সংক্ষিপ্ত
ভারতে আইফোন অ্যাসেম্বেল করার কাজ আগেই শুরু হয়েছে। তবে এতদিন বিদেশি সংস্থাই এদেশে আইফোন অ্যাসেম্বেল করার কাজ চালাচ্ছিল। এবার ভারতীয় সংস্থাই এই কাজ করবে।
আগামী মাসেই অ্যাপলের বিভিন্ন সামগ্রী সরবরাহকারী সংস্থা উইসট্রন কর্প অধিগ্রহণ করতে চলেছে টাটা গ্রুপ। ফলে দেশের প্রথম সংস্থা হিসেবে আইফোন অ্যাসেম্বেল করবে টাটা গ্রুপ। কর্ণাটকে যে কারখানা আছে, সেটি অধিগ্রহণ করতে চলেছে টাটা গ্রুপ। ৬০০ মার্কিন ডলারেরও বেশি অর্থ দিয়ে টাটা গ্রুপ উইসট্রন কর্পের কারখানা অধিগ্রহণ করতে চলছে। যদিও এখনই এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলছে না টাটা গ্রুপ, অ্যাপল ইঙ্ক ও উইসট্রন কর্প। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রায় এক বছর ধরে এই কারখানা অধিগ্রহণের বিষয়ে আলোচনা চলছিল। শেষপর্যন্ত চুক্তি চূড়ান্ত হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যেই সরকারিভাবে ঘোষণা হবে।
কর্ণাটকে আইফোন অ্যাসেম্বেল করার কারখানায় ১০ হাজারেরও বেশি কর্মী আছেন। এই কারখানায় এখন আইফোন ১৪ অ্যাসেম্বেল করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে আইফোন ১৫, আইফোন ১৬ অ্যাসেম্বেল করা হবে। উইসট্রনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে এই কারখানায় ১.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আইফোন অ্যাসেম্বেল করা হবে। সরকারের পক্ষ থেকে যে আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, সেটা পাওয়ার জন্যই এই লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল উইসট্রন। আগামী বছরের মধ্যে এই কারখানায় কর্মী সংখ্যা তিন গুণ বাড়ানোর কথাও বলা হয়। তবে এবার টাটা গ্রুপ এই কারখানা অধিগ্রহণ করছে। উইসট্রন কর্প যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, টাটা গ্রুপ সেই প্রতিশ্রুতি পালন করবে বলে জানা গিয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে চাননি টাটা গ্রুপ, উইসট্রন কর্প ও অ্যাপলের মুখপাত্ররা।
এর আগে চিনে আইফোন অ্যাসেম্বেল করছিল অ্যাপল। এবার দক্ষিণ এশিয়ায় কারখানার সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। ৩০ জুন শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকে ভারত থেকে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের আইফোন রফতানি করেছে উইসট্রন। তাইওয়ানে অ্যাপল প্রোডাক্টস সরবরাহকারী সংস্থা ফক্সকন টেকনলজি গ্রুপ ও পেগাট্রন কর্পও আইফোন অ্যাসেম্বেল করার পরিমাণ বাড়াচ্ছে।
কেন্দ্রীয় সরকার 'মেক ইন ইন্ডিয়া' প্রকল্প চালু করার পর থেকে দেশে বিভিন্ন পণ উৎপাদনের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। উৎপাদন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে লোভনীয় আর্থিক সুবিধা দেওয়ার কথাও জানিয়েছে কেন্দ্র। করোনা অতিমারীর সময় থেকে চিনের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। সেই কারণেই চিন থেকে কারখানা সরিয়ে নিচ্ছে অ্যাপল। এখন এরই সুযোগ নিচ্ছে ভারতীয় সংস্থাগুলি।
আরও পড়ুন-
Smartphone Charger: সব স্মার্টফোনে একই চার্জার ব্যবহারের প্রস্তাব দেখুন কী বললো অ্যাপল
গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্যে গোপনে নজরদারি চালাচ্ছিল টিকটক, ফাঁস করল অ্যাপল