সংক্ষিপ্ত

মার্কিন মুলুকে ইতিহাস তৈরি করলেন অনমোল নারাং
সেনা অ্যাকাডেমির প্রথম মহিলা শিখ গ্রাজুয়েট তিনি
সাফল্য গর্তিব বলে জানিয়েছেন
চ্য়ালেঞ্জ গ্রহণে পিছপা হবেন না তিনি 
 

মার্কিন মুলুকে ইতিহাস তৈরি করল ভারতীয় বংশোদ্ভূত আনমোল নারাং। তিনি প্রথম শিখ মহিলা যিনি ওয়েস্ট পয়েন্টের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনা অ্যাকাডেমি থেকে গ্রাজুয়েট হলেন। ২০২০ সালের সাফল্যের তালিকা তুলে ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আনমোলের নাম ঘোষণা করেছেন। এই সম্মানের অধিকারী হয়ে নিজেরে গর্বিত বলে মনে করছেন আনমোল। গত শনিবার প্রত্যাশিত ডিগ্রি পেয়ে ২৩ বছরের শিখ মহিলা বলেছেন এতদিনে তাঁর স্বপ্ন পূর্ণ হয়েছে। 

নারাং আরও জানিয়েছেন তাঁর এই সাফল্য আমেরিকায় বসবাসকারী শিখ সম্প্রদায়ের মানুষকে আরও এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। শিখ সম্প্রদায়ের আত্মবিশ্বাস আর সমর্থন তাঁকে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেছেন তাঁর এই সাফল্য আমেরিকায় বসবাসকারী শিখদের পেশাগত চ্যালেঞ্জ নিতেও উৎসাহিত করবে। 


জর্জিয়ার রোজওয়েলে এক শিখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আনমোল। সেখানেই তাঁর বেড়ে ওঠা। দ্বিতীয় প্রজন্মের অভিবাসী পরিবারের সদস্য তিনি। তাঁর এক দাদু ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন। তাঁর কাছ থেকেই অনুপ্রেড়না পেয়েছেন সেনা বাহিনীতে যোগ দানের। উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করার সময় তিনি সামরিক চাকরিতে যোগদানের ইচ্ছে প্রকাশ করেন। সেইমত নিজের লক্ষ্য অবিচল রেখে এগিয়ে চলেন তিনি। পরিবারের সঙ্গে হাওয়াই, হনলুলু, পার্লহারবারের স্মৃতি সৌধ পরিদর্শনের পর আর লক্ষ্য আরও দৃঢ় হয়েছিল বলে জানিয়েছেন আনমোল। তারপরই ওয়েস্ট পয়েন্টে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

নারাং ওকলাহোমা শহরে ফোর্ট সিল-এ তাঁর বেসিক অফিসারের নেতৃত্বের কোর্সটি সম্পন্ন করবেন। সেখানে সফল হলেই ২০২১ সালে জানুয়ারিতে জাপানের ওকিনাওয়াতে তাঁর প্রথম পোস্টিং হবে। তেমনই জানিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা শিখ কোয়ালিশন।  ওয়েস্ট পয়েন্টে যাওয়ার আগে আনলোম জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলডি থেকে  এক বছরের স্নাতক সমীক্ষায় আংশ নিয়েছিলেন পাশাপাশি পারমানবিক শক্তি নিয়েও পড়াশুনা করেছেন। 

১৯৮৭ সালে মার্কিন কংগ্রেসের একটি আইন পাশ করে আমেরিকায় সেনাবাহিনীতে অংশগ্রহণকারী শিখদের ওপর একগুচ্ছ বাধা আরোপিত করা হয়েছিল। যা তাঁদের ধর্মীয় বিশ্বাস পালনে রীতিমত বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। দাঁড়ি রাখা ও পাগড়ি ছাড়ার ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।  প্রায় তিনি ৩০ বছর বিধিনিষেধ আরোপিত ছিল। মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীতে শিখদের যোগদানের সুযোগ নিয়েও আন্দোলন চালিয়েছিল তাঁরা। যদিও নারাংকে এত প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে ন বলেই দাবি করেছে শিখ কোয়ালিশন। কিন্তু তবুও নারাং-এর সাফল্যে তাঁরা রীতিমত খুশি বলেই জানিয়েছেন। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিহান বাহিনীর এক আধিকারিক জানিয়েছেন আনমোল নারাং প্রথম থেকেই তাঁর লক্ষ্যে অবিচল ছিল। যা তাঁকে এই সাফল্য এনেদিতে পেরেছে। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ লক্ষ শিখ আমেরিকান রয়েছেন।