সংক্ষিপ্ত

  • স্কুল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ 
  • শাস্তি দিতে মার্কিন পুলিশের বর্বরতা
  • ফ্লোরিডার স্কুল থেকে  ৬ বছরের ছাত্রী গ্রেফতার
  • চেন দিয়ে বেঁধে শিশুকে তোলা হল পুলিশ গাড়িতে 

বাংলার প্রবাদ সত্যি হল সুদূর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডাতে। লঘুপাপে গুরুদণ্ড পেল একটি শিশু। স্কুলের মধ্যেই কর্মীদের লাথি মারার অভিযোগ ছিল ৬ বছরের স্কুল ছাত্রীর বিরুদ্ধে। আর  সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ যা করল তা বর্বরতাকে হার মানায়। একটি বডি ক্যামেরায় তোলা ভিডিও ফুটেজ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে তা ভাইরাল হয়ে গেছে। 

আরও পড়ুনঃ রাষ্ট্রসংঘের স্থায়ী সদস্যপদ পেতে ভারতের পাশে আমেরিকা, মোদীকে আশ্বাসবাণী ট্রাম্পের

ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, স্কুলের মধ্য়ে ঢুকে পড়ে পুলিশ। আর পুলিশ দেখেই প্রবল আর্তনাদ করে কান্না জুড়ে দেয় ৬ বছরের স্কুল ছাত্রী কিয়া রোল। কিন্তু ভাবলেশহীন পুলিশ আধিকারিক তার কান্নায় কোনও আমল দেয়নি। উল্টে একটা চেন দেখিয়ে পুলিশ আধিকারিক ছাত্রীর উদ্দেশ্য বলে এটি তার জন্যই আনা হয়েছে। ছাত্রীর কান্না সত্ত্বেও স্কুলের মধ্যেই পিছমোড়া করে বেঁধে ফেলা হয়  হাত। নিয়ে যাওয়া হয় পুলিশ গাড়ির দিকে। কিন্তু তখনও ছোট্ট ছোট্ট কিয়া রোল কান্না থামায়নি। কাঁদতে কাঁদতে ছোট্ট মেয়েটি সাহায্যের আবেদন জানায় বারবার। কোনও লাভ হয়নি। এভাবেই ছোট্ট কিয়া-কে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশের গাড়ি দেখে সে আরও জোরে কাঁদতে থাকে। পুলিশের গাড়িতে সে উঠবে না বলে জানিয়ে দেয়। তখন পুলিশ আধিকারিক স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয় গাড়িতে উঠতে সে বাধ্য।  ছোট্ট মেয়েটিকে জোর করেই টেনে গাড়িতে তুলতে গেলে সে দ্বিতীয়বার সুযোগের জন্য আবেদন জানায়। কিন্তু কোনও কথাই শোনেনি পুলিশ আধিকারিক। এক প্রকার টেনে হিঁচড়ে তাকে তুলে নেওয়া হয় পুলিশের গাড়িতে। 

আরও পড়ুনঃ করোনাভাইরাসের গ্রাস, বাতিল হতে পারে টোকিও অলিম্পিক
ছাত্রীর পরিবার সোমবার  এই ভিডিও ফুটেজ  প্রকাশ  করে। তবে মার্কিন পুলিশও ব্যবস্থা নিয়েছে সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে। নীতি লঙ্ঘনের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে পুলিশ আধিকারিককে। কারণ নিয়ম অনুযায়ী ১২ বছরের নিচে কোনও শিশুকে গ্রেফতার করতে হলে একজন সুপারভাইজারকে উপস্থিত থাকতে হবে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিক নীতি লঙ্ঘন করে একা একাই শিশুটিতে গ্রেফতার করতে গিয়েছিল।  

তবে স্থানীয় একটি সংবাদ মাধ্যকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিয়া রোলের ঠাকুমা জানিয়েছেন, একটি হোম থেকে ছাড়িয়ে আনতে হয়েছিল নাতনিকে। যেখানে নানতির সঙ্গে তাঁকেও ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছিল।