎপাদন ও ডিজাইনের জন্য একটি বৈশ্বিক কেন্দ্র হিসেবে স্থাপন করা হচ্ছে।

গত চার বছরে, মোট ৬টি রাজ্য জুড়ে প্রায় ১.৬০ লক্ষ কোটি টাকার দশটি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। যার মধ্যে দেশ এবং বিদেশের একাধিক সংস্থা রয়েছে। টাটা ইলেকট্রনিক্স, মাইক্রন, এইচসিএল-ফক্সকন এবং কেইনস সেমিকনের মতো সংস্থাগুলির উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ ভারতের সেমিকন্ডাক্টর রোডম্যাপে ক্রমবর্ধমান সাফল্যকে তুলে ধরছে। গুজরাত, আসাম, ওড়িশা, পাঞ্জাব এবং অন্ধ্রপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলি এই শিল্পের অন্যতম কেন্দ্র হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।