সংক্ষিপ্ত
- ইউরোপে করোনায় বিপর্যস্ত দেশের মধ্যে ফ্রান্স অন্যতম
- তবে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে ফরাসি দেশটি
- করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে 'প্রথম বিজয়' ঘোষণা প্রেসিডেন্টের
- সোমবার থেকে প্যারসি সহ গোটা দেশ গ্রিন জোনে পরিণত
করোনা যেকয়েকটি দেশে খুব খারাপ ভাবে থাবা বসিয়েছিল তারমধ্যে রয়েছে ফ্রান্সও। তবে পরিস্থিতি এখনও অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে ইউরোপের এই দেশটিতে। দিনে দিনে কমছে সংক্রমণের হারও। তার ফলস্বরূপ রাজধানী প্যারিসসহ গোটা ফ্রান্স সোমবার থেকে গ্রিন জোনে পরিণত হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে দেশের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো করোনাভাইরাসের কারণে আরোপিত বিভিন্ন বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার ঘোষণা করলেন।
সোমবার থেকেই ফ্রান্সে খুলে যাচ্ছে ক্যাফে ও রেস্তোরাঁ। ইউরোপের অন্যান্য দেশে ভ্রমণের অনুমতিও দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে দেশবাসীকে অন্য জায়গায় থাকা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে।
করোন নিয়ে আরও আশঙ্কার কথা শোনালেন গবেষকরা, ভারতে নভেম্বরে সবচেয়ে তীব্র হবে সংক্রমণ
লাফিয়ে লাফিয় ফের বাড়ছে সংক্রমণ, লকডাউনের পর এবার গণহারে করোনার পরীক্ষা শুরু বেজিংয়ে
করোনা দেশে আসার আগেই পরিস্থিতি আঁচ করেছিলেন মোদী, ফাঁস করে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
ফরাসি প্রেসিডেন্ট রবিবার টেলিভিশন ভাষণে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে 'প্রথম বিজয়' ঘোষণা করেছেন। ইমানুয়েল ম্যাক্রো বলেন, ‘মহামারীর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই এখনো শেষ হয়নি কিন্তু ভাইরাসটির বিরুদ্ধে এই প্রথম বিজয়ে আমি দারুণ খুশি। এর মাধ্যমে আমরা যা শিখলাম আমি তার সবকিছু থেকে শিক্ষা নিতে চাই।’
অতিমারী মোকাবেলায় ফ্রান্স এবং ইউরোপকে অন্য দেশের উপর নির্ভরশীলতা কমানোর জন্যও কাজ করবেন বলে ঘোষণা করেন ম্যাক্রো। বলেন, 'আমি চাই আমরা যে শিক্ষা পেয়েছি সেটা যেনো কাজে লাগাতে পারি'।
তবে ভাইরাস পুনরায় আসতে পারে বলে তিনি সতর্ক করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। সেইসঙ্গে তিনি জানান, আগামী ২২ জুন থেকে স্কুল খুলতে পারে, তবে হাইস্কুল খুলছে না।
ইউরোপে করোনায় বিপর্যস্ত দেশের মধ্যে ফ্রান্স অন্যতম । দেশটিতে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজারেরও বেশি মানুষের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৫৭ হাজারের বেশি। তবে এর মধ্যেই করোনাভাইরাসের প্রথম জোয়ারে তছনছ ফ্রান্স ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭২ হাজারের বেশি মানুষ।দীর্ঘ লকডাউনের পর স্বাভাবিক জীবনের ফিরতে শুরু করেছে দেশটির জনগণ, যদিও এখনো সংক্রমণ এবং মৃত্যু থামেনি। এরমধ্যেই ফ্রান্সে করোনা রোধ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ অনেকটা শিথিল করছে, যার ফলে প্রায় সবকিছুই স্বাভাবিক হতে চলেছে প্যারিস সহ গোটা ফ্রান্সে।