পাকিস্তানে অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজের হামলায় একের পর এক জঙ্গি ও কট্টরপন্থীর মৃত্যু হচ্ছে। এবার রিয়াসি জঙ্গি হামলার মূল চক্রীও খতম হয়েছে বলে দাবি করছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম।

ভারতে জঙ্গি হামলা হলে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে নিন্দার ঘটনা সচরাচর দেখা যায় না। কারণ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা হামলা চালায়। রিয়াসির ক্ষেত্রেও সেটাই দেখা যাচ্ছে।

লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চে জঙ্গি হামলা নিয়ে রাজনীতি শুরু হয়েছে। তবে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে সেনাবাহিনী।

এবারের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বারবার পাকিস্তান প্রসঙ্গ উঠে আসছে। কংগ্রেসের পাকিস্তান-যোগের অভিযোগে সরব বিজেপি।

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় জঙ্গি হামলার পরিপ্রক্ষিতে সারা বিশ্বে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ভারত-সহ বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে এই জঙ্গি হামলার নিন্দা করা হচ্ছে।

সন্ত্রাসবাদী হামলা থেকে রেহাই পেল না মস্কোও। ইজরায়েলে যেভাবে গানের অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়েছিল হামাস জঙ্গিরা, ঠিক একইভাবে মস্কোর একটি কনসার্ট হলে হামলা চালানো হল।

জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন সূত্রের খবর, যে এলাকায় অতর্কিত হামলা হয়েছে। সেখানে শক্তিশালী পাঠান হয়েছে। সেখানে এখনও গুলির লড়াই চলছে

করাচি পুলিশ সদর দফতরে প্রবেশকারী এই জঙ্গিদের কাছে ভারী বিস্ফোরক ও অস্ত্র রয়েছে, যা দিয়ে তারা ক্রমাগত হামলা চালাচ্ছে।

 একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন বালুর লিবারেশন আর্মি। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের পঞ্জগুর ও নুশকি সামরিক ক্যাম্পের একটি বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে তাদের হাতে। ক্যাম্পের বড় অংশ ধ্বংস করে দিয়েছে। ক্যাম্পের ভিতরে পাকিস্তানি সেনার অবস্থান দুর্বল করা হয়েছে। 

ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের ক্রমাগত সংক্রমণে এমনতেই শিয়রে শমন পরিস্থিতি মুম্বইয়ের। এমন এক সময়ে মুম্বইয়ে জারি করা হয়েছে সস্ত্রাস হামলার সতর্কতা। এর জেরে এখন আরও বেশি করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে জনমানসে। সকলের মনে ফিরে আসছে ২৬/১১-র রাতের ভয়ানক সন্ত্রাসবাদী হামলার আতঙ্ক।