সংক্ষিপ্ত

  • আনলকডাউন একে স্বাভাবিকের পথে দিঘা 
  • মন্দারমণির পর খুলছে দিঘা 
  • ত্রিশ শতাংশ হোটেল খোলা হবে
  • কর্মীদের সুরক্ষার ভার থাকবে হোটেল কর্তৃপক্ষের ওপর

সঞ্জীব কুমার দুবে, পূর্ব মেদিনীপুর: চতুর্থ দফার লকডাউন ওঠার মুখেই হোটেল খোলা নিয়ে আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতই সপ্তাহের শুরুতে খুলেছিল মন্দারমণির দরজা। করোনা আবহের মাঝেই দীর্ঘ লকডাউনের ধাক্কা সামলে আবারও ছন্দে ফেরার প্রয়াস শুরু করতে চলেছে সৈকত সুন্দরী দিঘা।  বুধবার সন্ধে নাগাদ দিঘা শংকরপুর হোটেলিয়ারর্স অ্যাসোসিয়েশানের এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকেই পর্যটকের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে দিঘার হোটেল।

ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের তরফে ৮ জুন থেকে হোটেল খোলার বিষয়ে গ্রিন সিগন্যাল মিলেছিল। এরপরই বুধবার দিঘায় অবস্থিত হোটেলিয়ারর্স অ্যাসোসিয়েশানের অফিসে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেন হোটেল মালিকদের সংগঠনটি। সেই বৈঠকেই সর্বসম্মতিক্রমে হোটেল খোলার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন মালিকেরা।

যদিও করোনা নিয়ে এখনও কাটেনি সংকট, তাই হোটেল খোলার ক্ষেত্রে খুব বেশী তাড়াহুড়ো করতে নারাজ মালিকদের একাংশ। এই মুহূর্তে দিঘা জুড়ে প্রায় সাড়ে ৫০০ থেকে ৬০০ ছোটবড় হোটেল রয়েছে। যার মধ্যে প্রথমসারির প্রায় ২০০ হোটেল এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। যদিও  বৈঠকে সমস্ত মালিকপক্ষ উপস্থিত থাকতে পারেননি। তবে নেতৃত্বস্থানীয় সকলেই প্রায় উপস্থিত ছিলেন। 

আরও পড়ুনঃ আগামী ২-৩ ঘন্টার মধ্য়েই ফের বজ্রবিদ্য়ুৎ সহ বৃষ্টি, কলকাতা সহ রাজ্য়ের একাধিক জেলায়

বৈঠকে ছিলেন সংগঠনের সভাপতি সুশান্ত পাত্র, যুগ্ম সম্পাদক তপন মাইতি ও বিপ্রদাস চক্রবর্তী সহ আরও অনেকে। দীর্ঘ আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয়েছে এই দিঘার ৩০% হোটেল পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে।  করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে পরিস্থিতি। তবে পরিস্থিতি পুরোদস্তুর স্বাভাবিক না হওয়ায় এই মুহূর্তে কেবলমাত্র সমূদ্র ও শহর লাগোয়া ৩০% হোটেলকেই খোলার জন্য অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। এই হোটেলগুলি আবার তাদের ৩০% ঘর পর্যটকদের জন্য খুলে দেবে। কর্মীসংখ্যাও মোটামুটি ৩০% থাকবে। গ্রামগঞ্জের দিকে হোটেলগুলি এখনই খুলতে নিষেধ করা হয়েছে।

 

 

এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে পর্যটক ও হোটেল কর্মীদের কিভাবে করোনার প্রভাব থেকে মুক্ত রাখা যাবে? হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশানের তরফে জানানো হয়েছে, হোটেল মালিকদেরই কর্মচারী ও পর্যটকদের সুরক্ষার দিকটি নিশ্চিত করতে হবে। হোটেল প্রতিনিয়ত স্যানিটাইজ রাখা এবং করোনা যাতে না ছড়ায় সেদিকে খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে। ইতিপূর্বে জেলার অন্যতম অপর একটি পর্যটন কেন্দ্র মন্দারমণি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়ায় ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের কাছে কিছুটা হলেও খুশির খবর। পাশাপাশি আনলক ওয়ানে রাস্তাঘাটে গাড়িঘোড়ার পাশাপাশি খোলা হয়েছে সরকারি অফিস আদালত। বিভিন্ন কারণে সরকারি বা বেসরকারি অফিসে উপস্থিতির হার কম থাকলেও সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার জন্যই রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ।