আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে মেমরি চিপের দাম ৪০ শতাংশের বেশি বাড়তে পারে। ফলে স্মার্টফোনের বাজারে নাভিশ্বাস উঠবে নির্মাতাদের। এই ধাক্কায় ৬.৯ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে দাম!
আগামী বছর থেকেই হু হু করে বাড়তে পারে স্মার্টফোনের দাম। ফলে এখন থেকেই বাড়তি সঞ্চয় না করলে পরে সমস্যা পড়তে হতে পারে। কিন্তু কেন দামি হচ্ছে স্মার্টফোন? এর নেপথ্যে ‘ভিলেন’ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তথা এআই। ২০২৬ এ নতুন স্মার্টফোন কেনা সাধ্যের বাইরে চলে যেতে পারে।বিশেষ করে সস্তা ও বাজেট ফোনগুলোর জন্য। প্রধানত মেমোরি চিপের (DRAM) দাম বৃদ্ধি এবং AI-এর চাহিদা বাড়ার কারণে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় ফোন কোম্পানিগুলো দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে, যার ফলে দাম প্রায় ৭% বাড়তে পারে এবং কমদামী মডেলগুলো বাজার থেকে কমে যেতে পারে। তাই, যদি আপনার ফোন কেনার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে এখনই কেনা ভালো অথবা আগামী বছরের জন্য বেশি বাজেট রাখতে প্রস্তুত থাকুন।
দাম বাড়ার কারণ: DRAM চিপের সংকট: AI ডেটা সেন্টার এবং স্মার্টফোনে ব্যবহৃত DRAM চিপের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে, ফলে এর দাম প্রায় ৪০% পর্যন্ত বাড়তে পারে, যা ফোন প্রস্তুতকারকদের খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে।
উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি: ২০২২ সাল থেকে বাজেট ফোনের উৎপাদন খরচ ২০-৩০% এবং মিড-রেঞ্জ ও প্রিমিয়াম ফোনের খরচ ১০-১৫% বেড়েছে, এবং ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে আরও ৮-১৫% বাড়তে পারে।
কমদামী মডেলের সংকোচন: এই পরিস্থিতিতে, কম লাভে সস্তা ফোন বানানো কঠিন হওয়ায় কোম্পানিগুলো কমদামী মডেলের উৎপাদন কমিয়ে দিচ্ছে বা বাজার থেকে সরিয়ে নিচ্ছে।
আপনার জন্য পরামর্শ:
এখনই কিনুন: যদি বাজেট ফোন কেনার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কিনে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
বাজেট বাড়ান: আগামী বছর কিনলে দাম বেশি দিতে হতে পারে, তাই অতিরিক্ত বাজেট রাখার জন্য প্রস্তুত থাকুন।
বৈশিষ্ট্য হ্রাস: কমদামী ফোনগুলোতে হয়তো আগের মতো ফিচার বা স্পেকস (যেমন RAM) নাও পেতে পারেন, কারণ কোম্পানিগুলো খরচ কমাতে এমনটা করতে পারে।
