সংক্ষিপ্ত

মনে করা হচ্ছিল বয়স্কদের মধ্যেই করোনাভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি

কিন্তু সিডিসির নতুন গবেষণা অন্য কথা বলছে

অল্পবয়সী বলে ছাড় নেই

তবে শিশুদের ক্ষেত্রে জব্দ করোনাভাইরাস

 

কোভিড -১৯ মহামারী নিয়ে বিশ্বব্যপি উদ্বেগ ছড়িয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এবং শহর-এ লকডাউন প্রোটোকল জারি করা হয়েছে। ভারতের মতো অনেক দেশ আবার সংক্রমণ ঠেকাতে নাগরিকদের স্ব-বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। তবে এরমধ্যে অনেকের মনেই ধারণা তৈরি হয়েছে, করোনাভাইরাসের থাবায় বুঝি বয়স্কদেরই পড়ার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু, মার্কিন সংক্রামক ব্যধী নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র 'সিডিসি'-র সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে মোটেই তা নয়। বরং, এই সংক্রামক ব্যধীতে অল্পবয়সীদেরই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।  

তাদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, কোভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হাসপাতালে ভর্তি ৫০৮ জন ব্যক্তির মধ্যে ২০ শতাংশেরই বয়স ২০ থেকে ৪৪ বছর। আর ১৮ শতাংশ রোগীর বয়স ৪৪ থেকে ৫৫-এর মধ্যে। অর্থাৎ, কোভিড-১৯'এ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি মার্কিন নাগরিকদের প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষের বয়সই ৫৫ বছরের কম। সিডিসি-র দাবি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটা উদাহরণ মাত্র, বিশ্বের অন্যান্য দেশেও ছবিটা প্রায় একইরকম।

তবে তাদের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় আরও একবার দেখা গিয়েছে যে প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক কম। মার্কিন মুলুকে হাসপাতালে ভর্তি করোনাভাইরাস সংক্রমণের কবলে পড়া রোগীদের মধ্যে এক শতাংশেরও কম রোগীর বয়স ০ থেকে ১৯-এর মধ্যে। এর আগে অন্য়ান্য দেশেও কোনও এক অজানা কারণে শিশুদের সামনে করোনাভাইরাস-কে বেশ কমজোরি হিসাবে দেখা গিয়েছে। অনেক বিজ্ঞানী এখন খুঁজে বার করার চেষ্টা করছেন, শিশুদের ক্ষেত্রে কেন ততটা এঁটে উঠতে পারছে না করোনাভাইরাস।

তবে, সিডিসির ডেটা থেকে এটাও প্রমাণিত হয়েছে যে বয়স্কদের তুলনায় তরুণদের মধ্যে মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে কম। ৮৫ বছরের বেশি বয়সের লোকদের মৃত্যুর হার ১০ থেকে ২৭ শতাংশ। আর ৬৫ থেকে ৮৪ বছর বয়সী রোদীদের মৃত্যুর হার ১১ থেকে ৩০ শতাংশ। সেখানে ২০ থেকে ৫৪ বছর বয়সীদের মৃত্যুর হার মাত্র ১ শতাংশ।